নাস্তিক ও
নাস্তিক্যবাদী মিডিয়া খুবই জোর গলায় প্রচার করছে মূর্তি ও ভাষ্কর্য এক বিষয় নয়।
তারা বলছে ,ইসলামে পুজার জন্য যে মূর্তি সেটা নিষেধ করা
হয়েছে। ভাষ্কর্য স্থাপনের জন্য কোন প্রানী বা মানুষের অবয়ব তৈরী করা হয় সেটা
নিষিদ্ধ করা হয়নি।
এসব কথা মূলত এদের মূর্খতার বহিঃপ্রকাশ বৈ কিছু নয়। এখানে যে বিষয় গুলো পরিষ্কার হওয়া দরকার সেটা হচ্ছে, এক গোত্র সূর্যের পুজা করে এখানে সূর্যের পুজাটা শিরিক হারাম। কিন্তু যে পুজা করে না তার জন্য সূর্য দর্শন হারাম নয়। হিন্দুদের একটা দল গাছ পুজা করে, এখানে গাছ পুজা হারাম একারনে কিন্ত গাছ রোপন হারাম নয়। কেউ কেউ সাগরের পুজা করে , সাগর পুজা হারাম তাই বলে সাগরে বেড়াতে যাওয়া হারাম নয়।
উপরোক্ত বিষয় সমূহে সূর্য, গাছ, সাগর এসব হারাম নয় বরং এসবের পুজা হারাম। কিন্তু কোন জীব জন্তু বা মানুষের প্রতিকৃতি তৈরী করা চাই সেটা পাথরে হোক, মাটিতে হোক, কাগজে হোক যেভাবেই হোক সেটা হারাম। পুজা করা শর্ত নয়। পুজা করা ছাড়াই প্রানীর প্রতিকৃতি তৈরী হারাম। যেটা আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন,
فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْأَوْثَانِ وَاجْتَنِبُوا قَوْلَ الزُّورِ
তোমরা মূর্তির অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাকো এবং বর্জন করো মিথ্যা কথাবার্তা। (সূরা
হজ্জ ৩০)
আল্লাহ পাক আরো বলেন, হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, মূর্তি এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও। (সূরা মায়িদা ৯০)
আল্লাহ পাক আরো বলেন, হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, মূর্তি এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও। (সূরা মায়িদা ৯০)
হাদীস পাকে এসেছে, আলী ইবনে আবী তালেব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু. বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি জানাযায়
উপস্থিত ছিলেন। তখন তিনি বললেন, ‘তোমাদের মধ্যে কে
আছে,
যে মদীনায় যাবে এবং যেখানেই কোনো প্রাণীর
মূর্তি পাবে তা ভেঙ্গে ফেলবে,’ (মুসনাদে আহমাদ হাদীস ৬৫৭)
অন্য আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, প্রতিকৃতি তৈরিকারী (ভাস্কর, চিত্রকর) শ্রেণী হল ওইসব লোকদের অন্তর্ভুক্ত যাদেরকে কিয়ামত-দিবসে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি প্রদান করা হবে।’ (সহীহ বুখারী ৫৯৫০)
অন্য আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, প্রতিকৃতি তৈরিকারী (ভাস্কর, চিত্রকর) শ্রেণী হল ওইসব লোকদের অন্তর্ভুক্ত যাদেরকে কিয়ামত-দিবসে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি প্রদান করা হবে।’ (সহীহ বুখারী ৫৯৫০)
সূতরাং আমরা দেখতে
পেলাম কোন প্রানীর প্রতিকৃতি তৈরী করা সর্বাবস্থায় হারাম এবং কঠিন শাস্তিযোগ্য
একটা কাজ। প্রমাণ হলো, কোন ভাবেই তা তৈরী করা যাবে না।
এরপর যে বিষয়টা
রয়েছে,
মূর্তিপ্রেমী কুশীল সমাজের লোকরা এটাও যুক্তি
দেয় প্রতিকৃতি যদি নিষিদ্ধই হবে তবে সৌদি আরবে কেন বিভিন্ন প্রতিকৃতি রয়েছে? তাদের জন্য বলতে হয় আমাদের জন্য দলীল সৌদি আরব নয় বরং কুরআন
শরীফ হাদীস শরীফ। আর সর্বপোরী সৌদি ফতোয়া বোর্ড থেকেও প্রানীর প্রতিকৃতি ভাষ্কর্য
তৈরী হারাম ফতোয়া দেয়া হয়েছে
আসল
কথা হচ্ছে কি জানেন? মূল দোষটা আমাদের, আমাদের
সমাজের। প্রানীর ছবি আকা, রাখা হারাম এটাই ছিলো ইসলামের
ফয়সালা। একটা সময় এসে মানুষ ক্ষমাতার জন্য, পদের জন্য, নফসের
জন্য এই ফতোয়া ভুলে যায় ও অস্বীকার করে বসে। অনেকে যুগের দোহাই দিয়ে ছবি তোলা, আঁকা
বৈধ বলার প্রয়াস চালায়। আজ তারই খেসারত দিতে হচ্ছে। যদি ঐসময় ওলামা মাশায়েখরা ছবির
মূর্তির বিরুেদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতো নিজেরাও ছবি থেকে দূরে থাকতো এবং মসজিদে মসজিদে
ছবির মূর্তির খারাবী ও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করতো, তাহলে আজকে নাস্তিকরা
মূর্তি স্থাপন করে সেই মূর্তি জন্য সাফাই গাওয়ার সাহসও পেতো না।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন