হিন্দু ধর্মে পতিতা নির্ভর। সেই সাথে তাদের ধর্ম এবং সমাজ ব্যবস্থায় সবখানেই
পতিতাবৃত্তি জড়িত। তাদের সকল পুজায় পতিতাদের আসড় বসে। তাদের সাথে চলে অশ্লীল নাচ
গান (https://youtu.be/ 5zIasS1Ixaw)
হিন্দু ধর্ম ও সমাজ ব্যবস্থায় পতিতাবৃত্তির কিঞ্চিত চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করবো- পতিতাদের অসংখ্য নামে ডাকা হতো ইতিহাসের আদিকাল থেকেই ॥ যেমন - দেহপসারিণী, বেশ্যা, রক্ষিতা, উপপত্নী, জারিণী, পুংশ্চলী,অতীত্বরী, বিজর্জরা, অসোগু,গণিকা ইত্যাদি।
হিন্দু ধর্ম ও সমাজ ব্যবস্থায় পতিতাবৃত্তির কিঞ্চিত চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করবো- পতিতাদের অসংখ্য নামে ডাকা হতো ইতিহাসের আদিকাল থেকেই ॥ যেমন - দেহপসারিণী, বেশ্যা, রক্ষিতা, উপপত্নী, জারিণী, পুংশ্চলী,অতীত্বরী, বিজর্জরা, অসোগু,গণিকা ইত্যাদি।
তবে কামসুত্র গ্রন্থের লেখক 'বাৎস্যায়ন' পতিতাদের ৯ টি
ভাগে ভাগ করেছে, তা হলো -
"বেশ্যা বিশেষ প্রকরণ - ‘কুম্ভদাসী, পরিচারিকা, কুলটা, স্বৈরিণী, নটি, শিল্পকারিকা, প্রকাশ বিনষ্টা, রূপজীবা এবং
গনিকা—এই কয়টি বেশ্যা বিশেষ [কামসুত্র : চতুর্থ ভাগ – ষষ্ঠ অধ্যায় - ২৪]"
হিন্দুদের ধর্মের অন্যতম বই ঋগবেদের
প্রথম মণ্ডলের ১২৬ তম সূক্তের পঞ্চম ঋকে আছে - "সুবন্ধবো যে বিশ্যা ইব
ব্রা অনস্বন্তঃ শ্রব ঐযন্ত পূজা" ইতিহাসবিদ, 'মরিস
ভিন্টারনিৎসের' মতে এখানে যে
"বিশ্যা" শব্দটি আছে তার থেকেই নাকি "বেশ্যা" কথাটির উৎপত্তি।
পতিতাবৃত্তির
উৎপত্তি সৃষ্টির আদিকাল থেকেই॥ পুরাণ, রামায়ণ, মহাভারতে প্রচুর অপ্সরার উল্লেখ পাওয়া যায়॥ যেমন –
উর্বশী, মেনকা, তিলোত্তমা, ঘৃতাচী, সুকেশী,সরলা, বিদ্যুৎপর্ণা, সুবাহু – এরকম
অনেক বেশ্যার নাম আমরা পাই। বাংলা ডিকশোনারী মতে অপ্সরা অর্থ - স্বর্গের বারাঙ্গনা
বা বেশ্যা; সুরসুন্দরী। [সং.
অপ্ + সৃ + অস্ = অপ্সরস্ = অপ্সরা]।
হিন্দুদের "মহাভারতে উল্লেখ আছে যে,একজন বেশ্যা ভাল
প্রকৃতির হলে উচ্চতর জীবনে পুনর্জন্ম লাভ করতে পারে। এই জীবিকা সম্বন্ধে বৌদ্ধ
ধর্মেরও একই মত। (তথ্যসুত্র: বাংলা পিডিয়া)"॥ মহাভারতের যুগে এমন জনা পাঁচেক
বিখ্যাত মুনি ঋষির নাম উল্লেখ করা যায়, যাঁরা 'স্বর্গবেশ্যা' দেখে কামার্ত
হয়ে তাঁদের সঙ্গে যৌন মিলন করেছিলো। বিশ্বামিত্র, শরদ্বান, ভরদ্বাজ, ব্যাস, বশিষ্ঠ, পরাশর, দীর্ঘতমা – এরাই
হলো সেইসব মুনি ! মহাভারতের যুগে অপরাপর সম্মান জনক বৃত্তি গুলির মধ্যে পতিতা
বৃত্তিই ছিল অন্যতম। রাজদরবারে ও বিবিধ রাজকীয় অনুষ্ঠানে পতিতাদের উপস্থিতি ছিল
অপরিহার্য। ঐ কারণেই বিশিষ্ট প্রত্নতত্ত্ববিদ ও নৃতত্ত্ববিদ ডঃ অতুল সুর লিখেছে –
‘মৈথুন ধর্মটাই সেকালের সনাতন ধর্ম ছিল’ (দেবলোকের যৌনজীবন,পৃঃ ৬২)। বাংলা
ডিকশোনারী মতে মৈথুন অর্থ ; রতিক্রিয়া, রমণ, স্ত্রী-পুরুষের যৌন সংসর্গ। [সং. মিথুন + অ]।
সূতরাং সনাতন হিন্দুরা কোন শ্রেনীর সেটা
ইতিহাস থেকেই প্রমান হলো।
"পতিতা বৃত্তির আরো সরস বিবরণ পাওয়া যায় 'বাৎস্যায়ন' আমলে এবং তার
লেখা কাম সুত্র বইয়ে॥ 'বাৎস্যায়ন' তাঁর বাল্যকাল
কেটেছিল এক বেশ্যালয়ে। এবং সেখানে তাঁর মাসি কাজ করতে। ঐখান থেকেই সে কামকলা
সংক্রান্ত জ্ঞান লাভ করেছিলো। [তথ্যসুত্র: Ascetic of Desire,Sudhir
Kakar, Overlook Press,2000]"
ঐ সময় পতিতাবৃত্তি এবং যৌনতা খুব স্বাভাবিক এবং সন্মানিত বিষয় ছিল। কামসুত্রের ০৬ - ভার্যাধিকারিক (৩.১)এর ৫৩ নম্বর শ্লোকে আছে - "স্বামী যাহাকে প্রচ্ছন্ন ভাবে কামনা করে, তাহার সহিত স্বামীর সঙ্গম করিয়া দিবে ও গোপন করিয়া রাখিবে।।৫৩।।"
এই শ্লোক থেকেই বোঝা যায় অনাচার কেমন
পর্যায়ে ছিল। তাছাড়া বাৎস্যায়নের সময় বেশ্যারা আর পাঁচটা সাধারণ
মেয়েদের মতো বিয়ে,সন্তান জন্মদান, ঘর-সংসার করতো
বেশ্যা বৃত্তিকে ত্যাগ না করেই। কিন্তু বিয়ের পর প্রথম একটা বছর স্বামী ছাড়া অন্য
কোনো পুরুষের সঙ্গে যৌনমিলন করা নিষিদ্ধ ছিল। বিয়ের এক বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর
বেশ্যা বৃত্তিতে আর কোনো বাধা ছিল না। এ কারনে হিন্দু মহিলাদের স্বামী ব্যাতীত
একাধিক পুরুষের সংসর্গে যেতে দেখা যায়। এমনকি রক্তের সর্ম্পকের পুরুষদেরও ছাড়
দেয়না হিন্দু মহিলারা।
আরো এক ধরনের পতিতাবৃত্তি চালু ছিল ভারতে
- (Sacred
prostitution) ভক্তিমূলক
পতিতাবৃত্তি। অর্থাৎ পতি বা পত্নী ব্যতীত অন্য কারও সাথে পবিত্র বা ধর্মীয়
উদ্দেশ্যে যৌন মিলন। এ ধরনের কাজে যে ব্যাক্তি জড়িত থাকেন তাকে বলে দেবদাসী।
দেবদাসী মন্দির সেবিকা। বর্ধিত অর্থে মন্দিরের বারাঙ্গনা,দেহোপজীবিনী বা
গণিকা। এখনো গোপনে ভারতের অনেক মন্দিরে দেবদাসী প্রথা চালু আছে॥
এছাড়া "উত্তর ভারতে জিপসি সম্প্রদায়ের মধ্যে মেয়ে শিশুকে পতিতা বানানোর এক ধরনের প্রথা ছিল। বিহার ও উত্তর প্রদেশে ছিল নায়েক,পশ্চিম ভারতের গুজরাটে দেহে ও বর্ণের পতিতা এবং দাক্ষিণাত্যে ছিল মোহর নামক উপজাতীয় পতিতা। [তথ্যসুত্র: দৈনিক আজাদি ৪মে - ২০১৩]"
এছাড়া "উত্তর ভারতে জিপসি সম্প্রদায়ের মধ্যে মেয়ে শিশুকে পতিতা বানানোর এক ধরনের প্রথা ছিল। বিহার ও উত্তর প্রদেশে ছিল নায়েক,পশ্চিম ভারতের গুজরাটে দেহে ও বর্ণের পতিতা এবং দাক্ষিণাত্যে ছিল মোহর নামক উপজাতীয় পতিতা। [তথ্যসুত্র: দৈনিক আজাদি ৪মে - ২০১৩]"
সপ্তম শতকের রাজা হর্ষবর্ধনের সভাকবি
ছিলেন বানভট্ট। বানভট্ট তাঁর "কাদম্বরী" গ্রন্থে লিখেছেন,সেকালে
বেশ্যারাই দেশের রাজাকে স্নান করাত। এমনকি রাজার পরনের সব পোশাক বেশ্যারাই পরিয়ে
দিতো। "নবম শতকে 'কুট্টনীমত' গ্রন্থ লিখেছিলো কাশ্মীরের মন্ত্রী ও কবি 'দামোদর গুপ্ত'। 'বিকরবালা' নামের এক বৃদ্ধা
বেশ্যার উপদেশ নামা নিয়েই মুলতো 'কুট্টনীমত' গ্রন্থ লেখা। বাৎসায়নের কামসূত্রের মতোর 'কুট্টনীমত' একটা কামশাস্ত্র
গ্রন্থ॥" এছাড়া কবি কালিদাসের মহাকাব্য গুলিতেও বেশ্যা নারীর উল্লেখ আছে।
হিন্দুদের পতিতাবৃত্তির হার কি পরিমান ছিলো বৃটিশ আমলের পরিসংখ্যান দেখলে সেটা
বোঝা যাবে।
"১৮৫৩ তে কলকাতা শহরে ৪০৪৯ টি বেশ্যাগৃহ ছিল যাতে বাস করছিলেন ১২,৪১৯ জন যৌনকর্মী। ১৮৬৭ তে ছিল ৩০,০০০ জন॥ ১৯১১ সালের আদশুমারি অনুযায়ী ১৪২৭১ জন। ১৯২১ সালের আদম শুমারিতে অনুযায়ী ১০,৮১৪ জন যৌনকর্মী ছিল কলকাতায়। [তথ্যসুত্র: দেবাশিস বসু, 'কলকাতার যৌনপল্লী', সুধীর চক্রবর্তী সম্পাদিত ,বার্ষিক সংকলন ৫,২০০১]"
"১৮৫৩ তে কলকাতা শহরে ৪০৪৯ টি বেশ্যাগৃহ ছিল যাতে বাস করছিলেন ১২,৪১৯ জন যৌনকর্মী। ১৮৬৭ তে ছিল ৩০,০০০ জন॥ ১৯১১ সালের আদশুমারি অনুযায়ী ১৪২৭১ জন। ১৯২১ সালের আদম শুমারিতে অনুযায়ী ১০,৮১৪ জন যৌনকর্মী ছিল কলকাতায়। [তথ্যসুত্র: দেবাশিস বসু, 'কলকাতার যৌনপল্লী', সুধীর চক্রবর্তী সম্পাদিত ,বার্ষিক সংকলন ৫,২০০১]"
কিন্তু প্রকৃত সংখ্যা অবশ্যই আরো বেশী
হবে। "কলকাতায় খুবই রমরমা ছিল বেশ্যাদের জগৎ। গৃহস্থের বাড়ির পাশে বেশ্যা, ছেলেদের
পাঠশালার পাশে বেশ্যা, চিকিৎসালয়ের পাশে বেশ্যা, মন্দিরের পাশে
বেশ্যা। [তথ্যসুত্র: বিনয় ঘোষ, কলকাতা শহরের ইতিবৃত্ত,১৯৯৯, পৃ.
৩০২-০৩]"
"বিশেষ করে রামবাগান, সোনাগাছি, মেছোবাজার, সিদ্ধেশ্বরীতলা, হাড়কাটা, চাঁপাতলা, ইমামবক্স এগুলো
ছিল বেশ্যাদের আখড়া॥ [তথ্যসুত্র: বিশ্বনাথ জোয়ারদার, পুরনো
কলকাতার অন্য সংস্কৃতি,২০০৯, পৃ. ৩৪-৩৮]"
অর্থাৎ এক কথায় হিন্দু জগৎটা ছিলো পতিতা দ্বারা আবৃত। এই সমাজে জন্মের পর থেকে জীবনের শেষ পর্যন্ত পতিতাদের সংর্স্পশে থাকে প্রতিটা হিন্দু।
অর্থাৎ এক কথায় হিন্দু জগৎটা ছিলো পতিতা দ্বারা আবৃত। এই সমাজে জন্মের পর থেকে জীবনের শেষ পর্যন্ত পতিতাদের সংর্স্পশে থাকে প্রতিটা হিন্দু।
হিন্দু সমাজে পতিতাদের বাড়াবাড়ি এমন পর্যয়ে পৌছিঁয়েছিলো যে সমাজের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। সেটা ইতিহাসে পাওয়া যায়, "এমনকি কিছু পতিতা শহরে প্রকাশ্য রাজপথে নৃত্য পর্যন্ত করতো। সাধারণ মানুষ পুলিশের কাছে আবেদন করা সত্ত্বেও এর কোনো প্রতিকার হয়নি। কারণ কলকাতার পুলিশ ধনীদের তৈরি বেশ্যালয় গুলোতে হস্তক্ষেপ করতে সাহস পেত না। শুধু মাত্র দ্বারকানাথ ঠাকুর (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা) কলকাতার একটি এলাকাতেই তেতাল্লিশটি বেশ্যালয়ের মালিক ছিলেন। [তথ্যসুত্র: সতীশচন্দ্র চক্রবর্তী সম্পাদিত, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনী,১৯৬২,পৃ.৩৫৮-৬০]"
আসলে ঐ সময় নৈতিকতা নিয়ম কানুন ছিল না। মূল বিষয়টাই হচ্ছে এসব অসভ্যতা, নোংরামী হিন্দু ধর্ম দ্বারিই প্রভাবিত। হিন্দুরা মনে করে,বেশ্যারা এই সমাজ কে নির্মল রাখে॥ আর সেই কারণেই দুর্গা পুজার সময় বেশ্যার দরজার মাটি অপরিহার্য। [Maa Durga is considered to be incomplete without the soil from prostitutes door steps.] "দূর্গা পুজার সময় দশ ধরনের মাটি প্রয়োজন হয়। তার মধ্যে বেশ্যার দরজার মাটি অপরিহার্য। [তথ্যসুত্র: কালিকা পুরাণোক্ত দুর্গাপূজা পদ্ধতি, প্রবীর কুমার চট্টোপাধ্যায়,কলকাতা,পৃষ্ঠ
সূতরাং বোঝাই যাচ্ছে হিন্দু ধর্মে বেশ্যাদের গুরুত্ব কত। এমন ভয়াবহ নোংরামী আর কোন জাতীর আছে কিনা কে জানে?
"বেশ্যাবাজি ছিল বাবু সমাজের সাধারণ ঘটনা। নারী
আন্দোলনের ভারত পথিক রাজা রামমোহন রায়ের, রক্ষিতা ছিল॥
এমনকি ঐ রক্ষিতার গর্ভে তাঁর একটি পুত্রও জন্মে ছিল। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর পতিতা
সুকুমারী দত্তের প্রেমে মজেছিলো। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নিয়মিত পতিতালয়ে যেতো। [তথ্যসুত্র:
অবিদ্যার অন্তঃপুরে, নিষিদ্ধ পল্লীর অন্তরঙ্গ কথকতা; ড. আবুল
আহসান চৌধুরী : শোভা প্রকাশ]"
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও নিয়মিত পতিতালয়ে যেতো।
নিষিদ্ধ পল্লীতে গমনের ফলে রবীন্দ্রনাথের সিফিলিস আক্রান্ত হওয়ার খবর তার
জীবদ্দশাতেই ‘বসুমতী’ পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়েছিল। যাইহোক এইরকম আরো অনেকেই আছে
তাদের কথা আর নাইবা লিখলাম।
"শুধু তাই নয় সেই সময় ইংরেজ সৈন্যরা মাত্রাতিরিক্ত
হিন্দু পতিতালয়ে যেতো। যার ফলে ১৮৬০ সালে ইংরেজ সৈন্যদের মধ্যে ৬০% এর বেশী
যৌনরোগে আক্রান্ত হয়ে পরে। তাই ইংরেজ সরকার ১৮৬৪ সালে পাশ করায় - (Cantonment Act) আইন। সেনা ছাউনি
গুলোতে ইংরেজ সৈন্যদের জন্য তৈরি হল আলাদা বেশ্যালয়, সেখানে যেসব
বেশ্যারা আসলে তাঁদের রেজিস্ট্রি ভুক্ত করে পরিচয় পত্র দেওয়া হত। যৌনরোগ থেকে
তাঁদের মুক্ত রাখার জন্য ‘লক হসপিটাল’ নামে বিশেষ হাসপাতাল স্থাপন করা হয় প্রধান
সেনা ছাউনিতে। [তথ্যসুত্র: Dr. Ashwini Tambe - "The Elusive Ingenue:A transnational
Feminist Analysis of European Prostitution in Colonial Bombay]"
স্বভাবতই প্রশ্ন আসে লাইসেন্সধারী পতিতারা কারা ছিলো? এর উত্তরও হলো হিন্দু মহিলারা। হিন্দু মহিলারাই পতিতা সার্টিফিকেট নিয়ে ইংরেজ সৈন্যদের মনোরঞ্জন করতো।
‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’ Dec 6, 2014 তারিখে 'Forensic lab finds love
cheats in 98% cases' এই শিরোনামে একটা সংবাদ ছাপা হয়॥ "সেখানে উল্লেখ
করা হয় - গুজরাটে প্রতি বছর বহু সংখ্যক পুরুষ পিতৃত্ব নির্ণয়ের জন্য ডিএনএ টেস্ট
করার আবেদন করে। গান্ধী নগরের ডিরেক্টরেট অব ফরেন্সিক সায়েন্সের ডিএনএ পরীক্ষা
বিভাগে বছরে প্রায় ২৫০টি এ ধরনের মামলা আসে। তার মধ্যে ৯৮ শতাংশ ক্ষেত্রেই দেখা
যায় যে, তার পরিবারের
সন্তানটির আসল পিতা পুরুষটি নয়,অর্থাৎ সন্তানটি অবৈধ সম্পর্কের ফসল।" (সূত্র- http://bit.ly/2cTd0nJ)
তাহলে বুঝুন কি অবস্থা ঐখানে! অবৈধ সম্পর্কের নরক রাজ্য গুজরাট। এমন অশ্লীল অনাচার যে ধর্ম ও সমাজ সর্মথন করে তাদের নৈতিকতা , তাদের মূল্যবোধ, রুচি , চরিত্র কতটা বিকৃত কতটা জঘন্য সেটা সুস্থ মষ্তিষ্কের সবারই বোঝার কথা। অথচ এদেরই মনরোঞ্জনের জন্য সরকার দূর্গাপুজার জন্য সহায়তা করে যাচ্ছে, অনুদান দিয়ে যাচ্ছে। একবারও ভেবে দেখছে না আমাদের সমাজ কেন আজ দিনকে দিন অধপতনের দিকে যাচ্ছে। কারা ইন্দন যোগাচ্ছে। এসব নোংরা হিন্দুদের সংর্স্পশে যতেই মানুষ থাকবে ততদিন ধ্বংসের দিকে যেতে থাকবে।
উক্ত আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে কোন শ্রেনীর ধর্মীয় বিশ্বাসে তারা বিশ্বাসী, যেখানে চরিত্রের
কোন মূল্যায়নই নেই। শুধুই আছে চরিত্রহীনতা, লম্পট্য বহুগামীতা। তাদের পুজাতেও চলে এসব
নোংরামী। এর প্রভাব পরছে আমাদের সাংষ্কৃতিতে, মিডিয়া ও বিভিন্ন অসামাজিক অনুষ্ঠানের
মাধ্যমে। যার প্রভাবে আজ যুব সমাজ ধ্বংসের পথে, পরকীয়ায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে অনেক পরিবার
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন