বুধবার, ২৪ জুন, ২০২০

সাইফুদ্দীন সিদ্দীকীর নামে প্রচারিত “আদ দাওয়াহ” কিতাবটি মারকাযু দাওয়ার আব্দুল মালেকের তত্ত্বাবধায়নে রচিত একটি জাল কিতাব

আদ দাওয়াহ কিতাব যে একটা জাল বই সেটা ইতিপূর্বেও প্রমান সহ দেখিয়েছি। বিভিন্ন অসঙ্গতি উল্লেখ করে অকাট্যভাবে প্রমাণ করেছি বইটা ফুরফুরার সাইফুদ্দিন সিদ্দীকির নামে রচিত একটা জাল, বানোয়াট বই। যে অসঙ্গতিগুলো পেয়েছি সেগুলো সবগুলোই ছিলো এই বইটার ২য় সংষ্করনের। প্রথম থেকেই কেন যেন মনে হচ্ছিলো ১ম সংষ্করনটা পেলে হয়তো থলের বিড়ালটা বেরিয়ে আসতো। অনেক অনুসন্ধান করি, কোথাও এ বইটার ১ম সংষ্করনটা পাওয়া যাচ্ছিলো না। যাইহোক অনেক খোঁজার পর বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে এক দ্বীনি ভাই এগিয়ে আসেন। ‍তিনি বইটা কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দেন।
যা ভেবেছিলাম তাই দেখতে পেলাম। ব্যাপক জালিয়াতি হয়েছে এই আদ দাওয়াহ কিতাবে। ১ম সংষ্করনের সাথে ২য় সংষ্করণের বিস্তর পার্থক্য। বিশেষ করে ২য় সংষ্করণের সর্বপ্রথম নূর বিষয়ে বিরোধিতা দেখে আমার সন্দেহ শুরুতেই ঘনিভূত হয়েছিলো। কারন যে সকল কিতাবের নাম ও লেখকদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে তা সাইফুদ্দীন সিদ্দীকির ব্যবহার করার কথা না। মাত্র ৪ মাসের ব্যবধানে ২য় সংষ্করন বের হয় যা সাইফুদ্দীন ‍সিদ্দীকির মৃত্যুর কয়েক মাস আগের। আর এ সময়কার সাইফুদ্দীন সিদ্দীকির শারীরিক অবস্থা এমন ছিলো যে তার পক্ষে এই আধুনিক সময়কার কিতাব মুতায়ালা করার কথা চিন্তাও করা যায় না। মূল কথা হচ্ছে "আদ দাওয়াহ" কিতাবটা মূলত কিসের কিতাব একটু ভেবে দেখেছেন কি?
আসুন ফুরফুরার সাইফুদ্দিন সিদ্দিকীর ছেলে ইমরানুদ্দিন সিদ্দিকীর বক্তব্য দেখা যাক, "
... কাল হাশরের ময়দানে জবাবদিহিতার সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে। আর এ কারনেই তিনি প্রনয়ণ করেছেন এ "অসিয়ত নামা"। অসিয়তের নাম রাখা হয়েছে "আদ দা'ওয়াতু ওয়াল ইরশাদ লিমান ইউরীদু সাবিলার রশাদ"। সংক্ষেপে "আদ দাওয়াহ"""।"" অর্থাৎ আমরা জানতে পারলাম "আদ দাওয়াহ" হচ্ছে অসিয়তের কিতাব কোন ফতোয়ার কিতাব নয়। অথচ এ অসিয়তের কিতাবে ৩৫২ পৃষ্ঠা ব্যাপী ফতোয়া দেয়া হয়েছে। এবার আসুন ৪ মাসের ব্যবধানে প্রকাশ হওয়া দুইটি সংষ্করণে কিরকম কারচুপী হয়েছে সেটার কিছু দেখে আসি-
আপনারা দেখেতে পাচ্ছেন “আদ দাওয়াহ” কিতাবে ২য় সংষ্করনের সূচিপত্রের ১০ নং পৃষ্ঠার ছবি। ছবিতে চিহিৃত “রাসূলে কারীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি আল্লাহ কর্তৃক সৃষ্ট (খলকী) নূর দ্বারা সৃষ্ট” এই পরিচ্ছেদের ঠিক পরে নূর সম্পর্কিত হযরত যাবের রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হাদীস এর পর্যালোচনা” থেকে শুরু করে আল্লামায়ে হিন্দ রুহুল আমিন বশিরহাটী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর মতামত” পর্যন্ত ১১ টা পয়েন্ট লিখিত রয়েছে। এর পরের পরিচ্ছেদ হচ্ছে “তাহলে রাসূলে করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিসের সৃষ্টি”।
অথচ ১ম সংষ্করণের ৮ নং পৃষ্ঠায় সূচিপত্র দেখুন, “রাসূলে কারীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি আল্লাহ কর্তৃক সৃষ্ট (খলকী) নূর দ্বারা সৃষ্ট” এর পরে ১১ টা পয়েন্ট নেই সরাসরি “তাহলে রাসূলে করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিসের সৃষ্টি” এই পরিচ্ছেদ রয়েছে। অর্থাৎ প্রমাণ হলো জালিয়াতরা আদ দাওয়াহ বইয়ের ২য় সংষ্করনে এই ১১ টা পয়েন্ট মোট ১০ ‍পৃষ্ঠা সংযোগ করেছে। এখানে সিদ্দীক আল গুমারী, আব্দুল ফাত্তাহ আবুল গুদ্দাহ, আলী জুমুয়া ইত্যাদি সমসায়িক লেখকের অভিমত ঢুকানো হয়েছে। ইবনে সিদ্দীক আল গুমারী, তাহির ইবনে আশুর, ড. আলী জুমুয়া এই শ্রেনীর ফাসিক লোকদের (https://bit.ly/2TQOdEF) কথা দিয়ে দলীল দেয়া সাইফুদ্দীন সিদ্দীকর পক্ষে বেমানান। এটা দেখার পর কোনভাবেই কি আপনি বলতে পারবেন এটা জাল করা হয়নি? যদি কেউ বলে এটা জাল নয় তাকে চাঁদ দুই ভাগ করে দেখালেও মানবে না তাদের দলে তার অবস্থান।
শুধু তাই নয় ১ম সংষ্করণের সাথে ২য় সংষ্করনের সাইফুদ্দীন সিদ্দীকির সিগনেচারও মিলছে না। আমি সিগনেচার বিশেষজ্ঞদের সাথে আলাপ করে এ বিষয়ে আরো নিশ্চিত হয়েছি। অর্থাৎ ২য় সংষ্করণের সিগনেচারটাও একটা জাল সিগনেচার। কেউ তার নামে দিয়ে দিয়েছে।


অর্থাৎ ২য় সংষ্করণের সাইফুদ্দীন সিদ্দীকির জাল সিগনেচার দিয়ে কিছু বিষয়ে এরা হালাল করিয়ে নিতে চেয়েছে। সেটা হচ্ছে “আমি জেনে খুশি হয়েছি এক ঝাক মুহাক্কিক কিতাবী আলিম আমার দাওয়াহ কিতাবের আবেদন বাস্তবায়ন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবং বাতিলের মুখোশ উন্মোচনের জন্য ইতিমধ্যে কলম হতে নিয়েছেন। এর দ্বারা জালিয়াত গোষ্ঠী সাইফুদ্দীণ সিদ্দীকির নাম দিয়ে মারকাযু দাওওয়ার আব্দুল মালেকের ছাত্র মনিরুলের নূরের হাদীছকে জাল বানানোর সার্টিফিকেট দিয়ে ‍দিলো। পরবর্তীতে আমরা দেখলাম ফুরফুরার কেউ করলো বরং আব্দুল মালেকের ছাত্র মাগুরা দরবারের মনিরুল ইসলাম নিজ কাঁধে দাওয়াহ কিতাবের বিরুদ্ধে কোন আপত্তি উঠলে তার জবাব দিতে উঠে পরে লাগছে। দুই খন্ড কিতাবও লিখে ফেললো। মার চাইতে যেন মাসির দরদ বেশি।
এবার আসুন ১ম সংষ্করনের ৫৭ পৃষ্ঠা থেকে ঘুরে আসা যাক। উক্ত পৃষ্ঠার ১৫ নং লাইন থেকে দেখুন, “তবে মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক এর একটা অংশ হারিয়ে গেছে, যাকে ‘জুযয়ে মাফকুদ’ বলা হয়। সেই হারানো অংশে হাদীসটি থাকার সম্ভাবনা প্রবল। যতদিন পর্যন্ত …… ”


এবার আসুন ২য় সংষ্করনে, ১ম সংষ্করনের উপরোক্ত আলোচনার আগে আরো ১০ পৃষ্ঠা সংযুক্ত হয়েছে এরপর ৭০ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে, “তবে মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক এর একটা অংশ হারিয়ে গিয়েছে বলে কথিত আছে। সেই হারানো অংশে হাদীসটি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কেউ কেউ বলেন।””


আপনারাই দেখতে পেলেন দুই বইয়ের ভাষ্যই অমূল পরিবর্তন। ১ম সংষ্করনে বলা হচ্ছে মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাকরে হারিয়ে যাওয়া অংশে হাদীসটি থাকার সম্ভাবনা প্রবল। অথচ ২য় সংষ্করনে সর্ম্পূণ পরিবর্তন করে লেখা হলো হারানো অংশে হাদীসটি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কেউ কেউ বলেন। কি বোঝা যায়? জালিয়াতির আলামত চোখে পড়ে?
আদ দাওয়াহ কিতাবের ২য় সংষ্করন ৩১৮ পৃষ্ঠায় আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের জালিয়াতি প্রকাশ করতে গিয়ে লিখেছে “ ড: আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এদেশের মুসলমানদেরকে ওহাবী তথা লা-মাযহাবী কথিত আহলে হাদীস বানানোর চরমতর ধোঁকার আশ্রয় নিয়েছেন।”


আমাদের প্রশ্ন এদেশের বলতে কোন দেশের ? আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ছিলো বাংলাদেশের। আর সাইফুদ্দীন সিদ্দীকি ছিলো ভারতের। যদি ভারতে বসে এ দেশ বলা হয় তাহলে তথ্য ভুল। কারন আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ভারতীয় না। এদেশ বলতে মূলত বাংলাদেশই বোঝানো হচ্ছে। কারন বইটা মূলত বাংলাদেশে বসে মাগুরার মনিরুল ইসলাম আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে লিখেছে। তাই জালিয়াতি করতে গিয়ে কিছু আলামত রেখে গিয়েছে। ভুলে বাংলাদেশে লেখা বাদ দিয়ে এদেশে লিখে ফেলেছে।
এরপর চলে আসুন ১ম সংষ্করন ৩২০ পৃষ্ঠা ও ২য় সংষ্করনে ৩৩৪ পৃষ্ঠা থেকে ঘুরে আসা যাক। এখানে সাইফুদ্দিন সিদ্দীকির কিছু সংক্ষিপ্ত অসিয়ত লেখা হয়েছে। ১ম সংষ্করন ও ২য় সংস্করনের ২০ নং অসিয়ত পর্যন্ত ঠিকই আছে। কিন্তু ২য় সংষ্করনে ২১ নং অসিয়ত নতুন একটা সংযুক্ত করা হয়েছে। হয়ে গেলো একটা কমবেশি।




এভাবে চলতে চলতে ১ম সংষ্কনের ৩২ নং এবং ২য় সংষ্করনের ৩৩ নং অসিয়তের পর আবারো ২য় সংষ্করনে ৩৪, ৩৫, ৩৬ নং অসিয়ত নামে নতুন ৩ টা অসিয়তের অনুপ্রবেশ ঘটে গেলো।




ফলাফল হলো ১ম সংষ্করণের শেষ অসিয়ত ৩৩ নম্বর। আর ২য় সংষ্করনের শেষ অসিয়ত নম্বর ৩৭।



৪ টা সংযুক্ত হয়ে গেলো। কি অদ্ভুত! এক সংষ্করনের ব্যবধানে অসিয়তই যে বৃদ্ধি পায় জানা ছিলো না। শুধু তাই না দুইটা সংষ্করনের শেষ অসিয়ত মিলিয়ে দেখুন সেখানেও কিছু পার্থক্য রয়েছে।
যারা “আদ দাওয়াহ” কিতাবটা পড়েছেন সেই সাথে সাইফুদ্দীন সিদ্দীকি বা পশ্চিম বংলার যেকোন লেখকের বই পড়ুন ভাষাগত পার্থক্য দেখেই যা বোঝার বুঝে নিতে পারবেন। যেমন সাইফুদ্দীন সিদ্দীকির একটা বই “মিনহাজুস সালেকীন” বইয়ের ভাষা গুলো দেখুন "মোহাদ্দেস" , "এহিয়া", "এবনে তাইমীয়া", "মসনদ"... (এ বানানের ধরন পশ্চিম বঙ্গের বসবাসকারীদের)
এবার আদ দাওয়াহ কিতাব দেখেন - ৬০ থেকে ৭০ পৃষ্ঠা পড়েন" এর মধ্যেই পেয়ে যাবেন "মুহাদ্দীস", "ইয়াহিয়া", "ইবনে তাইমিয়া" , "মুসান্নাফ" ইত্যাদি সহ আরো শব্দ (যা বাংলাদেশে ব্যবহার করা হয়)
প্রশ্ন চলে আসে বয়োঃবৃদ্ধ সাইফুদ্দিন সিদ্দকীর হঠাৎ করে ভাষাগত এ পরিবর্তন চলে আসে কিভাবে? যেখানে তার ছেলের ভাষাও পশ্চিমবঙ্গের সূর সেখানে বয়োঃবৃদ্ধ সাইফুদ্দিন সিদ্দিকীর ভাষা বাংলাদেশের মত হয়ে গেলো জীবনের শেষ মুহূর্তে আশ্চর্য নয়কি? আদ দাওয়াহ পুরা বইটাই বাংলাদেশের ভাষাশৈলী ব্যবহার করা হয়েছে।
কিছুদিন আগে বলেছিলাম ফুরফুরা সিলসিলার সাইফুদ্দিন সিদ্দিকীর নামে "আদ দাওয়াহ" কিতাবটা আব্দুল মালেকের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে লেখা। অনেকেই আমার সাথে একমত হতে পারেন নাই। একমত দ্বিমতে কিছু যায় আসে না বাস্তবতা এটাই।
একটা প্রমাণ আমি আপনাদের সন্মুখে পেশ করছি।
১) আব্দুল মালেকের তত্ত্বাবধানে লেখা "প্রচলিত জাল হাদীসের" ২২০ পৃষ্ঠার চিহ্নিত অংশ লক্ষ্য করুন। নূর বিষয়ে ৫ টা হাদীছ শরীফ সিরিয়াল সহ দেখুন।




২) এবার "আদ দাওয়াহ" কিতাব খুলুন। উক্ত কিতাবের ৬১ পৃষ্ঠার চিহ্নিত অংশটা দেখুন। আব্দুল মালেকের বইতে যে সিরিয়ালে যে হাদীছ গুলো আছে সেটা হুবুহু এখানেও পাবেন। এমনকি ব্রকেটের ( ) এর মধ্যে "(সৃষ্টি)" শব্দটিও হুবুহ পাবেন।


অর্থাৎ প্রমাণ হলো, চোর চুরি করলে কিছু আলামত রেখে যাবে। এই কিতাবদ্বয়েও সে আলামত স্পষ্ট। অর্থাৎ আব্দুল মালেকের ছোঁয়া "আদ দাওয়াহ" কিতাবে বিদ্যমান। বোঝা যায় "আদ দাওয়াহ" কিতাব ফুরফুরা সিলসিলার কোন কিতাব নয় এটা ওহাবী আব্দুল মালেকের শাগরেদ দ্বারা লিখিত একটা বই।
সূতরাং প্রমাণ হলো ১ম সংষ্করন ও ২য় সংষ্করনে বিস্তর ইফরাদ তাফরীদ। বোঝাই যাচ্ছে ইচ্ছামত কারচুপি হয়েছে।
সম্পূর্ণ বিষয়টা বুঝতে এই লেখাগুলো আপনাকে অবশ্যই আবারো পড়তে হবে:
১) মারকাযুদ দাওয়ার আব্দুল মালেকের সুক্ষ্ম ষড়যন্ত্র https://tinyurl.com/y8j26wjb
২) মারকাযুদ দাওয়ার আব্দুল মালেকের বই থেকে হুবুহু কপি পেষ্ট “আদ দাওয়াহ” কিতাবে https://tinyurl.com/ycoou2v6
৩) আব্দুল মালেকের ছাত্র মাগুড়া দরবারের মনিরুল ইসলামের সম্পৃক্ততার প্রমাণ https://tinyurl.com/y7sktxuf
৪) মারকাযু দাওয়ার আব্দুল মালেক মনিরুলের দরবার ভিত্তিক কানেকশন https://tinyurl.com/ya2dwrcy
৫) সাইফুদ্দীন সিদ্দীকির পিতা হযরত আবু জাফর রহমতুল্লাহি আলাইহির আকীদা কি ছিলো https://tinyurl.com/ycxxk7bf, https://tinyurl.com/yb2flqyl
৬) ফুরফুরার ঐক্যমত্য কোন বিষয়ে https://tinyurl.com/ybbaejbl
৭) সর্বপ্রথম সৃষ্টি বিষয়ে সাইফুদ্দীন সিদ্দীকির আকীদা তার কিতাব থেকে https://tinyurl.com/ycxxk7bf
৮) স্বয়ং এই আদ দাওয়াহ বইটাই সাইফুদ্দীন সিদ্দীকির অসিয়তের সাথে সাংঘর্ষিক https://tinyurl.com/y7rx5ewc
৯) যে ফুরফুরা সিলসিলার ফতোয়া হচ্ছে ইবনে তাইমিয়ার বক্তব্য ছুড়ে ফেলতে হবে সেখানে আদ দাওয়াহ কিতাবে ইবনে তাইমিয়ার দলীল কি প্রমাণ করে https://tinyurl.com/yc9ly65b
১০) অসিয়তের কিতাব কি ৩৫২ হতে পারে ? https://tinyurl.com/ybfqhun7
১১) এই প্রশ্নের জবাবও কোন দাওয়াহ নামক জাল কিতাবের সমর্থনকারী দিতে পারে নাই https://tinyurl.com/ydgu692l
উপসংহার: সিলসিলায়ে ফুরফুরার আক্বীদা ও আমল হযরত মুজাদ্দিদে যামান হযরত আবু বকর সিদ্দীক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মত ও পথ, উনার খলীফা ও ৫ আওলাদের মত ও পথের উপর প্রতিষ্ঠিত। হঠাৎ করে ভুইভোঁড়ের মত কেউ উদয় হয়ে যদি আকাবীরে ফুরফুরার মত ও পথকে বির্তকিত করতে চাইলেই কি সমগ্র জগতে সমাদৃত ফুরফুরার আকীদাকে বাদ দিয়ে সেই ভুঁইফোড়কে মেনে নিতে হবে? ৪০ টি হাদীছ শরীফের কিতাবের সনদপ্রাপ্ত মুজাদ্দিদে জামান আবু বকর সিদ্দীক রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হাফিজে হাদীছ রুহুল আমিন বশিরহাটী রহমতুল্লাহি আলাইহি, মুফতীয়ে আযম আবু জাফর সিদ্দীক রহমতুল্লাহি আলাইহি, বিখ্যাত আলেম নিছারুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি, পরবর্তীতে সাইফুদ্দীন সিদ্দীকী নিজেও সর্বপ্রথম সৃষ্টি নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ আকীদা পোষন করতেন। তাহলে আজ যারা এ হাদীছকে জাল প্রমাণ করার জন্য ওহাবী মৌলবীদের সাথে হাত মিলিয়েছে তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে পূর্ববর্তী আকবীরদের অপমান করা ও বির্তকিত করা। এটা এখন না বুঝতে পারলে ভবিষ্যতে রয়েছে ভয়ানক দুর্ভোগ । সূতরাং হে ফুরফুরার অনুসারিরা এখনি সাবধান হোন, দুশমনকে চিহিৃত করুন। সিলসিলাকে বির্তকিত হতে দিবেন না।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন