আশরাফ আলী থানবী সকলের এক পরিচিত
নাম। সে অনেক কিতাবই লিখেছে। পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম সর্ম্পকেও তার কিতাব আছে। কিতাবের নাম হচ্ছে “ঈদে মীলাদুন্নবী কী শরয়ী
হাইসিয়ত” যার বাংলায় অনুবাদ হয়েছে “শরীয়তের দৃষ্টিতে ঈদে মীলাদুন্নবী”।
উক্ত কিতাবে নিয়ামত, অনুগ্রহ, রহমত দ্বারা হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বুঝানো হয়েছে। এই কিতাবে ৩৬ থেকে ৩৮ পৃষ্ঠা পর্যন্ত লেখায় যা বোঝা যায়,
১) সমস্ত নিয়ামতের নিয়ামত হচ্ছেন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
২) হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার আগমন প্রতিটি বস্তুর জন্য রহমত।
৩) হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান অস্তিত্ব মুবারক সর্বপ্রথম নুর হিসাবে সৃষ্টি করা হয়েছে।
৪) উক্ত নুর মুবারক দৈহিক আকৃতি মুবারকে গোটা বিশ্বজাহান আলোকিত করেছেন
৪) উক্ত নুর মুবারক দৈহিক আকৃতি মুবারকে গোটা বিশ্বজাহান আলোকিত করেছেন
৫) হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম সমগ্র বিশ্ব জগতের জন্য রহমত, উনার আগমন সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত।
৬) সূরা ইউনুছ শরীফের ৫৮ আয়াতের আল্লাহ পাকের ফদ্বল ও রহমত পাওয়ার কারনে যে খুশি প্রকাশ করতে বলা হয়েছে সেই ফদ্বল ও রহমত হচ্ছেন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
৬) সূরা ইউনুছ শরীফের ৫৮ আয়াতের আল্লাহ পাকের ফদ্বল ও রহমত পাওয়ার কারনে যে খুশি প্রকাশ করতে বলা হয়েছে সেই ফদ্বল ও রহমত হচ্ছেন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
৭) হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন সমগ্র নিয়ামত, অনুগ্রহ, রহমতের মূল উৎস।
৮) হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার আগমনে খুশি প্রকাশ সবার জন্য আবশ্যক।
৯) সূরা ইউনুস ৫৮ আয়াত দ্বারা
বোঝা গেলো নিয়ামতের জন্য আনন্দিত হওয়া আবশ্যক।
১০) আর ফদ্বল ও রহমত পেয়ে খুশি
প্রকাশ দুনিয়ার সমস্ত আমলের চাইতে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ।
উক্ত কিতাবে যদিও কিছু ক্ষেত্রে আশরাফ আলী থানবী কিছু ইখতেলাফ করেছে কিন্তু
উপরো্ক্ত আলোচনায় তার বক্তব্য ঠিক আছে। এই টুকুও যদি যারা বিরোধীতা করে তারা মানতে
পারে তাহলে মূল বিষয়ে বিরোধীতা থাকার কথা নয়।
আল্লাহ পাক সাবাইকে বিষয় গুলো বোঝা ও উপলব্দির তৌফিক দান করুন।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন