একটা কথা প্রায়ই শোনা যায়, এক
শ্রেনীর লোক প্রচার করে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবী নাকি চালু হয়েছে ৬শত হিজরীতে।
অথচ এই আঙ্গিকেই যদি দেখা হয় তাহলেও তাদের কথা ভুল। কারন কিতাবে আছে ৩৯৪ হিজরীতে
মিশরে মাস ব্যাপী পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবী পালন করা হতো। আপত্তিকারীদের দেয়া সনের
প্রায় ২০০ বছর আগে।
বিখ্যাত আলেমে দ্বীন ইমাম মিকরিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “তাজুল হুনাফা” কিতাবে এ প্রসঙ্গে লিখেন।,
سنة أربع وتسعين وثلثمائة
তিনশত চুরানব্বই হিজরী
وفي ربيع الأول ألزم الناس بوقود القناديل بالليل في سائر الشوارع والأزقة بمصر
অর্থ:
“রবিউল আউয়াল মাসে (হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ
উপলক্ষে) সব মানুষকে রাষ্ট্রীয় ভাবে ঘোষনা করে দেয়া হলো,
সর্ম্পর্ণ মাস রাস্তায় রাস্তায়
বাতি জ্বালিয়ে রাখতে হবে।” (তাজুল হুনাফা ২/৪৮, আজজামেউ ফিল মাওলুদ৩/১২)
সূতরাং ৬ শত হিজরীতে ঈদে মীলাদে
হাবীবী প্রথম শুরু হয়েছে কথাট ঠিক নয়। ৪ শত হিজরীতেও আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয়ভাবে ঈদে
মীলাদে হাবীবী পালন করা হয়েছে। মূলত এই মাহফিল হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় থেকেই চলে আসছে। কিন্তু মাসকে নিদৃষ্ট করে জাতীয়ভাবে
জাকজমকের সাথে পালনের যে ঘটনা আমরা এখানে দেখতে পাই। শুধু তাই নয় খলীফা
হারুনুর রশীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি (১৪৮ -১৯৩ হিজরী) উনার যামানাতেও এই মীলাদ মাহফিল
পালন হয়েছে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন