মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭

মাওলুদে বারজাঞ্জি কিতাবেও আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম কিতাবে বর্নিত খুলাফায়ে রাশেদীন উনাদের দলীল আছে

ইতিপূর্বে “আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবে খুলাফায়ে রাশেদীর রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের বর্ননা দুইটা কিতাব থেকে দেখিয়েছি (১ম পর্ব , ২য় পর্ব)আজকে আরেকটি দলীল উপহার হিসাবে গ্রহন করুন।আপনারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সুন্নীরা সবাই কমবেশি “মাওলুদে বারজাঞ্জি” শরীফের নাম শুনেছেন। আমাদের দেশ সহ এই উপমহাদেশে মীলাদ শরীফে যে তাওয়াল্লুদ শরীফ পাঠ করা হয় সেটা “মাওলুদে বারজাঞ্জি”। 
হযরত কারামত আলী জৈনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “বরাহিনুল কতেয়া ফি মাওলিদে খাইরুল বারিয়া” কিতাবেও এই তাওয়াল্লুদ শরীফ দেখতে পাবেন।
যাইহোক, এই বিখ্যাত কিতাবে অনেক গুলো শরাহ বা ব্যাখ্যা গ্রন্থ হয়েছে। একটা ব্যাখ্যা গ্রন্থের নাম হচ্ছে “মাদারেজ আস সউদ”। লেখক, আল্লামাতুশ শায়ক হযরত নূরী রহমতুল্লাহি আলাইহি। এই কিতাবের ১৫ পৃষ্ঠায়, (স্ক্যান কপিতে মার্ক করা দ্রষ্টব্য) রয়েছে,


হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, 

من عظم مولدي كنت شفيعا له يوم القيامة من أنفق درهما في مولدي فكأنما أنفق جبلا من ذهب في سبيل الله تعالى
অর্থ: যে পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করলো সে কিয়ামতে দিন আমার শাফায়াত লাভ করবে, এবং যে মীলাদ শরীফ পালন করতে এক দিরহাম খরচ করবে সে আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় উহুদ পাহাড় পরিমান স্বর্ণ দান করার ফযিলত লাভ করবে। (মাদারেজ আস সউদ ১৫ পৃষ্ঠা)
এরপর ধারাবাহিক ভাবে খুলাফায়ে রাশেদীন রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের বর্ণনা গুলো আছে যা স্ক্যান কপিতে চিহিৃত করে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এই লিংটা দেখতে পারেন  (বিস্তারিত জানতে ক্লিক কুরন)
এখন আপনারাই বলুন এই বর্ণনা গুলো কি মাকতাবয়ে হাক্কীকার বানানো কথা? যদি এসব বর্ণনার কোন ভিত্তিই না থাকতো তাহলে কি উলামায়ে কিরামগন উনাদের কিতাবে বর্ণনা করতেন?

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন