সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

কুরবানীর চামড়া কেড়ে নিয়ে সেটার টাকায় মাস্তানরা নেশা ও মহিলাবাজি করে এর প্রতিকার কোথায়?


কুরবানীর অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ‘কুরবানীর পশুর চামড়া’। এই চামড়া হচ্ছে গরীবের হক্ব। ইয়াতিম ছাত্র ছাত্রীদের হক্ব। আর্শ্চায্য হলেও সত্য যে এই চামাড়া ছিনিয়ে নিয়ে যায় দলীয় মাস্তানরা।
এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন কয়েকজনের কাছ থেকে শুনলাম সন্ত্রাসীদের ঘৃন্য আচরনের কথা।
এক ব্যক্তি যে তার কুরবানীর চামড়া নিশ্চিত মাদ্রাসায় দিবে। তার কাছ থেকে চামড়া সংগ্রহ করতে গিয়েছে এমন একজন মাদ্রাসার লোক গিয়ে দেখলো সেখানে একদল সন্ত্রাসী আগেই বসে আছে। মাদ্রাসার সে লোককে দেখে ক্ষমতাসীনদের রাজনীতি করে এমন একজন গুন্ডা এসে বললো , হুজুর জবাই করতে আসছেন করেন। চামাড়ার দিকে ভুলেও তাকাইয়েন না। চোখ থাকবো না।”
এমন হুমকীর মুখে নিরীহ একজন মাদ্রাসার ছাত্র নিশ্চিত প্রাপ্ত গরীবের হক্ব হারালো।
আরেক জনের অভিজ্ঞতা: এক ব্যাক্তি কুরবানী দিয়ে চামড়াটা মাদ্রাসার জন্য রেখে দিয়েছেন। মাদ্রাসার তরফ থেকে যখন একজন চামড়াটা আনতে গেলো দেখলো সেই বাড়ির গেটে ৮/১০ পাড়ার রাজনীতি করে এমন সন্ত্রাসী দাঁড়িয়ে আছে। হুজুর মত এই লোককে দেখে একটু আড়ালে নিয়ে কোমড়ে পিস্তল ঠেকিয়ে বললো ‘চামড়া নিতে আসলে ফুটা কইরা দিমু’।
মাদ্রাসার জন্য ৩/৪ টা চামাড়া সংগ্রহ রিকশায় করে নিয়ে আসছিলেন একজন মাদ্রাসার দায়িত্বশীল। পথে তার রিকশাটা থামালো ৬/৭ জন সন্ত্রাসী। তারা বললো, হুজুর চামাড়াডা আমাগো এলাকার। চামাড়া গুলান রাইখা যান। চামড়া লইয়া এলাকার উপর দিয়া যাইতে পারবেন না।”
সূতরাং চামড়া রেখেই আসতে হলো মাদ্রাসার সেই ব্যক্তির।
একজন লোক আগেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি মাদ্রাসায় চামড়া দিবেন। তিনি চামড়া দিতে যাচ্ছেন এমন সময় এলাকার মাস্তানরা এসে বললো , এলাকায় বাস করেন আর আমাগো চামড়া না দিয়া হুজুরগো দেন?” লোকটা প্রতিবাদ করায় এক পর্যায়ে মাস্তানরা ভদ্রলোককে ধাক্কা মারে ও মারধোর করে...........।
এমন আরো অনেক নোংরা তিক্ত ঘটনা আছে যা বলে শেষ করা যাবে না। গরীবের হক্ব হচ্ছে চামড়া। ইয়াতিম ছাত্ররা মাদ্রাসায় পড়ে তাদের খরচের জন্য চামড়ার অর্থ ব্যয় করা হয়। সে চামড়া কেড়ে নিয়ে যায় দলীয় রাজনীতী করে এমন সন্ত্রাসীরা। এটা কোন ইনসাফ?
চামাড়া নিয়ে মাস্তানরা কি করে? বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাস্তান ও এলাকার রাজনীতী করে এমন লোকদের কুরবানীর দিবাগত রাত হয় মহা ফূর্তির রাত। তারা রাতে কুরবানীর চামড়া বিক্রি করা টাকায় ফেন্সিডিল, মদ, ইয়াবা খেয়ে পিনিক নেয়। আর রাতে খারাপ মহিলা এনে রাত কাটায়।

কি হচ্ছে দেশে? সরকারের নাম ভাঙ্গিয়ে রাজনীতি করে এমন মাস্তানরা গরীবের হক্ব চামাড়া কেড়ে নিয়ে গরীবের পেটে লাথি মারার সাথে সাথে সেই টাকা দিয়ে নোংরামী করছে অথচ তার কোন বিচার হচ্ছে না। পুলিশ প্রশাসনও ‍কোন প্রতিকার করতে পারছে না। কারন তারা “ওমুক ভাইয়ের লোক”।
জনগনকেই এর ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব মাস্তানদের পিটিয়ে হাড্ডি ভেঙ্গে দিতে হবে। জনমত তৈরী করতে হবে এসব সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায়, মিডিয়াকে এগিয়ে আসতে হবে নিউজ করার জন্য।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন