মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

বাংলাদেশের মাদ্রাসাকে ধ্বংশ করে দেয়ার জন্য চামড়া শিল্পের উপর আঘাত করছে ভারত।


বাংলাদেশের মাদ্রাসাকে ধ্বংশ করে দেয়ার জন্য চামড়া শিল্পের উপর ঘাত করছে ভারত। প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে?
এর আগে একটা বিষয় বুঝেন। মোটামুটি দামে যদি ট্যানারীতে বিক্রি করা হয় তবে ৩০০০ টাকা করে প্রতি পিস চামড়ায় পাওয়ার কথা। অথচ সেখানে ১০০০ টাকা পিস পাওয়াই কঠিন। দেশে যদি ৩ কোটি গরু কোরবানী দেয়া হয় তবে মোটামুটি ন্যায্য দরে পাওয়ার কথা ছিলো (৩ কোটি × ৩০০০) = ৯ হাজার কোটি।
সেখানে এখন ৫০০ কোটি টাকাই পাওয়াই দুষ্কর। কারন ঢাকা শহরে এভারেজ ১০০০ টাকা করে বিক্রি করতে পারলেও ঢাকার বাইরে ৩০০/৪০০ টাকার বেশি  প্রতি পিস বিক্রি করতেই পারে নাই।
খাসীর চামড়া যেখানে প্রতি পিস ১০০ করে বিক্রি করার কথা সেখানে ২০/৩০ টাকার বেশি বিক্রি করা যায় নাই। এখানেও লস ১০০০ কোটি টাকার মত।
মূলত এই লোকসানটা কাদের? যারা গরীব, অসহায়, ইয়াতিম মাদ্রাসার ছাত্র তাদের। এই টাকা তাদের হক্ব ছিলো অথচ সিন্ডিকেট করে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। কেড়ে নেয়া হচ্ছে গরীবের হক্ব।
জানা দরকার এর পেছনে উদ্দেশ্য কি? উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশ থেকে মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া।
কিরকম ষড়যন্ত্র হচ্ছে  দেখুন, সরকার যাকাতের টাকা সংগ্রহের জন্য সরকারী ত্রান তহবিল করেছে। মানুষ এখন সরাসরি বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ত্রান তহবিলে যাকাতের টাকা দেয়। এই ত্রান তহবিলের টাকা কোথায় যায় তার কোন ঠিক নাই। সংবাদে এসেছে, এই তহবিল থেকে হিন্দুদের পুজার ফান্ডও দেয়া হয়। মাদ্রাসার ৬ মাসের খরচ যে যাকাত থেকে আসতো তা সরকারী ত্রান তহবিলে গিয়ে হিন্দুদের পুজায়ও ব্যয় হচ্ছে। অপরদিকে মাদ্রাসা এই নিশ্চিত প্রাপ্ত অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আর বাকি ৬ মাসের জন্য কোরবানীর চামড়ার টাকা কিভাবে মারা যাচ্ছে তাতো হিসাব দেখালামই। একসূত্রে জানা গেছে, ঢাকার বাইরে যে গরু গুলি কোরবানী দেয়া হয় তা খুবই নগণ্য মূল্যে কিনে নেয় হিন্দু ভারতীয় এজেন্টরা। তারা সেগুলো বর্ডার দিয়ে ইন্ডিয়া পাচার করে দেয়। যেহেতু ঢাকার বাইরে কোন ট্যানারী নাই তাই সাধারন লোকদের অল্পদামে যার তার কাছে বিক্রি না করে উপায় থাকে না। ফলে এ চামড়া গুলো হাতিয়ে নিয়ে যায় হিন্দুরা। সবদিক থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয় মুসলামানরা, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান গুলো। মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়ার জন্য চলছে এই ষড়যন্ত্র। বির্ধমীরা এটাই চায় , আর্থিক সংকট তৈরী করে মাদ্রাসা গুলোকে হতাশাগ্রস্থ করে একে একে বন্ধ করে দিতে।  মুসলামানরা যাতে দ্বীনি শিক্ষা লাভ করতে না পারে, ইসালাম বিমুখ হয়, অভিভাবকরা যাতে মাদ্রাসায় দৈন্যতা দেখে তাদের ছেলেমেয়েদের মাদ্রাসায় ভর্তি না করে জাহিল বানায় এটাই কাফির বির্ধমীদের চাওয়া। এ জন্যই চামড়া শিল্পের উপর আঘাত।

এখন মানুষের উচিত সচেতন হওয়া। চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো। সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিতে ব্যবস্থা নেয়া। গরীবদের পাশে এসে দাড়ানো ঈমানী দায়িত্ব। 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন