আজ প্রধানমন্ত্রী মাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জন্মদিন। আজ এই দিনে আপনাদের একটা বিশেষ ঘটনা শোনাবো।
“বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী” বইটার নাম সবাই শুনেছেন। ১৯৬৭ সালে জেলে বসে বঙ্গবন্ধু নিজের আত্মজীবনী লিখেন। ২০০৪ সালে সেই পান্ডুলীপি শেখ হাসিনা হস্তগত হয়। পরবর্তীতে সেই বই ২০১২ সালে প্রকাশ হয়।
আজ সেই গুরুত্বপূর্ণ বই থেকে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো। উক্ত বইয়ের ৭ পৃষ্ঠায় লেখা আছে, বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেন-
“ আমার যখন বিবাহ হয় তখন আমার বয়স বার তের হতে পারে। রেনুর বাবা মারা যাওয়ার পরে ওর দাদা আমার আব্বাকে ডেকে বললেন, তোমার বড় ছেলের সাথে অামার নাতনীর বিবাহ দিতে হবে। কারন আমি সমস্ত সম্পত্তি ওদের দুই বোনেকে লিখে দিয়ে যাব। রেনুর দাদা অামার আব্বার চাচা। মুরুব্বীর হুকুম মানার জন্যই রেনুর সাথে আমার বিবাহ রেজিষ্ট্রি করে ফেলা হলো। আমি শুনলাম আমার বিবাহ হয়েছে। তখন কিছুই বুঝতাম না, রেনুর বয়স তখন বোধহয় তিন বছর হবে।””” (অসমাপ্ত আত্মজীবনী পৃ. ৭)
যা প্রমাণ হলো,
১) বিয়ের সময় বঙ্গবন্ধুর বয়স ছিলো ১৩ বছর।
২) বিয়ের সময় বেগম ফজিলাতুন্নেছার বয়স ছিলো ৩ বছর।
এই বিবাহ নিঃসন্দেহে বাল্য বিবাহ।
অতএব, আজকের এই দিনে আশা করি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী নিজের পিতা ও মাতার বাল্যবিবাহের দিকে খেয়াল রেখে বাল্য বিবাহ বিরোধী অাইন থেকে ফিরে আসবেন, এবং বাল্য বিবাহের সুযোগ করে দিবেন।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন