দেওবন্দীদের গুরু
আশরাফ আলী থানভীর কিতাব দ্বারা তাদের মুরুব্বী কাশেম নানতুবীর হাজির নাজির, গায়েবের
জ্ঞান, অন্যকে সাহায্য করার কথা উল্লেখ আছে। তাহলে তারা হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গায়েব, হাজির নাজির মানতে এত সমস্যা কোথায়? দেওবন্দ
মাদ্রাসার অন্যতম মুহতামিম ক্বারী তৈয়ব বর্ননা করে—
" যে সময় ক্বারী রফিউদ্দিন সাহেব মাদ্রাসার মুহতামিম ছিলেন, তখন দারুল উলুমের কয়েকজন শিক্ষকের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মওলবী মাহমুদুল হাসান এই কোন্দলে জড়িত হয়ে পরেন। এবং কোন্দল বিস্তার লাভ করে।
এমনি এক সময়, একদিন ভোরে ফজরের নামাজের পর মাওলানা রফী উদ্দীন সাহেব মাওলানা মাহমুদুল হাসান সাহেবকে দারুল উলুমে নিজ কামরায় ডাকলেন। মাওলানা উপস্থিত হলেন এবং বন্ধ কামরার দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করলেন। তখন তীব্র শীতের মৌসুম ছিলো।
মাওলানা রফীউদ্দিন সাহেব বললেন, প্রথমে আমার এ তুলার তৌষকটা দেখুন। মাওলানা মাহমুদুল হাসান তোষকটা দেখলেন। যেটা আদ্র এবং খুব ভিজা ছিলো। রফিউদ্দীন সাহেব বললেন, ব্যাপার হচ্ছে কিছুক্ষণ আগে মাওলানা কাশেম নানুতুবী স্বশরীরে আমার কাছে তাশরীফ এনে ছিলেন।( অথচ কাশেম নানতুবী অনেক আগেই মারা গিয়েছিলো ) যার ফলে আমি একেবারে ঘেমে গেছি এবং আমার তোষক ভিজে গেছে। তিনি এটা বলে গেছেন যে , মাহমুদুল হাসানকে বলে দিও, সে যেন ঝগড়ায় জড়িত হয়ে না পরে। অতএব আমি আপনাকে এটা বলার জন্য ডেকেছি। অতপর, মাহমুদুল হাসান বললেন, হুজুর আমি আপনার হাতে তাওবা করতেছি এরপর এ ব্যাপারে কিছুই বলবো না।" (দলীল: আরওয়াহে ছালাছা ২৪৬ নং ঘটনা)
ব্যপারটা এখানেই শেষ নয়, এই ঘটনার ব্যাপারে মওলবী আশরাফ আলী থানবী উক্ত কিতাবে একটি টিকা সংযুক্ত করে দিয়েছেন। ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন-
"এ ঘটনা
ছিলো রুহের আকৃতি ধারন। এটা দুই ধরনের হতে পারে, এক, এটা রুপক শরীর ছিলো কিন্ত দেখতে ব্যহ্যিক শরীরের মত। দুই, রুহ স্বয়ং মূল পদার্থের উপর হস্তক্ষেপ করে বাহ্যিক শরীর গঠন করে
নিয়েছে।" (দলীল :আরওয়ায়ে ছালাছা
১৯৪ পৃষ্ঠা)
এবার আসুন উক্ত ঘটনার পর্যালোচনা করা যাক ,
উক্ত ঘটনা থেকে তাদের ফতোয়া মোতাবেক ৪ টা কুফরী / শেরকি আক্বীদা আছে।
(১) ইলমে গায়েব- তাদের ফতোয়ায় নবজী দেওয়ালের ওই পাশে কি হচ্ছে এটা বলতে পারেন না , অথচ তাদের মুরুব্বী নানতুবীর বেলায় প্রমান করলো তার গায়েবের জ্ঞান ছিলো। কারন এ জ্ঞান না থাকলে আলমে বরযখ বা মৃত্যুর পরের জগৎ থেকে তিনি দেওবন্দের গন্ডোগলের খবর কেমনে জানলেন ??
(২) হাজির নাজির-- তাদের ফতোয়ায় কোন নবী রসূল
হাজির নাদির হতে পারে না। অথচ ঘটনায় দেখা যাচ্ছে নিজেদের মুরুব্বীদের হাজির নাজির
হওয়ার ক্ষমতা ছিলো , যেকারনে মৃত্যুর পরও দেওবন্দ
মাদ্রাসায় হাজির হয়ে গিয়েছেন।
(৩) মৃত্যুর পর ক্ষমতা প্রয়োগের শক্তি -- যেখানে তাদের ফতোয়া মতে নবী রসূল গন ইন্তেকালের পর একটা মাছি তারানোর ক্ষমতা রাখে না সেখানে নানতুবী নিজ ক্ষমতা বলে দেওবন্দের কোন্দলের মিমাংসা করলেন।
সম্মানিত মুসলমান ভাইয়েরা বিচার আপনাদের কাছেই থাকলো। যেটা নবী - রসুল উনাদের বেলায় বললে কুফর, শিরিক সেটা তাদের মুরুব্বীদের জন্য জায়েজ এটা দিয়ি কি প্রমান হয় ?
দেওবন্দী দের নবী কে ??
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন