বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান কতটুকু সেটার প্রমাণ ইতিহাসে বিদ্যমান। ইতিহাস সাক্ষী বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ১৩ দিন আগে ভারত আসে, এসে তারা যেকাজ গুলো করে তার বিবরন একটু পরেই দিচ্ছি।
আর্শ্চয কথা হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার এই ভারতীয় দের ৫ লাখ রুপি করে ১৭০০ পরিবারকে ১১৭ কোটি ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে যাচ্ছে (http://bit.ly/2nUzlc9)। শুধু তাই নয় ভারতীয় এসব হিন্দু সৈন্যদের শহীদ উপাধিও দেয়া হয়েছে। শহীদ কাকে বলে সরকার কি সেটাও ভুলে গেছে?
এবার আসুন দেখা যাক স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদান কি ছিলো:
= বাংলাদেশে ভারতীয়দের লুন্ঠনের ব্যাপারে আজিজুল করিম ‘হোয়াই সাচ এন্টি-ইন্ডিয়ান ফিলিংস এমং বাংলাদেশী?’ শিরোনামে এক নিবন্ধে ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত ভারতীয় মাসিক ‘অনিক’-এর রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন, “ভারতীয় সৈন্যদের লুণ্ঠিত মালামালের মূল্য ছিল প্রায় ১শ’ কোটি মার্কিন ডলার।”
= বাংলাদেশে ভারতীয়দের লুণ্ঠনের ব্যাপারে ‘বাংলাদেশ পাস্ট এন্ড প্রেজেন্ট’ পুস্তকে সালাহউদ্দিন আহমদ লিখেছেন, “যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবার পর ভারতীয় সৈন্যরা পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিক সময় অবস্থান করতে থাকায় ভারত সমালোচিত হতে থাকে। অভিযোগ করা হয় যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী ট্রাক বহরে করে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও সাজসরঞ্জাম সরিয়ে নিয়ে যায়। ফলে ভারত বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদাশালী রাষ্ট্রের পরিবর্তে একটি তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় এমন একটি আশঙ্কা থেকে বাংলাদেশের প্রতি ভারতীয় নীতির বিরুদ্ধে উত্তেজনা ও সংশয় সৃষ্টি হয়।”
= মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক জয়নাল আবেদীনের ‘র এন্ড বাংলাদেশ’ শিরোনামে লেখা একটি বইয়েও বাংলাদেশে ভারতীয় আরদালীদের লুন্ঠনের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। বইটিতে তিনি লিখেছেন, “পাকিস্তানি সৈন্যদের আত্মসমর্পণের পর ভারতীয় সৈন্যদের ব্যাপক লুটতরাজ দেখতে পেয়ে ভারতের প্রকৃত চেহারা আমার কাছে নগ্নভাবে ফুটে উঠে। ভারতীয় সৈন্যরা যা কিছু দেখতে পেতো তার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়তো এবং সেগুলো ভারতে বহন করে নিয়ে যেতো। লুটতরাজ সহজতর করার জন্য তারা আমাদের শহর, শিল্প স্থাপনা, বন্দর, সেনানিবাস, বাণিজ্যিক কেন্দ্র এমনকি আবাসিক এলাকায় কারফিউ জারি করে। তারা সিলিং ফ্যান থেকে শুরু করে সামরিক সাজসরঞ্জাম, তৈজষপত্র ও পানির ট্যাপ পর্যন্ত উঠিয়ে নিয়ে যায়। লুণ্ঠিত মালামাল ভারতে পরিবহনের জন্য হাজার হাজার সামরিক যান ব্যবহার করা হয়।”
বইটির আরেকটি অংশে তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভারত অর্থনৈতিক, সামরিক, কৌশলগত ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক লাভবান হয়েছে। এ কারণে দেশটি তার নিজের স্বার্থে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সম্পৃক্ত হয়, আমাদের স্বার্থে নয়।”
যারা আমাদের সাহায্যের নামে বাথরুমের বদনাও চুরি করে নিয়ে গেছে আজ তাদের সম্মান করার জন্য “শহীদ” উপাধি দেয়া হচ্ছে, সম্মাননা হিসাবে ১৭০০ পরিবারকে ১১৭ কোটি টাকা দেয়া হচ্ছে। অপরদিকে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা পেটের দায়ে ভিক্ষা করছে (http://bit.ly/2o8JYHM, http://bit.ly/2oHfbzw)
সূতরাং কেন ভারতকে সন্তুষ্ট করতে শত শত কোটি দেয়া হচ্ছে? জাতি জানতে চায় ভারততোষনের মূলে কি আছে। ৭১ এ যারা আমাদের সম্পদ লুট করেছে তাদেরকে আমাদের পকেটের টাকা দিয়ে অনুদান দেয়া কখনোই মেনে নেয়া যাবে না।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন