মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০১৭

অপারেশন টোয়াইলাইট নিয়ে জনগনের মনে যে প্রশ্ন গুলো এসেছে


অপারেশন টোয়াইলাইট এর পরিচালক বিগ্রেডিয়ার ফখরুল বলেছিলেন, “আমরা যে গ্রেনেড ছুড়েছি, তারা সেগুলো ধরে উল্টা আবার আমাদের দিকে নিক্ষেপ করেছে।” (http://bit.ly/2nBQ5UP))
ব্যাপারটা একটু ভাবার মত বিষয়ই বটে। গ্রেনেড ছোঁড়ার পর সেটা আবার ধরে পাল্টা ছুঁড়ে মারা। গ্রেনেড সর্ম্পকে যারা কিছুটা জানেন তারা বিষয়টা বুঝতে পারবেন। কার্যপ্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে গ্রেনেড প্রধানত দুই ধরনেরঃ  ১) Time-Delay Grenade ২) Impact Grenade 
১) Time-Delay Grenade : এই ধরনের গ্রেনেডকে হ্যান্ড গ্রেনেডও বলা হয়। টাইম ডিলেয় গ্রেনেড গুলো সাধারনত সেফটি পিন খুলে হাত দিয়ে ছুঁড়ে মারা হয় এবং একটি নির্দিস্ট সময় পর এটি বিস্ফোরিত হয়। এই সময়টি সাধারনত হয় ৩-৪ সেকেন্ড। তবে কোন কারনে ভিতরের রাসায়নিক পদার্থের গুনগতমানের পরিবর্তন ঘটলে এই সময় কম-বেশি ২-৮ সেকেন্ড হতে পারে। 
২) Impact Grenade  : এ জাতীয় গ্রেনেড এর কার্যপ্রক্রিয়া অনেকটা উড়োজাহাজ থেকে ছুঁড়ে মারা বোমার মত। অর্থাৎ এই গ্রেনেড টার্গেটকে স্পর্শ করার পর পরই বিস্ফোরিত হয়। Impact Grenade হাত দিয়ে নিক্ষেপ করা হয় না। এটি সাধারনত গ্রেনেড লাঞ্চার থেকে নিক্ষেপ করা হয়। (সূত্র: http://bit.ly/2nbGLDa)
এখন যদি ১ম প্রকার গ্রেনেড সন্ত্রাসীদের দিকে নিক্ষেপ করার পর সন্ত্রাসীরা সেটা ধরে আবার পাল্টা ছুঁড়ে মারতে কি ৪ থেকে ৮ সেকেন্ড সময় পেয়েছে? ব্যাপারটা যেন সামনা সামনি ক্রিকেট বল ছুড়ে ক্যাচ প্রকটিসের মত শোনাচ্ছে। যদি দৃষ্টি সীমার মধ্যেই থাকে তবেতো গুলি করলেই চলে। আচ্ছা, ধরে নিলাম সন্ত্রাসীরা ক্যাচ ধরা ও নিক্ষেপ কারায় বেশ দক্ষ , তারা সেটা ক্যাচ লুফে নিয়ে ক্ষিপ্রতার সাথে ছুড়েও মারলো। এরপর সেনাবাহিনীর কাছে গিয়ে পড়লো উনারাও হয়তো দক্ষতার সাথে পাল্টা ক্যাচ ধরেছেন।
Ø এই ক্যাচ ধরা ধরি কি ৮ সেকেন্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো??? জানতে ইচ্ছা হচ্ছে!
Ø সকল ইলেক্ট্রীট লাইন বিছিন্ন করা হয়েছিলো, অন্ধকারে কি এত সহজেই লুফে নেয়া যায়?
Ø সেনাবাহিনীর দিকে যেগুলো পাল্টা ছুড়ে দেয়া হচ্ছিলো সেগুলো কি একটাও ফোটে নাই?

অধিকাংশ গ্রেনেডই বিস্ফোরণের পরে চারিদিকে ছররা বা ধাতুর টুকরো বা শার্পনেল অতি দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। এই ছোড়া ছুড়ির প্রতিযোগীতায় কেউ আহত হলো না কেন?
আরেকটা বিষয় জানতে ইচ্ছে করছে, সন্ত্রাসীরা ভবনের বিভিন্ন রুমে আইইডিসহ অনেক বিস্ফোরক সেট করে রেখেছে তাই সেখানে প্রবেশ করা ছিলো যথেষ্ট দুর্গম। এখন কথা হচ্ছে যখন কমান্ডোরা  ৩০ টা ফ্লাটের ৭৮ জন সদস্যকে উদ্ধার করলো তখন কেন বিল্ডিং এর  প্রতিটা ফ্লোরের দখল নিলো না সেটা জানা দরকার। যদি সবগুলো ফ্লোর দখলেই থাকতো তবে সন্ত্রাসীরা কি চাপে থাকতো না? চার্জ সেট করার সুযোগ কি পেতো?

এই প্রশ্ন গুলোর জবাব পেলেই আশা করি উৎসুক জনগনের উনুসন্ধিস্যু মন প্রশান্ত হবে। 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন