সালাফী লা’মাযহাবীরা বিভিন্ন দলে ছিন্ন ভিন্ন তা তারা নিজেরাও জানে না। তারা যে ইসলামের কোন কিছুই ব্যালেন্স করতে পারে না ফলে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি করে ফিতনা ফাসাদ। নিদৃষ্ট কোন ইমাম না থাকার কারনে তারা বিভিন্ন দারে দারে ঠোকর খেয়ে বেড়ায়।
যেমন, তারা ইবনে তাইমিয়া, ইবনুল কাইয়্যিুম জাওযীয়া, হযরত ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি কে মান্য করে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারা দুনিয়ায় এত ইমাম থাকতে শুধু উপরোক্ত ব্যাক্তিদের কেন মানে? এর কারন হচ্ছে, লা’মাযহাবীদের মূল গুরু ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী এদের সমর্থন করেছে তাই। কারন ইবনে তাইমিয়া আক্বীদার ক্ষেত্রে আশয়ারী আক্বীদার বিরুদ্ধাচারন করেছে, একারনে অবশ্য পানিশমেন্ট হিসাবে বারবার জেলও খাটতে হয়েছে তাকে। প্রতিবারই তাওবা করে জেল থেকে বের হতো আর নতুন বির্তকের জন্ম দিতো। শেষ বার যখন জেলে যায় সেখানে তার মৃত্যুও হয়। যাইহোক, প্রকৃতপক্ষে বর্তমান লা’মাযহাবী সালাফীরা তাইমিয়া বা অন্যান্যদের মানে না।
ইবনে তাইমিয়া হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী ছিলো। লা’মাযহাবীরা মাযহাব মানে না।
ইবনে তাইমিয়া, ইবনুল কাইয়্যিুম ইলমে তাছাউফ ও ছুফীদের সমর্থক ছিলো সালাফীরা এর ঘোর বিরোধী। শুধুতাই নয় ইবনে তাইমিয়া তাছাউফের উপর অনেক কিতাবও লিখেছে। বিশেষ করে তার “মজমুয়ায়ে ফাতাওয়াতে” ইলমে তাছাউফের উপর একটা অধ্যায় আছে সেখানে তাছাউফ, ছুফী, কারামত, কাশফ এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা আছে। আর ইবনে কাইয়্যিূমতো তাছাউফের উপর একটা কিতাবই লিখেছে যার নাম “মাদারেকুস সালেকীন”। অথচ সালাফীরা ইচ্ছা করে এবিষয় গুলো দেখেও না দেখার ভান করে। তারা তাছাউফ শিরিক বলে, ছুফীদের কাফের বলে । নাইযুবিল্লাহ।
কথা এখানেই শেষ নয়, খোদ ইবনে তাইমিয়া নিজেই কাদরিয়া তরীকায় বাইয়াতও হয়েছিলো। এখন সালাফীরা কি জবাব দিবে?
মাঝখান থেকে সালাফীদের দুই দলের চাপাচাপীর ফলে সালাফী ছুফী নামে তৃতীয় একটা দলের জন্ম হয়েছে। যারা আক্বীদা ও ফিক্বহী বিষয়ে সালাফী আবার নিজেদের তাছাউফের চর্চকারীও দাবি করে। মানে জগাখিচুরী অবস্থা।
অপরদিকে ফিক্বহী মাসায়ালার ক্ষেত্রে উপরোক্ত ব্যক্তিবর্গ মাযহাবের অনুসরন করলেও সালাফী , লা’মাযহাবীরা মাযহাব মানা শিরিক বলে।
পরবর্তীতে নিজেদের আব্দুল ওহাব নজদীর অনুসারী দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে তারা তার কিতাবও পড়ে না। তারা বেছে নিয়েছে নসিরউদ্দীন আলবানী ও বিন বাযের অনুসরন। কিন্তু যখন আলবানী শবে বারাতের পক্ষে রায় দেয় তখনও সালাফীদের আবরো বিব্রত হতে হয়।
দারে দারে ধাক্কা খেয়ে সালাফীরা এখন ভবঘুরে হয়ে শতভাগে বিভক্ত একটি দল। আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত থেকে সর্ম্পকহীন।
এদের সম্পর্কে হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি আনুগত্য পরিত্যাগ করে এবং জামায়াত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, তার মৃত্যু হবে জাহেলিয়াতের মৃত্যু। (মুসলিম)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন