ছবিতে যে বইটার স্ক্যানকৃত অংশ দেখতে পাচ্ছেন সে বইটার নাম হচ্ছে “তাবলিগ জামাতের সমালোচনা ও জবাব”। বইটার লেখক হচ্ছে তাবলিগের অন্যতম নেতা মাওলানা জাকারিয়া। চিহিৃত অংশটা মন দিয়ে পড়ুুন।
যে বিষয়টা বোঝা গেলো সেটা হচ্ছে,
১) তাবলিগে ৬ টি কাজ বা তাদের ছয় উছুলের কাজ করা হয়।
২) আলেম জাহেল যেই তাবলিগে যাক কারো ছয় নম্বরের বাইরে কিছু বলা যাবে না।
৩) তাবলিগী আলেমরাও (তথাকথিত) ইজতেমায় গিয়ে ছয় নম্বরের বাইরে কথা বলতে পারবে না।
৪) ছয় নম্বরের বাইরে যা আছে তা সব বির্তকিত।
৫) ছয়টি বিষয়ে কারো দ্বিমত নেই।
এবার মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে এদের ছয় উছুলে কি কি আছে জেনে নেয়া যাক: ১. কালেমা ২. নামায ৩. এলেম ও জিকির ৪. একরামুল মুসলেমীন ৫. এখলাসে নিয়ত ৬. দাওয়াত ও তাবলীগ
এখন কথা হচ্ছে,
এই ছয় উছুলের বাইরে ফরয আরো অনেক বিষয় যেমন রোজা, হজ্জ, যাকাত, পর্দা, হালাল খাবার, হালাল রুযি, হক্কুল ইবাদ, আক্বীদার বিষয় সহ অনেক জরুরী বিষয় রয়েছে। এসব কি ইসলামের বাইরে?
ছয় উছুল ছাড়া উপরোক্ত জরুরী বিষয়গুলো কি আর কারো জানার দরকার নাই?
আলেম জাহেল সব তাবলিগী কেন ছয়টার বাইরে কিছু আলোচনা করতে পারবে না? ছয়টাতেই কি ইসলাম শেষ? যেখানে হাদীস শরীফে আছে, এক লোকমা হারাম খেলে ৪০ দিন ইবাদত কবুল হয় না। সেই হালাল হারামের তমিযের আলোচনাও কি করা যাবে না?
তারা বলেছে , ছয় নম্বারের বাইরে যা আছে সব বির্তকিত! (নাউযুবিল্লাহ)
তাদের কথায় এটা বোঝা যায় যে ছয় নম্বরের বাইরে রোজা, হজ্জ, যাকাত, পর্দা, হক্কুল ইবাদ সবই বির্তকিত জিনিস? এই ফরয বিষয় গুলোকে যারা বির্তকিত বলে তারা আদৌ কি মুসলামান?
তারা বলেছে, ছয়টা বিষয়ে কারো দ্বিমত নেই......। তাদের কথা কি গ্রহনযোগ্য? যারা বির্তক সৃষ্টি করবে তারা তো সববিষয়েই বির্তক করবে। যেমন, সালাফীরা কালিমা শরীফ নিয়ে বির্তক করে। তারা আল্লাহ পাকের নামের সাথে নবীজীর নাম লেখা শিরিক বলে। নাউযুবিল্লাহ।
নামাজের মাছায়ালা নিয়ে দুনিয়ার বাহাস মুনাজিরা হয়, মুক্তাদি সূরা ফাতিহা পড়বে কি পড়বে না, আমীন জোরে না আস্তে, রফে ইয়া দাইন করবে কিনা, বিতির নামাজ ১ রাকাত না ৩ রাকাত ... আরো কত কি!!!
তবে কেন শুধু শুধু নিজেদের মনমত ছয়টা বিষয় গ্রহন করে আর সব বিষয় বাদ দেয়া হচ্ছে?
যেখানে দ্বীন ইসলাম পরিপূর্ণ হয়ে গেছে সেখানে কোন সাহসে তারা ইফরাত তাফরীদ করে?
তারা কি কাদিয়ানীদের মত নতুন কোন শরীয়ত জারি করতে চায়?
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন