শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬

ঈদে মীলাদে হাবীবী সম্পর্কে ইমাম মুস্তাহিদদের বক্তব্য পর্ব-৩


হযরত শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
كنت قبل ذلك بمكة المعظمة فى مولد النبى صلى الله عليه وسلم فى يوم ولادته والناس يصلون على النبى صلى الله عليه وسلم ويذكرون ارهاصاته التى ظهرت فى ولادته وقبل بعثته فرايت انوارا سطعت دفعة واحدة لا اقول انى ادركتها ببصر الجسد ولا اقول ادركتها ببصر الروح والله اعلم كيف كان الامر بين هذا وذلك فتاملت تلك الانوار فوجدتها من قبيل الملئكة الموكلين بامثال هذه المشاهد وامثال هذه المجالس.
অর্থ:- “আমি একবার নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ বা আগমন তারিখে পবিত্র মক্কা মুয়াজ্জামা উনার সেই ঘরে উপস্থিত ছিলাম, যেখানে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ বা আগমন সময়কার এবং আনুষ্ঠানিক নবুওওয়াত প্রকাশের পূর্বেকার আশ্চর্য ও অলৌকিক ঘটনাবলী বর্ণনা করছিলেন। এমনি সময় হঠাৎ দেখতে পেলাম নূর চমকাচ্ছে। আমি বলবো না যে, তা আমার শরীরের চক্ষু দিয়ে দেখেছি আর এও বলবো না যে, রূহের চক্ষু দিয়ে দেখেছি। মহান আল্লাহ পাক তিনিই জানেন, এ দুয়ের মাঝামাঝি কেমন একটা অবস্থা ছিল। আমি এ নূরগুলোর মধ্যে ধ্যান করলে বুঝতে পারলাম- ইহা সে সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের নূর, যাঁরা এ ধরনের মজলিসে উপস্থিত হন।” সুবহানাল্লাহ!

শায়খুল মাশায়িখ হযরত শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
باقی ماند مجلس مولود شریف پس حال ایں اینست کہ بتاریخ دوازد ہم بشہر ربیع الاول ہمیں کہ مردم موافق معمول سابق فراہم شدند ودر خواندن درود شریف مشغول گشتند فقیر می اید اولا بعضے ازا حادیث فضائل انحضرت صلی اللہ علیہ وسلم مذکور می شود بعد ازاں ذکر ولادت باسعادت ونبذے از حال رضاع وحلیہ شریف وبعضے از اثار کہ دریں اواں بظہور امد بمعرض بیان می اید پستر ما صفر از طعام باشیرنی فاتحہ خواندہ تقسیم اں ہر حاضریں مجلس می شود.
অর্থ: “থেকে গেল পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার অনুষ্ঠানের কথা। এর বিবরণ হলো এই যে, পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ১২ তারিখে পূর্ব অভ্যাস মতো লোকজন এসে সমবেত হন এবং পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠে রত হন। আমি ফক্বীর এসে প্রথমে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান ও মান সম্বলিত কিছু পবিত্র হাদীছ শরীফ; নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন, দুধপান, পবিত্র জিসিম মুবারক উনার গঠন আকৃতি এবং উনার জীবন মুবারক উনার অলৌকিক কিছু ঘটনাবলী আলোচনা করি। অতঃপর উপস্থিত খানা বা শিরনীর উপর পবিত্র ফাতিহা শরীফ পাঠ করে তা উপস্থিত লোকজনের মধ্যে বিতরণ করা হয়।” (আদ্ দুররুল মুনায্যাম)

হযরত শাহ মুহম্মদ ইসহাক্ব মুহাদ্দিছ দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার স্বীয় কিতাব “মিয়াতু মাসায়িল” উনার মধ্যে ১৫নং মাসয়ালায় লিখেন,
وقیاس عرس بر میلاد شریف غیر صحیح است زیرا  کہ در مولود ذکر ولادت خیر البشر است واں موجب فرحت وسر وراست ودرشرع اجتماع براے فرحت سر ورکہ خالی از بدعات ومنکرات باشد اندہ واجتماع براے حزن وشرور ثابت نہ شدوفی الواقع فرحت مبثل فرحت ولادت انحضرت صلی اللہ علیہ وسلم در  دیگر امر نیست.
অর্থ: “পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার উপর উরসের ক্বিয়াস করা ঠিক নয়। কেননা পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ বা আগমনের আলোচনা হয়। ইহা আনন্দ খুশির কারণ। আর বিদয়াত এবং সম্মানিত শরীয়ত উনার বিরোধী কাজ থেকে মুক্ত হলে আনন্দ খুশির জন্য সমবেত হওয়া জায়িয। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের খুশির মতো খুশি আর কোনো কিছুতেই নেই।”

হযরত শাহ মুহম্মদ ইসহাক্ব মুহাদ্দিছ দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার  স্থলাভিষিক্ত উস্তাযুল উলামা হযরত মাওলানা শাহ আব্দুল গনী মুহাদ্দিছ দেহলবী মুহাজিরে মাদানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মাহফিলে শরীক হতেন। যেমন- উনার বিশিষ্ট শাগরিদ হযরত শাহ আব্দুল হক্ব এলাহাবাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন,
  
شیخنا ومرشدنا حضرت عمدۃ المفسرین وزبدۃ المحدثین جناب مولانا شاہ عبد الغنی صاحب نقشبندی مجددی قدس سرہ را دیدہ است کہ در محفل مولود النبی صلی اللہ علیہ وسلم کہ فارسی در مدینہ منورہ علی صاحیھا الصلوۃ والسلام بتاریخ دوازدہم ماہ ربیع الاول روز یکشنبہ ۱۲۸۷ ھجری در مسجد نبوی شدہ بود تشریف اور دہ شریک ایں محفل شریف شذد وذکر مولود شریف کے در صحن مسجد شریف  بر ممبر کدامی از ائمہ یکے بعد از دیگرے متوجہ بطرف روضہ شریف شدہ می خواند ند استماع فرموند وقت قیام ذکر ولادت شریف فرمودند وحال وکیفیات ایں محفل شریف کہ ظھور شدہ بود خارج از حیطئہ تقریر است ونزد حضرت ایں شاں ترجیح بد لائل صحیح ہماں امور را بود کہ ہر اں بودند.

অর্থ: “আমাদের শায়েখ ও মুর্শিদ উমদাতুল মুফাস্সিরীন, যুবদাতুল মুহাদ্দিছীন জনাব মাওলানা শাহ আব্দুল গনী ছাহেব নকশবন্দী মুজাদ্দিদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে আমি দেখেছি পবিত্র মদীনা শরীফ-এ ১২৮৭ হিজরী সনে পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ১২ তারিখে ইয়াওমুল আহাদ বা রবিবার দিনে পবিত্র মসজিদে নববীতে পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার অনুষ্ঠানে তিনি শরীক হন এবং মসজিদে নববীর আঙিনায় মিম্বরে বসে একের পর এক ইমামগণ পবিত্র রওযা শরীফ উনার দিকে মুখ করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের যে আলোচনা করছিলেন, তা  শুনেন। পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ উনার সময় সবার সাথে পবিত্র ক্বিয়াম শরীফও করেন। এ পবিত্র মাহফিলে হাল ও বরকত যা প্রকাশ পেয়েছিল, তা বলার ভাষা নেই।” (আদ্ দুররুল মুনায্যাম, রিসালায়ে আসরারে মুহব্বত)

হযরত মাওলানা শাহ মুহম্মদ ইছহাক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শাগরিদ মাওলানা ফজলুর রহমান গঞ্জমুরাদাবাদী উনার উক্তি কাজী নুরুল হাসান স্বীয় কিতাব “রিসালায়ে আসরারে মুহব্বাত” উনার মধ্যে লিখেন,

مولانا فضل الرحمن گنج مراد ابادی نے فرمایا کہ میں مولانا محمد اسحاق صاحب دھولی کے ساتھ مولود شریف  میں جایا کرتاتھا.
অর্থ: “মাওলানা ফযলুর রহমান গঞ্জমুরাদাবাদী তিনি বলেন যে, আমি মাওলানা ইসহাক্ব ছাহেব দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাথে পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিলে যেতাম।” অনুরূপ ‘মাখযানে আহমদী’ নামক কিতাবেও উল্লেখ আছে।

ইমামুত্ ত্বরীক্বত, মুজাহিদে মিল্লাত, আমীরুল মু’মিনীন, শহীদে আ’যম হযরত সাইয়্যিদ আহমদ বেরলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জীবনী গ্রন্থের মধ্যে উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করার উল্লেখ পাওয়া যায়। উনার মুরীদ সাইয়্যিদ মুহাম্মদ আলী তিনি “মাখযানে আহমদী” কিতাবের মধ্যে উনার আরব সফরের বিস্তারিত বর্ণনা লিখতে গিয়ে এক পর্যায়ে লিখেন, “যখন সাইয়্যিদ ছাহেবের জাহাজ লঙ্কা নামক বিপদ সঙ্কুল জায়গায় পৌঁছলো, যেখানে যাত্রীদেরকে জিন, দেও-দানবরা খুবই যাতনা দিতে থাকতো। তখন সাইয়্যিদ ছাহেব সারাটি রাত জাগ্রত থেকে হিজবুল বাহার ইত্যাদি পড়তে থাকেন। যখন মহান আল্লাহ পাক উনার কৃপায় দেও-দানবের হামলা থেকে নাজাত পেলেন এবং ভোর হতে লাগলো তখন শুকরিয়াস্বরূপ পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা হয়।”

“মাখযানে আহমদী” কিতাবের ইবারত হুবহু উল্লেখ করা হলো-

تا انکہ شب بپایاں رسید و صبح صادق برو می اید مید وجہاز از مکان خوف وہولناک بخیر یت تمام برو امد وہر گاہیکہ روز روشن شد نابک چند طبق حلوہ از حجرۂ خویش بیرو اوردہ مجلس مولود شریف منعقد کردہ بعد از اختتام قصائد مولود یہ شیرنی تقسم نمود.

অর্থ: “অবশেষে রাত্রি যখন পোহাতে লাগলো আর জাহাজ নিরাপদে বিপদ সঙ্কুল স্থানটি অতিক্রম করে গেল। সকাল বেলায় নাবিক, কয়েক থালা হালুয়া নিয়ে নিজ নিজ কামরা থেকে বের হলো, তখন পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা হলো। তারপর শিরনী বিতরণ করা হলো।”

“তাওয়ারিখে হাবীবে ইলাহী” কিতাবের মুছান্নিফ মুফতী হযরত ইনায়েত আহমদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন,

حرمین شریفین اور اکثر بلاد اسلامیہ میں عادت ہے کہ ماہ ربیع الاول میں محفل میلاد شریف کرتے ہیں اور مسلمانوں کہ مجتمع کر کے ذکر مولد شریف کرتے ہیں اور کثرت سے درود شریف کاورد کرتے ہں اور بطور دعوت  کے کھانا یا شیرین تقسیم کرتے ہیں سو یہ موجب بر کات عظیمہ ہے اور سبب ہے از دیاد محبت کے ساتہ جناب رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم کے بار ہویں ربیع الاول کو مدینہ منورہ میں یہ محلف متبرک مسجد شریف میں ہوتی ہے اور مکہ مکرمہ میں مکان ولادت انحضرت صلی اللہ علیہ وسلم میں ہوتا ہے مسلمانوں کو چاہئے بمقتضائے محبت انحضرت صلی اللہ علیہ وسلم محفل شریف کیا کریں اور اسمیں شریک ہوا کریں.
অর্থ: “পবিত্র মক্কা শরীফ, পবিত্র মদীনা শরীফ এবং অধিকাংশ ইসলামী শহরের অধিবাসীদের আদত ছিল যে, পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসে পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার অনুষ্ঠান করা। মুসলমানদেরকে জমায়েত করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ বা আগমনের আলোচনা করা, পবিত্র দুরূদ শরীফ বেশি বেশি করে পড়া দাওয়াতী খানা অথবা শিরনী বিতরণ করা। এ কাজটি অনেক বরকতের কারণ হয় এবং এর দ্বারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মুহাব্বত বৃদ্ধি পায়। পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ তারিখে মদীনা মুনাওয়ারার মসজিদে নববীতে এ বরকতপূর্ণ মাহফিলটি অনুষ্ঠিত হয়। আবার পবিত্র মক্কা মুকাররমায় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের স্থানেও। সুতরাং মুসলমান উনাদের উচিত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বতের তাগীদে যেন পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মাহফিলের ব্যবস্থা করে এবং সকলে উপস্থিত হয়।

হযরত মাওলানা হাছান আলী মুহাদ্দিছ লাখনবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার “আদ্দুররুল্ মুনায্যাম” কিতাবে লিখেন,
محفل میلاد شریف براے جناب رسالت ماب صلی  اللہ علہ وسلم البتہ مستحب است بلکہ مستحب وموجب ثواب است دلائل جواز محفل مولود شریف در رسائل اثبات مولود از اکابر محدثین وعلماء از سلف وخلف انتطام دارند.

অর্থ: “পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার অনুষ্ঠান একটি ভালো; বরং মুস্তাহাব ও পুণ্যের কাজ। পূর্ববর্তী ও পরবর্তী উলামা ও মুহাদ্দিছীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল উনার বৈধতার দলীলাদী কিতাবসমূহের মধ্যে লিখে গেছেন।”


হযরত মাওলানা মুফতী সাদুল্লাহ মুরাদাবাদী রহতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন,

تحقیق اں است کہ اگر دریں تقریب با حسن نیت وسرور ولادت بربیاں  حالات ومعجزات سرور کائنات وخبرات ومبرات واطعام وتقسیم شرینی وانعام واکرام نمایند وامرے از ممنوعات شرعیہ دراں منفم نہ سازند از بدعت حسنہ وامور مستحبہ است روز میلاد خیر الاعبادر ہم مجملہ اعیاد معرر سانزند و دوران روز مسرت انبساط نمایند رواباشد.
অর্থ: “যদি সরওয়ারে কায়িনাত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ বা এ দুনিয়ায় আগমন উপলক্ষে নেক নিয়তের সাথে আনন্দ প্রকাশার্থে অনুষ্ঠান করা হয় এবং এ অনুষ্ঠানে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বৈশিষ্ট, শান ও মান মুবারক এবং অলৌকিক ঘটনাবলী বর্ণনা করে শিরনী বিতরণ করা হয়, সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার নিষিদ্ধ কোনো কাজ এতে যুক্ত না হয় ইহা নিশ্চিতরূপেই বিদয়াতে হাসানা এবং মুস্তাহাব কাজসমূহের অন্তর্ভুক্ত হবে সন্দেহ নেই। সুতরাং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন দিবসে ঈদ তথা আনন্দ উৎসব করা এবং খুশি ও আনন্দ প্রকাশ করা উত্তম ও জায়িয কাজ।” (ফতওয়ায়ে সা’দিয়াহ)

হযরত হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ উনাকে জায়িয বলেছেন এবং এ ব্যাপারে উনার আমল বর্ণনা  করতে গিয়ে লিখেন,


مشرب فقیر  کا یہ ہے محفل مولود شریف میں شریک ہوتا ہوں بلکہ برکت خیال کر کے خود منعقد کرتا ہوں اور قیام شریف میں لطف ولذت پاتا ہوں.




অর্থ: “এ ফকীরের মসলক হলো এই যে, পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মাহফিলে আমি নিজে শরীক হই এবং বরকত মনে করে আমি নিজে পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মাহফিল বা মজলিস করে থাকি এবং পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করার মধ্যে স্বাদ ও তৃপ্তি পাই।” (হাফতে মাসাইল) 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন