কুখ্যাত ওহাবী/দেওবন্দী/লা-মাযহাবী/জামাতী/তাবলীগীরা সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ, পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অস্বীকার করে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিতে একটা প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে থাকে | তারা বলে থাকে, “” নবীজীর ইন্তিকালের দিবস হচ্ছে দুঃখের দিন, আর দুঃখের দিনে খুশি প্রকাশ করাটা অন্যায় !””
নাউযুবিল্লাহ !!
আসুন আমরা উক্ত বক্তব্যের দাঁতভাঙ্গা জবাবটা লক্ষ্য করি —
উক্ত বাতিল ফির্কাদের বক্তব্যটা সম্পূর্ণ মিথ্যে এবং কুরআন শরীফ হাদীস শরীফের খেলাপ হওয়ায় সেটা কুফরী মূলক হয়েছে |
কেননা নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিলাদত শরীফ, বিছাল শরীফ ( ইন্তেকাল) , পুনরুত্থান প্রত্যকটি রহমত, বরকত, ঈদ বা খুশি প্রকাশের কারন!
সুবহানাল্লাহ্ !!
যেমন, আল্লাহ পাক হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার ব্যাপারে ইরশাদ করেন ,
وسلم عليه يوم ولد و يوم يموت ويوم يبعث حيا
অর্থ : উনার প্রতি সালাম ( শান্তি), যেদিন তিনি বিলাদত শরীফ লাভ করেছেন এবং যেদিন তিনি বিছাল শরীফ লাভ করবেন এবং যেদিন তিনি পুনরুত্থিত হবেন !”
( সূরা মারইয়ম ১৫)
অনুরুপ হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম সম্পর্কে বলা হয়েছে,যেটা তিনি নিজেই বলেন-
والسلم علي يوم ولدت ويوم اموت ويوم ابعث حيا
অর্থ : আমার প্রতি সালাম বা শান্তি যেদিন আমি বিলাদত শরীফ লাভ করি, যেদিন আমি বিছাল শরীফ লাভ করি , যেদিন পুনুরুত্থিত হবো!”
( সূরা মারইয়াম ৩৩)
আর হাদীস শরীফে বর্নিত আছে–
عن ابن مسود رضي الله عنه قال قال رسول الله صلي عليه و سلم حياتي خير لكم و مماتي خير لكم
অর্থ : আমার হায়াত-বিছাল (ইন্তেকাল) সব অবস্থাই তোমাদের জন্য কল্যাণ বা উত্তম বা খায়ের বরকতের কারন !””
সুবহানাল্লাহ্ !
দলীল-
√ কানযুল উম্মাল শরীফ
√ শিফা শরীফ ২য় খন্ড ১৯ পৃষ্ঠা!
উক্ত হাদীস শরীফে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই বলতেছেন, উনার বিছাল শরীফ এর দিনও কল্যাণময়!
এছাড়া হাদীস শরীফে আরো বর্নিত আছে —
ان من افضل ايامكم يوم الجمعة فيه خلق ادم وفيه قبض
অর্থ : তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে উত্তম দিন হচ্ছে, জুমুয়ার দিন | এদিনে আদম আলাইহিস সালাম পয়দা হয়েছেন এবং এদিনেই তিনি বিছাল বা ইন্তেকাল লাভ করেন !”
দলীল-
√ সহীহ নাসায়ী শরীফ -জুমুয়ার অধ্যায় !
অতপর এই জুমুয়ার দিন ঈদের দিন ঘোষনা করে ইরশাদ হয় —
ان هذا يوم جعله الله عيدا
অর্থ :এ জুমুয়ার দিন হচ্ছে এমন একটি দিন, যেদিনকে আল্লাহ পাক ঈদের দিন সাব্যস্ত করেছেন !”
দলীল–
√ সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ
√ মুসনাদে আহমদ শরীফ
√ মিশকাত শরীফ – জুমুয়ার অধ্যায়
উক্ত হাদীস শরীফ থেকে প্রমানিত হলো জুমুয়ার দিন আল্লাহ পাক উনার নবী এবং রসূল হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার বিছাল শরীফ এর দিন হওয়ার সত্ত্বেও আল্লাহ পাক স্বয়ং নিজেই সে দিনটিকে খুশির দিন হিসাবে নিদৃষ্ট করে দিয়েছেন ! এবং স্বয়ং হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে জুমুয়ার দিনকে ঈদের দিন বলে ঘোষনা দিয়েছেন !
এখন বাতিলপন্থী ওহাবী/ দেওবন্দীরা কি বলবে যে, আল্লাহ পাক এবং উনাক হবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিছাল শরীফের দিন ঈদ পালন করতে বলে অন্যায় করেছেন ??
নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক !!
বলতে পারবে তারা ???
কোনদিনও বলতে পারবে না , কারন নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের আগমন এবং বিছাল শরীফ উভয়ই খুশি বা ঈদের দিন ! যারা শোকের বা কষ্টের দিন বলবে তারা কুরআন শরীফ হাদীস শরীফ অস্বীকারকারী এবং মুরতাদের অন্তর্ভুক্ত হবে !
যেটা হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
امرنا ان لا نحد علي ميت فوق ثلاث الا لزوج
অর্থ : আমাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আমরা যেনো কারো ইন্তেকালে তিন দিন পর আর শোক প্রকাশ না করি | তবে স্বামীর জন্য স্ত্রী চার মাস দশ দিন শোক পালন করতে পারবে !'”
দলীল-
√ বুখারী শরীফ
√ মুসলিম শরীফ
√ মুয়াত্তা মালিক শরীফ
√ আবু দাউদ শরীফ
√ নাসায়ী শরীফ
√ তিরমিযী শরীফ
√ ইবনে মাজাহ শরীফ
√ দারেমী শরীফ
√ মিশকাত শরীফ !
অতএব, শরীয়তের অকাট্য দলীল আদীল্লার দ্বারা প্রমান হলো কারো পক্ষে নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফ এর দিন ১২ই রবীউল আওয়াল শরীফকে শোকের দিন হিসাবে সাব্যস্ত করা সম্ভব নয় !!
যারা শোকের কথা বলবে তারা কুরআন শরীফ এবং হাদীস শরীফ অস্বীকার করে কাফির হবে !
তাই আখেরী রসূল, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফকে নিয়মত মনে করে উক্ত দিনকে ঈদ পালন করতে হবে !
সুবহানাল্লাহ্ !
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন