বৎসঃ শায়েখ ফযিলত লাভের জন্য নতুন কোন কাজ করা কি হবে?
দাঁতী শায়খঃ শোন হে বৎস! সাওয়াবের নিয়তে নতুন
কিছু করাই বিদয়াত। আর মনে রাখবা সকল বিদয়াত গোমরাহী – সহীহ বুখারী !!!
বৎসঃ জ্বি, শায়েখ। আচ্ছা কোন ইবাদত বা নেক
কাজের জন্য তারিখ বা সময় নির্ধারণ করা কি হবে?
দাঁতী শায়খঃ সেটা ভয়ানক বিদয়াত। সাবধান!
প্রত্যেক বিদয়াতিই জাহান্নামী – সহীহ বোখারী।
বৎসঃ শায়খ! এই যে আগামী বছর জানুয়ারী মাসের ৫
তারিখ মাহফিলের ডেট নিলেন, এ তারিখ নির্ধারন করে মাহফিল করাটা কি বিদয়াত হবে?
দাঁতী শায়খঃ আরে ছোকরা, এসব প্রশ্ন করতে হয় না।
আমরা কি কোন বিদয়াত করতে পারি? বিদয়াততো সুন্নীরা করে (!!!)
বৎসঃ শায়েখ! এই যে ৫ তারিখ মাহফিল করবেন, সেটার
প্রচারের জন্য মাইকিং করা, পোষ্টার লাগনো, স্টেজ বানানো, লোকজন ডেকে আনা এসব কি
নবীজীর যুগে ছিলো?
দাঁতী শায়খঃ আরে ছোকরা! বড় পাকনা কথা বলো। এসব
কি আমরা সাওয়াবের নিয়তে করি?
বৎসঃ
শায়খ! কুরআন হাদীছের মাহফিল, নেকীর কথাই বলা হবে, দ্বীনের কথা বলা হবে,
সেটার জন্য পোষ্টারিং, মাইকিং, স্টেজ, লোকজন ডাকা ইত্যাদি কি সাওয়াবের নিয়তে না
করলে গুনাহের জন্য করি?
দাঁতী শায়খঃ তুমি ব্ড্ড বেশি বুঝ! এসব প্রশ্ন
করাও বিদয়াত মনে রাখবা।
বৎসঃ প্রশ্ন না করলে জানবো কিভাবে?
দাঁতী শায়খঃ শোন হে পাকনা ছোকরা, তুমি সব সময়
চোখ বুজে সুন্নীদের কোন ফযিলতের কাজ করতে দেখলেই বিদয়াত বলবে। আমরা কি করলাম না
করলাম সেটা ভাবতে যেও না। আমাদের কোন কিছু বিদয়াত হয়না। বুঝেছো?
বৎসঃ বুঝলাম আপনারা হচ্ছেন দাঁতী আর অন্যদের
ভাবেন বিদয়াতি।
দাঁতী শায়খঃ তবে রে বৎস…..!!!
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন