সালাফী
লা’মাযহাবীরা পবিত্র সদকাতুল ফিতর বিষয়ে হানাফী মাযহাবের বিরোধীতা করে। তারা বলে
হানাফী মাযহাবে নাকি মনগড়া ফিতরার বিধান রয়েছে। নাউযুবিল্লাহ। হানাফী মাযহাবে
ফিতরার বিষয়ে সহীহ কোন হাদীছ শরীফ নাকি নাই। নাউযুবিল্লাহ। এছাড়া তাদের আপত্তি
সমূহ নিম্নরূপ:
১) অর্ধ
সা’ গম বা আটা দিয়ে ফিতরার কোন দলীল নেই।
২) টাকা
দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করা যাবে না সরাসরি খাদ্যদ্রব্য দিতে হবে।
৩)
স্থানীয় এলাকার ফসল দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে, যেমন বাংলাদেশের জন্য চাউল।
ওহাবী
লা’মাযহাবীদের এসকল চরম মিথ্যাচার ও বিভ্রন্তিমূলক বক্তব্যের জবাব ধারাবাহিক ভাবে
দেয়া হলো-
১) এক সা’ গম বা
আটা সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফের দলীলঃ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي صُعَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ، - قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " صَاعٌ مِنْ بُرٍّ أَوْ قَمْحٍ عَلَى كُلِّ اثْنَيْنِ صَغِيرٍ أَوْ كَبِيرٍ حُرٍّ أَوْ عَبْدٍ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَى أَمَّا غَنِيُّكُمْ فَيُزَكِّيهِ اللَّهُ وَأَمَّا فَقِيرُكُمْ فَيَرُدُّ اللَّهُ عَلَيْهِ أَكْثَرَ مِمَّا أَعْطَاهُ
অর্থ:
হযরত আবদুল্লাহ ইবনু আবূ সু’আইর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল
মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, ছোট, বড়, স্বাধীন, গোলাম, পুরুষ অথবা নারী প্রত্যেক দুইজনের উপর এক সা’ গম (ফিতরাহ)
নির্ধারিত। মহান আল্লাহ পাক তোমাদের ধনীদেরকে এ দ্বারা পবিত্র করবেন এবং তোমাদের
দরিদ্রদেরকে মহান আল্লাহ পাক তাদের দানের চাইতে অধিক দিবেন। (সুনানে আবু দাউদ, কিতাবুয যাকাত: হাদীছ ১৬১৯)
كنا نؤدي زكاة الفطر على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم مدين
من قمح، بالمد الذي تقتاتون به.
অর্থ:
হযরত আসমা বিনতে আবু বকর রদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন, যে মুদ (পাত্র) দ্বারা তোমরা খাদ্যবস্তু
গ্রহণ করে থাক এমন দুই মুদ (আধা সা) গম আমরা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যামানায় সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম। (মুসনাদে আহমদ ৬/৩৪৬)
পবিত্র
হাদীছ শরীফ খানা সহীহ এবং এ সনদটি হাসান। সালাফী মুরুব্বী নাসীরউদ্দীন আলবানী
স্বীকার করেছে যে, এই পবিত্র হাদীছ
শরীফের সনদ সহীহ বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফের শর্তে উত্তীর্ণ, সহীহ।
ইমাম
হযরত তহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি এ পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করার পর বলেন,
فهذه أسماء تخبر أنهم كانوا يؤدون في عهد النبي صلى الله عليه وسلم
زكاة الفطر مدين من قمح، ومحال أن يكونوا يفعلون هذا إلا بأمر رسول الله صلى الله عليه
وسلم، لأن هذا لا يؤخذ حينئذٍ إلا من جهة توقيفه إياهم على ما يجب عليهم من ذلك.
অর্থ:
হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
যামানায় হযরত সাহাবায়ে কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগন সদকাতুল ফিতর দিতেন আধা সা গম। এ তো সম্পূর্ণ অসম্ভব যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান নির্দেশ মুবারক ছাড়া উনারা
এই কাজ করতেন। কারণ দ্বীন বিষয়ে উনাদের কর্তব্য কী তা জানার একমাত্র সূত্র
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
মুবারক শিক্ষা ও নির্দেশনা মুবারক। (শরহে মা’য়ানিল
আছার ২/৪৩: হাদীছ ৩১১৪)
أن النبي صلى الله عليه وسلم بعث مناديا ينادي في فجاج مكة : ألا
إن صدقة الفطر واجب على كل مسلم، ذكر أو أنثى، حر أو عبد، صغير أو كبير، مدان من قمح،
أو صاع مما سواه من الطعام.
অর্থ:
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একজন ঘোষক প্রেরণ করলেন তিনি যেন
পবিত্র মক্কা শরীফের পথে পথে এ ঘোষণা করেন যে- জেনে রেখো! প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, গোলাম-স্বাধীন, ছোট-বড় প্রত্যেকের উপর সদকায়ে ফিতর অপরিহার্য। দুই মুদ (আধা সা) গম কিংবা এক
সা অন্য খাদ্যবস্তু। (জামে তিরমিযী ১/৮৫)
فرض رسول الله صلى الله عليه وسلم زكاة الفطر مدين من حنطة.
অর্থ:
হযরত সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সদকাতুল ফিতর নির্ধারণ করেছেন দুই মুদ
(আধা সা) গম। (মারাসীলে আবু দাউদ পৃ. ১৬)
আল্লামা
ইবনে আবদুল হাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সনদ দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট ও সহীহ।
أمر رسول الله صلى الله عليه وسلم في صدقة الفطر بصاع من شعير أو
مدين من قمح.
অর্থ:
হযরত সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত উবাইদুল্লাহ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে উতবাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত কাসেম ও সালেম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আদেশ মুবারক করেছেন সদকাতুল ফিতরে
এক সা যব বা দুই মুদ (আধা সা) গম আদায় করার। (শরহু
মাআনিল আছার ১/৩৫০)
হযরত
বদরুদ্দীন আইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, হাদীছটি সহীহ
كان الصدقة تعطى على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم وأبي بكر
وعمر نصف صاع من حنطة.
অর্থ:
হযরত সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার যামানায় এবং আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সিদ্দীকে আকবর আলাইহিস
সালাম,
খলীফাতুল মুসলিমীন আমীরুল মু’মিনিন ফারুকে আযম আলাইহিস
সালাম উনাদের শাসনামলে সদকাতুল ফিতর দেওয়া হত আধা সা গম। (শরহু
মাআনিল আছার ১/৩৫০)
আল্লামা ইবনে আবদুল বার রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, এটি হযরত সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে
ছিকা রাবীগণ বর্ণনা করেছেন। হাদীছটির সকল রাবী ছিকা ও নির্ভরযোগ্য।
হযরত খুলাফয়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের আমল:
হযরত আবু
কিলাবা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, স্বয়ং ঐ ব্যক্তি আমাকে বলেছেন, যিনি আফদ্বালুন নাছ বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবু বকর ছিদ্দীক আলাইহিস সালাম উনার
নিকট এক সা’গম দ্বারা দুই ব্যক্তির
সদকাতুল ফিতর আদায় করেছেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা
৬/৫০০; মুসান্নাফ
আবদুর রাযযাক ৩/৩১৬)
অন্য
বর্ণনায় এসেছে,
كنا نخرج زكاة الفطر على عهد عمر بن الخطاب عليه السلام نصف صاع.
অর্থ:
হযরত ছালাবা ইবনে আবু সুআইব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বলেন, আমরা খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন ফারূক্বে আ’যম উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম উনার খেলাফত
আমলে সদকাতুল ফিতর দিতাম আধা সা’গম। (শরহু মাআনিল
আছার ১/৩৫০; শরহু মুশকিলুল আছার ৯/৩৯)
أدوا زكاة الفطر مدين من حنطة.
অর্থ:
হযরত আবুল আশআছ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, খলিফাতুল মুসলিমীন হযরত উছমান যুন নুরাইন আলাইহিস সালাম তিনি আমাদের উদ্দেশ্যে
খুতবা দিলেন। ঐ খুতবায় তিনি বলেছেন, তোমরা যাকাতুল ফিতর আদায় কর দুই মুদ (আধা সা’) গম। (শরহু
মুশকিলিল আছার ৯/৩৯)
হযরত
আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, পবিত্র হাদীছ শরীফের সনদ ছহীহ ও শক্তিশালী। এই পবিত্র হাদীছ শরীফের সনদ ইমাম
হযরত মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শর্তে উত্তীর্ণ।
হযরত তাবেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের আমল:
হযরত
ইমাম শুবা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি, হযরত হাকাম ও হাম্মাদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদেরকে সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ
সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। উত্তরে উনারা বলেছেন, نصف صاع حنطة আধা সা’ গম। ইমাম হযরত শুবা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি হযরত আবদুর রহমান ইবনুল কাসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং
হযরত সাআদ ইবনে ইবরাহীম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদেরকেও এ প্রশ্ন করেছি, , فقالا مثل ذلك উনারাও একই কথা বলেছেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৬/৫০৩;
শরহু মাআনিল আছার ১/৩৫১)
عن الصغير والكبير، والحر والعبد، عن كل
إنسان نصف صاع من قمح.
হযরত
ইবরাহীম নাখাঈ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ছোট-বড়, গোলাম-স্বাধীন প্রত্যেকের পক্ষ
থেকে প্রদেয় হচ্ছে আধা সা’ গম। (মুসান্নাফ ইবনে আবী
শাইবা ৬/৫০১)
হযরত আবু হাবীব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে শাদ্দাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে
সদকাতুল ফিতর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। উত্তরে তিনি বলেছেন,نصف صاع من حنطة أو دقيق ن আধা সা’
গম বা আটা। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৬/৫০৩)
বিশিষ্ট মুহাদ্দিস রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের বক্তব্য:
ইমাম
হযরত ত্বহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আধা সা’ গম সম্পর্কে অনেকগুলো পবিত্র হাদীছ
ও আছার শরীফ রেওয়ায়েত করার পর বলেন,
هذا كل هذا كل ما روينا في هذا الباب عن رسول الله صلى الله عليه
وسلم وعن أصحابه من بعده وعن تابعيهم من بعدهم كلها على أن صدقة الفطر من الحنطة نصف
صاع ومما سوى الحنطة صاع، وما علمنا أن أحدا من أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم
ولا من التابعين روي عنه خلاف ذلك، فلا ينبغي لأحد أن يخالف ذلك، إذ كان قد صار إجماعا
في زمن أبي بكر وعمر وعثمان و علي إلى زمن من ذكرنا من التابعين.
অর্থ: এ
পরিচ্ছেদে আমি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
থেকে,
তারপর উনার সম্মানিত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম
উনাদের থেকে এবং উনাদের পর হযরত তাবেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের থেকে যেসব
রেওয়ায়েত উল্লেখ করেছি, তা প্রমাণ করে
যে,
সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ হলো গম থেকে আধা সা’ আর গম ছাড়া
অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী থেকে এক সা’। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কোনো ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম ও
কোনো তাবেয়েী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের থেকে এর বিপরীত কিছু বর্ণিত আছে বলে
আমাদের জানা নেই। সুতরাং এর বিরোধিতা করার অবকাশ কারো নেই। কারণ তা ছিল ইজমায়ী ও
সর্বসম্মত বিষয়, আফদ্বালুন নাছ বা’দাল আম্বিয়া
ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি, খলীফাতুল মুসলিমীন আমীরুল মু’মিনীন ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি, খলিফাতুল মুসলিমীন হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি ও
আমীরুল মু’মিনীন হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনাদের
যমানা থেকে উপরোক্ত হযরত তাবেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের যামানা পর্যন্ত। (উমদাতুল ক্বারী শরহে সহীহুল বুখারী ১৪/১৬২)
ইমাম
হযরত আবু বকর জাসসাস রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত : ৩৭০ হি.) তিনি বলেন,
روي نصف صاع من بر عن النبي صلى الله عليه وسلم وأبي بكر عليه السلام
وعمر عليه السلام وعثمان عليه السلام وعلي عليه السلام وابن مسعود رضى الله تعالى عنه
وجابر رضى الله تعالى عنه وام المؤمنين عائشة عليها السلام وابن الزبير رضى الله تعالى
عنه وأبي هريرة رضى الله تعالى عنه وأسماء بنت أبي بكر رضى الله تعالى عنها وقيس بن
سعد رضي الله تعالى عنه أجمعين، وعامة التابعين، ولم يرو عن أحد من الصاحابة بأنه
لا بجزئ نصف صاع من بر.
অর্থ:
আধা সা’ গম সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে এবং
আফদ্বালুন নাছ বা’দাল আম্বিয়া ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার থেকে, খলীফাতুল মুসলিমীন আমীরুল মু’মিনীন ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস
সালাম উনার থেকে, খলিফাতুল
মুসলিমীন হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার থেকে ও আমীরুল মু’মিনীন হযরত
কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে, হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে, উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে, হযরত ইবনু যুবাইর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে, হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে, হযরত আসমা বিনতে আবু বকর রদ্বিয়াল্লাহু আনহা উনার থেকে, হযরত কাইস ইবনে সাআদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু প্রমুখ ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম
উনাদের থেকে ও অধিকাংশ তাবেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের থেকে বর্ণিত হয়েছে। কোনো
ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে এ কথা বর্ণিত হয়নি যে, আধা সা’ গম প্রদান করলে ফিতরা আদায় হবে না। (শরহু মুখতাছারিত তহাবী
২/২৩৪৫)
القول بإيجاب القول بإيجاب نصف صاع من بر قول قوي، وأدلته كثيرة.
অর্থ:
হযরত আল্লামা ইবনে আবদুল হাদী আল হাম্বলী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত: ৭৪৪ হি.) বলেন, ওয়াজিব ফিতরার ক্ষেত্রে আধা সা গমের সিদ্ধান্তটি একটি
শক্তিশালী সিদ্ধান্ত এবং তা অনেক দলীল দ্বারা প্রমাণিত।
(তানকীহু তাহকীকি আহাদীসিত তালীক ২/২৪৫)
সালাফী লা’মাযহাবী ও বিরোধিতাকারীদের অনুসরণীয় মুরুব্বীদের মতামত:
সালাফীদের
অন্যতম মান্যবর ইবনে তাইমিয়া মনে করে, আধা সা’ গম দ্বারা সদকায়ে ফিতর আদায় হবে। তার বিশিষ্ট শাগরিদ ইবনে মুফলিহ সে ‘কিতাবুল ফুরূ’তে ইবনে তাইমিয়ার বক্তব্য
এভাবে উল্লেখ করেছে,
واختار شيخنا بأنه يجزئ نصف صاع من بر، وقال : وهو قياس المذهب
في الكفارة، وإنه يقتضيه ما نقله الأثرم.
অর্থ: আমাদের (লা’মাযহাবীদের) শায়েখ (ইবনে
তাইমিয়া) এ মত গ্রহণ করেছে যে, আধা সা’ গম দ্বারা সদকায়ে ফিতর আদায় হবে। তিনি বলেন, কাফফারার ক্ষেত্রে হাম্বলী মাযহাব একথাই বলে এবং ইমাম আছরাম রহমতুল্লাহি
আলাইহি এর বর্ণনাও তা নির্দেশ করে। (আলফুরূ ১/৭০৯;
যাদুল মাআদ ২/২০;
তামামুল মিন্নাহ ৩৮৬)
ইবনে
তাইমিয়ার প্রধান ছাত্র ইবনুল কাইয়্যিম বলেছে,
وفيه عن النبي صلى الله عليه وسلم آثار مرسلة ومسندة يقوي بعضها
بعضا.
অর্থ: আধা
সা’ গমের বিষয়ে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে একাধিক মুরসাল ও মুসনাদ হাদীছ
বর্ণিত আছে, যেগুলো
সমষ্টিগতভাবে শক্তিশালী। (যাদুল মাআদ
২/১৮-২০)
সালাফীদের
অন্যতম মুরুব্বী নাসীরউদ্দীন আলবানী বলেছে,
زاد فيه أحاديث مرفوعة إلى النبي صلى الله عليه وسلم وفي الباب
آثار مرسلة ومسنده يقوي بعضها بعضا، كما قال ابن القيم في الزاد وقد ساقها فيه، فليراجعها
من شاء، وخرجتها أنا في التعليقات الجياد. فثبت من ذلك أن الواجب في صدقة الفطر من
القمح نصف صاع، وهو اختيار شيخ الإسلام ابن تيمية كما في الاختيبارات. ص : ٦٠ وإليه
مال ابن القيم كما سبق، وهو الحق إن شاء الله تعالى.
অর্থ: আধা সা’ সম্পর্কে কয়েকটি মারফূ হাদীছ শরীফ রয়েছে এবং এ বিষয়ে অনেক
মুরসাল ও মুসনাদ আছর রয়েছে, যেগুলো সমষ্টিগতভাবে শক্তিশালী। আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম ‘‘যাদুল
মাআদ’’ কিতাবে এমনটি বলেছেন এবং তিনি ঐসব আছার উল্লেখ করেছেন। এ থেকে প্রমাণ হয় যে, গমের ওয়াজিব ফিতরা হলো আধা সা’। আর এটি ইবনে তাইমিয়ার অভিমত
এবং ইবনুল কাইয়্যিম এ দিকেই ঝুঁকেছেন। ইনশাআল্লাহ এটিই সঠিক মত। (তামামুল মিন্নাহ ফি তা’লিকী আলা ফিক্বহীস সুন্নাহ ১খন্ড
৩৮৬ পৃষ্ঠা)
এছাড়া অন্যান্য কিছু পবিত্র হাদীছ শারীফ খেজুর ও যবের পরিমাপ দ্বারাও ফিতরা
আদায়ের কথা বলা হয়েছে। এগুলোর ভুল
ব্যাখ্যা করে সালাফী ওহাবীরা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। যেমন, হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, আমরা এক সা’ পরিমাণ খাদ্য অথবা এক
সা’ পরিমাণ যব অথবা এক সা’ পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা’ পরিমাণ পনির অথবা এক সা’
পরিমাণ কিসমিস দিয়ে زَكَاةَ
الفِطْرِ সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতাম। (বুখারী-২/১৩১,
হাদীছ-১৫০৬)
কিন্তু
আমাদের হানাফী মা’যহাবে গম বা আটার
মূল্যের উপর ফিতরা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কারণ এ ব্যাপারে ছহীহ হাদীছ শরীফ ও
খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম, তাবেয়ী ও তাবে তাবেয়ীন সলফে সালেহীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের আমল
বিদ্যামান। অর্ধ সা’ গম বা সমমূল্যের দ্বারা যে ফিতরা দেয়ার কথা বলা হয়েছে সেটা
অস্বীকার করার বিন্দুমাত্র সুযোগ নাই। সুতরাং সম্মানিত হানাফী মাযহাব মোতাবেক
প্রতি ব্যক্তির জন্য অর্ধ সা’ গম বা আটা বা সমমূল্য দ্বারা সদকাতুল ফিতর আদায় করা
ওয়াজিব। অন্য মত গ্রহণ করা সুযোগ নাই। যারা এর বিরোধিতা করবে তারা পবিত্র হাদীছ
শরীফ উনার অস্বীকারকারী হিসাবে সাব্যস্ত হবে।
২য় আপত্তি: “টাকা দিয়ে সদকাতুল ফিতর
আদায় করা যাবে না সরাসরি খাদ্যদ্রব্য দিতে হবে।”
টাকা দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করার দলীল: সালাফী লা’মাযহাবীরা বলে- টাকা দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় হবে না। খাদ্য
সামগ্রীই দিতে হবে। অথচ তাদের এমন বক্তব্য নেহায়েত হাস্যকর। বিখ্যাত ইমাম ও
মুহাদ্দিস হযরত ইবনে আবী শায়বা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “মুছান্নাফে আবী শায়বা”
কিতাবে একটা বাব রচনা করেছেন যার নাম فِي
إِعْطَاءِ الدِّرْهَمِ
فِي زَكَاةِ
الْفِطْرِ অর্থাৎ “সাদাকায়ে ফিতর দিরহাম বা টাকা দ্বারা আদায় করার
সম্পর্কে”। এই অধ্যায় থেকে কয়েকটা পবিত্র হাদীছ শরীফ উল্লেখ করা হলো,
حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ ، عَنْ زُهَيْرٍ ، قَالَ : سَمِعْتُ
أَبَا إِسْحَاقَ يَقُولُ : أَدْرَكْتُهُمْ وَهُمْ يُعْطُونَ فِي صَدَقَةِ رَمَضَانَ
، الدَّرَاهِمَ بِقِيمَةِ الطَّعَامِ
অর্থ:
হযরত যুহাইর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত আবূ ইসহাক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, আমি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদেরকে এই অবস্থায় পেয়েছি যে, উনারা পবিত্র রমাদ্বান মাসে সাদাকায়ে ফিতর খাবারের বিনিময়ে
দিরহাম বা টাকা দ্বারা আদায় করতেন। (ইবনে আবি শায়বা-৩/১৭৪,
পবিত্র হাদীছ নং ১০৪৭২)। উক্ত বর্ণনার সনদ সম্পূর্ণ ছহীহ
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ ، عَنْ سُفْيَانَ ، عَنْ هِشَامٍ ، عَنِ الْحَسَنِ
، قَالَ : لاَ بَأْسَ أَنْ تُعْطِيَ الدَّرَاهِمَ فِي صَدَقَةِ الْفِطْرِ
অর্থ:
হযরত হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, দিরহাম বা টাকা দ্বারা সাদাকায়ে ফিতর আদায় করার দ্বারা কোনো সমস্যা নেই। (ইবনে আবি শায়বা-৩/১৭৪;
হাদীছ-১০৪৭১, ইকমালু মুয়লিম শরহে মুসলিম ৩/২৫৭)
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ ، عَنْ قُرَّةَ ، قَالَ : جَاءَنَا كِتَابُ
عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي صَدَقَةِ الْفِطْرِ : نِصْفُ صَاعٍ عَنْ كُلِّ إنْسَانٍ
، أَوْ قِيمَتُهُ نِصْفُ دِرْهَمٍ
অর্থ:
হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সদকাতুল ফিতর সস্পর্কে একটি
চিঠি লিখলেন, প্রত্যেক মানুষের জন্য অর্ধ সা’
অথবা অর্ধ সা’ এর পরিমান দিরহাম বা টাকা। (ইবনে আবি
শায়বা-৩/১৭৪; হাদীছ-১০৪৭০)
উপরোক্ত
পবিত্র পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে প্রমাণিত হলো ফিতরার জন্য নির্ধারিত খাদ্য সামগ্রীর
সমমূল্য দিরহাম বা টাকা দিয়ে দেয়া যাবে, যা ছহীহ হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত।
৩য় আপত্তি: “স্থানীয় এলাকার ফসল
দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে।”
আপত্তির জবাব: সালাফীরা বলে বাংলাদেশের
জন্য চাউল দিয়ে ফিতরা দিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ যেহেতু ভাত খায়, তাই এখানে চাউল দিতে হবে- এমন কথা পবিত্র হাদীছ শরীফ বিরোধী।
মূলত,
এমনটা করা এটা সম্পূর্ণ বিদয়াত। কারণ কোনো পবিত্র হাদীছ
শরীফে এ কথা বলা হয়নি যে- যার যার এলাকার ফসল দিয়ে ফিতরা দিতে হবে। বরং পবিত্র হাদীছ
শরীফের মধ্যে স্পষ্ট কি দিয়ে ফিতরা দিতে হবে তার দলীল বর্ণিত আছে। কারণ যারা ছহীহ
হাদীছ শরীফের আমলের কথা বলে তারা অর্থাৎ সালাফীরা প্রকৃতপক্ষে নফছকে অনুসরন করে
থাকে যার কারণে ছহীহ হাদীছ বাদ দিয়ে নিজের মন মতো কিয়াস করে ফতওয়া দেয়, আবার তারাই বলে মাযহাব মানা যাবে না। কিয়াস করে তারা
নিজেরাই আলাদা একটা ফিরকা হিসাবে নিজেদেরকে চিহ্নিত করলো। সুস্পষ্ট দলীল থাকার পরও
কেন চাউল দিয়ে সালাফীরা ফিতরা দিতে চায়? এটা কি পবিত্র হাদীছ শরীফের স্পষ্ট বিরোধিতা নয়?
সুতরাং
প্রমাণিত হলো সম্মানিত হানাফী মাযহাবে সদকাতুল ফিততের যে আমল ও দলীল তা অত্যন্ত
নির্ভরযোগ্য ও বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। শুধূ এ বিষয়ই নয়, বরং হানাফী মাযহাবের সকল আমলই অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য।
সুবহানাল্লাহ।
দ্বীন নিয়ে আলেমদের অজ্ঞতা, অসতর্কতা এবং গোয়ার্তুমি দেখে আমরা আওয়ামরা রীতিমত হতাশ হই। এই পোষ্টের লেখকের উচিত ছিল প্রথমে আরবি অভিধান থেকে জেনে নেয়া صدقة الفطر এর বাংলা অর্থ কি। শুধু এটা জানলেই সমস্যার (টাকা না খাদ্য) অর্ধেক সমাধান হয়ে যাবে। এর পর উল্লেখিত হাদিসগুলি নেয়ার সময় তাহক্বিক জেনে নিলে এতগুলি জাল হাদিস এখানে আসতো না। যদি জেনে বুঝেই তর্কে জেতার জন্য এ সব জাল হাদিস নিয়ে আসেন তাহলে লেখক একজন জাহেল।
উত্তরমুছুনপোশাক আসাক দেখলে তো মনে হয় না তুমি মুসলমান আলম খান।
মুছুনআপনার নিজেরও কিছু বিষয়ে জ্ঞান থাকা উচিৎ।
মুছুনফিতরা খাদ্যে নয় সংগত কারনে মুদ্রাই দেওয়া উচিৎ, খাদ্যেও দেয়া যায়, এটাই সুন্নাহ।
এই দেশের মুসলমানরা দীর্ঘ কয়েক শতাব্দী থেকে ইসলামের অনুসরণ অনুশীলন করে আসছে, তবুও রমজান এলে ফিতরা টাকায় আদায় করবে না খাদ্যে আদায় করবে, এই নিয়ে বিভ্রান্তিতে থাকে বিতর্ক করে।
এই বিতর্ক আলেমরাই করে বেশি।
যারা বলেন খাদ্য দিয়েই ফিতরা আদায় করতে হবে, নগদ টাকায় নয়, তারা কি জানেন সে সময় কিছু খাদ্য দ্রব্য মুদ্রার বিনিময় হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
রাসুল (সাঃ) এর সময় ৬টি বস্তু মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হত। এবং তাই এ ছয়টি বস্তুর অসম বন্টনকে তিনি সুদ বলেছেন।
আবু সাইদ খুদরি (রাঃ) থেকে বর্ণিত,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-‘সোনার বদলে সোনা,রুপার বদলে রুপা,গমের বদলে গম,যবের বদলে যব,খেজুরের বদলে খেজুর এবং লবণের বদলে লবণ বিক্রি করো নগদ নগদ এবং সমান সমান। যে বেশি দিবে অথবা বেশি নিবে সেটা সুদ হিসেবে গণ্য হবে। দাতা-গ্রহীতা এক্ষেত্রে সমান অপরাধী।
এই হাদিস মোতাবেক বুঝা যায় দ্রব্যগুলো মুদ্রা হিসেবে বিবেচিত ছিলো, না হয় সুদের প্রশ্ন আসতো না।
যারা বলেন ফিতরা খাদ্য দিয়েই দিতে
হবে,তাদের কাছে প্রশ্ন, ধরুন আপনি কিসমিস দিয়ে
ফিতরা আদায় করলেন, এই ফিতরা আদায়ের আগে আপনি কি ভেবে দেখেছেন, এই গরীব মানুষগুলো কিসমিস খায় কিনা।
আর রাসুল (সাঃ) যেসব খাদ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতেন, তাতো সেই সময়ে মুদ্রা হিসেবেই বিনিময় হতো। অতএব মুদ্রায় ফিতরা দেয়াটা সুন্নাহ হিসেবে বিবেচিত হবে।
খাবার দিয়ে ফিতরা দেয়া বৈধ, টাকা দিয়েও বৈধ। যার যে খাদ্যাভ্যাস, তাকে সেই খাদ্য দিয়েই ফিতরা দেয়া উচিৎ। আর টাকা দিলে সে নিজের মত খাওয়া কিনে নেবে।
ফতোয়া দেন, কিন্তু জেনে শুনে দিয়েন।
@আলম_খান
উত্তরমুছুননিজের মধ্যে নাই কোন নবীজির সুন্নত আর পোশাক দেখে তো পুরা ইহুদির মত লাগছে। যাই হোক, জাল হাদিস যে বললেন এই ওহি কবে নাজিল করা হলো??? হাদিস জাল/যইফ এগুলো কি নবীজি বলে দিয়েছেন যে অমুক অমুক হাদিস জাল??? নাকি আপনার মুখ দিয়ে চিল্লাইয়া হাদিস জাল বানাচ্ছেন?.. হাদিস শরীফের "হ" জানে না, আসছে হাদিস জাল বানাইতে। (নাউজুবিল্লাহ) আল্লাহ হিদায়েত দান করুন।