এমন কথা আমি এই প্রথম শুনলাম!
ফিরাউন নাকি ইহুদী ছিলো !!!
পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরোধীতা করতে
গিয়ে লা’মাযহাবীরা এমন মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছে। সরাসরি দাবি করেছে ফিরাউন মিশরে
জন্মোৎসব পালন করতো। ফিরাউন ছিলো ইহুদী। আর ফিরাউনের রীতি অনুসরন করেই নাকি
জন্মোৎসব পালন হয়ে আসছে। নাউযুবিল্লাহ।
লা’মাযহাবীদের ‘আল ইসলাহ প্রকাশনী’ থেকে প্রকাশিত হাফেয মুহাম্মাদ আইয়ুব লিখিত
“মীলাদ, শাবে বরাত ও মীলাদুন্নবী কেন বিদয়াত” বইয়ের ১৬ পৃষ্ঠায় এ কথা লিখেছে, ফিরাউন
ছিলো ইহুদী।
ফিরাউন যে ইহুদী ছিলো এমন তথ্য
আমি প্রথম পড়লাম। এই লেখক ইহুদী কি জিনিস সেটাই জানে না। পবিত্র মীলাদ শরীফের
বিরোধীতা করতে গিয়ে কি জঘন্য মিথ্যাচার করেছে।
উইকিপিডায় ইহুদীর সংঙ্গায় পাওয়া
যায়, “ইহুদি ধর্ম (হিব্রু: יְהוּדִים য়েহুদীম্) অত্যন্ত প্রাচীন, একেশ্বরবাদী
ধর্ম। ধারণাগত মিল থেকে ধর্মতাত্ত্বিকগণ ধারণা করেন যে, ইহুদি
ধর্মের ধারাবাহিকতায় গড়ে উঠেছে খ্রিস্ট ধর্ম, ইসলাম ধর্ম, ইব্রাহিমীয়
ধর্ম ইত্যাদি । এই ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ হিসেবে পুরাতন নিয়ম-এর প্রথম পাঁচটি
বইকে গণ্য করা হয়: আদিপুস্তক, যাত্রাপুস্তক, লেবীয় পুস্তক, গণনাপুস্তক, এবং
দ্বিতীয় বিবরণ। এই পাঁচটি বইকে একত্রে "তোরাহ"ও বলা হয়ে থাকে।
ইহুদি ধর্মবিশ্বাসমতে, ঈশ্বর এক, আর তাঁকে
জেহোবা (Jehovah,
YHWH) নামে আখ্যায়িত করা হয়। (http://bit.ly/2zgMByb)
যেখানে ফিরাউন আল্লাহ খোদা কিছুই
মানতো না, নিজেকেই খোদা দাবি করে বসলো সে কিরে একেশ্বরবাদী হলো কি করে?
ইহুদীদের সংঙ্গায় আরো উল্লেখ আছে, “ইহুদি
বলা হয় তাদেরকেই,
যারা একটি বিশেষ ধর্ম মতে আস্থাশীল অথবা এই বিশেষ ধর্ম মতে
আস্থাশীল সমাজের অন্তর্গত। ইসরাইলের রাষ্ট্রধর্ম হলো ইহুদি। ইহুদি জাতীয়তাবাদ
ইহুদি ধর্মভিত্তিক। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক জাতীয়তাবাদ আর ধর্মীয় আবেগ একে অপরের সাথে
সংযুক্ত। এদের পৃথক করে বিচার করা যায় না। ইহুদিদের প্রধান নবী হলেন হজরত মূসা আঃ, যার
কিতাব হলো তাওরাত। ইহুদিরা এক আল্লাহতে বিশ্বাস করে, যাকে
তারা বলে ‘ঈহুবা’। এর থেকে ইহুদি নামের উদ্ভব হয়েছে। ইহুদি বলতে বোঝায় ঈহুবাতে
বিশ্বাসীদের। (http://bit.ly/2hFlB04)
আপনারাই বলেন ফিরাউন কোন ধর্মের
অনুসারী ছিলো? কোন ধর্মের প্রতি আস্থাশীল ছিলো?
ফিরাউন বরং ইহুদীদের নির্যাতন করতো। তাদের হত্যা করতো। হযরত মুসা আলাইহিস সালামকে অস্বীকার, নির্যাতন কোনটাই বাদ দেয় নাই। তাহলে কোন যুক্তিতে কিসের ভিত্তিতে ফিরাউনের মত মানুষকে ইহুদী বললো?
ফিরাউন বরং ইহুদীদের নির্যাতন করতো। তাদের হত্যা করতো। হযরত মুসা আলাইহিস সালামকে অস্বীকার, নির্যাতন কোনটাই বাদ দেয় নাই। তাহলে কোন যুক্তিতে কিসের ভিত্তিতে ফিরাউনের মত মানুষকে ইহুদী বললো?
মিথ্যাচার করতে করতে এমন জিহ্বা
বড় হয়ে গেছে যে এখন ফিরাউনকেও ইহুদী বানিয়ে হলেও বিরোধীতা করবে। আল্লাহ পাক এই
দাজ্জালদের হাত থেকে সবাইকে হিফাজত করেন।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন