সংবাদপত্রে আজ এ বিষয়ে বেশ অনেক তথ্যই দেয়া হয়েছে (http://bit.ly/2ppdcAD)। কেন্দ্রীয় নেতাদের কথায় হেফাজত সংক্রান্ত সরকারের কৌশলে কিছু লাভের বিষয় বেরিয়ে এসেছে। তথ্য গুলো উল্লেখ করা হলো-
১) নেতারা মনে করেন, হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীসহ অনেকেই মনে করে নারী নেতৃত্ব হারাম। তাঁরা প্রকাশ্যে বক্তৃতায় নারী নেতৃত্ব নিয়ে সমালোচনা করে। দাবি আদায়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে বসে বৈঠকে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে তাঁদের সেই বক্তব্যের অসারতা প্রমাণ করা গেছে।
⇛ সূতরাং রাজনীতির প্যাঁচে প্রমান হলো আহমক শফী ও তার বাহিনী সব ধর্ম ব্যাবসায়ী। নারী নেতৃত্ব হারাম বলার পর প্রধানমন্ত্রীর পাশে বসে নারী নেতৃত্ব পরিচালিত সরকারের জন্য দোয়া করানো মাধ্যমে মুনাফিক হিসাবে সাব্যস্ত করানো হলো।
২) ২০১৩ সালের ৫ মে অভিযান চালিয়ে হেফাজতের নেতা-কর্মীদের মতিঝিল থেকে উঠিয়ে দেওয়ার পর তারা ব্যাপক অপ্রচারে নামে। গ্রামে-গঞ্জে প্রচার করা হয় যে সরকার শত শত আলেম মেরে ফেলেছে। হেফাজতের সঙ্গে সখ্যের কৌশলের কারণে এখন আর এই অপপ্রচার করতে পারবে না। আর করলেও মানুষ বিশ্বাস করবে না। এ ছাড়া হেফাজত পুনরায় মাঠে নামতে পারে কিংবা তাদের বিএনপি-জামায়াত মাঠে নামাতে পারে, এমন একটা আশঙ্কা ছিল। এখন সেই সম্ভাবনাও কমে গেছে।
⇛ অর্থাৎ মুখে কিছু বিরিয়ানী ঢুকিয়ে দিয়ে জাবান বন্ধ করে দেয়া হলো। এই জবান দিয়ে আর কখনো সরকারের বিরোধীতা করতে পারবে না।
৩) গতকাল শনিবার ধানমন্ডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে সখ্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির পরে আল্লামা শফী হুজুর গতকাল (শুক্রবার) এক জনসভায় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান নেওয়াটা লাভ নয় কি?’
⇛ তার মানে যেটা বোঝা গেলো হেফাজত অাগে সন্ত্রাসবাদের সাথে যুক্ত ছিলো। এই সন্ত্রাসবাদ ধামাচাপা দিতে হেফাজতকে দলে ভিড়ানো হয়েছে। কওমী স্বীকৃতির অাগে হেফাজত ছিলো সন্ত্রাসের প্রতি নমনীয় এটাও কৌশলে বুঝানো হলো।
আহমক শফী শ্রেনীরে লোকদের জন্য হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে,
ويل لامتى من علماء السوء يتخذون هذا العلم تجارة
يبغونها من امراء زمانهم ربحا لانفسهم لااربح الله تجارتهم
“উলামায়ে সূ’দের দ্বারা আমার উম্মত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে (যদি তারা তাদের থেকে সতর্ক না থাকে)। যারা নিজেদের অর্জিত ইলম দ্বারা তাদের যুগের সরকার হতে অর্থ ও পদ উপার্জনের প্রচেষ্টা চালাবে তারাই উলামায়ে সূ।” তাদের জন্য রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বদ দোয়া করেছেন এই বলে যে, “আয় আল্লাহ পাক! যারা নিজেদের উলম দ্বারা দুনিয়াবী সরকারের সাথে ব্যবসা করতে চায় তাদের ব্যবসায় বরকত দিবেন না।” (কানযুল উম্মাল ২৯০৮৪, জামিউ জাওয়ামে ২৫৩৬৬)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন