শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৭

অর্থব মানসিক ভারসম্যহীন আহমক শফী ও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত প্রসঙ্গে কিছু কথা


প্রধানমন্ত্রীর সাথে আহমক শফীর দৃষ্টিবিনিময়, পাশে বসা নিয়ে ফেসবুকে বেশ আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। এটা দেখে আমার কয়েক বছর আগের কথা মনে পরে গেলো। ৩/৪ বছর আগে শফী একবার প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করে। ছবিতে দেখা যায় আহমক শফী লাঠি ভর দিয়ে মাথা নিচু করে বসে আছে, প্রধানমন্ত্রীর দিকে দৃষ্টিপাত করছে না। এটা নিয়ে দেওবন্দীদের কি বড়াই ! তারা বললো, দেখুন কতবড় আল্লাহর ওলী, প্রধানমন্ত্রীর পাশে বসে আছে অথচ একবারও তাকলো না.... আরো অনেক প্রশংসা।
হালুয়া রুটির আবর্তনে ফতোয়ার বিবর্তন। দুই দিন আগে প্রধানমন্ত্রী ও আহমক শফীর ঘনিষ্ট সাক্ষাত হলো। শুধু কি সাক্ষাৎ? রীতিমত দৃষ্টি বিনিময়। পারফিউমের ঘ্রান আস্বাদন করার পর্যায়। এখন হেফাজতীরা বিভিন্ন ব্যাখ্যা দ্বারা এটা জায়িয সাবেত করতে উঠে পরে লাগলো। হেদায়া কিতাবের উদৃতি দিয়ে তারা এই সাক্ষাতকে বৈধতায় রূপ দিতে অপচেষ্টা করছে। এ বিষয় পরে অবতারনা করছি , আগে প্রধানমন্ত্রীর দীদার দানের হাক্বীকত নিয়ে আলোচনা করা যাক।
আপনারা দেখেছেন হেফাজতীরা কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করেছে, সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলো। হেফাজতীদেরতো রাজনীতি বোঝার মত বুদ্ধি নেই। তাদের নেতা আহমক শফী নিজেই অথর্ব বয়োঃবৃদ্ধ। এরা রাজনীতি কি বুঝবে? সূতরাং সরকার পক্ষ কয়েক প্যাকেট বিরিয়ানী (কিছু দাবিদাওয়া, টাকা পয়সা) নাকের সামনে ধরতেই মেনি বিড়ালের মত আঁচল তলে আশ্রয় নিলো পূর্বসূরী হাফেজ্জী, ফজলুল হক আমীনি, আজিজুল হকের মত। 
এক কথায় সরকারের কাছে বিক্রি হয়ে গেলো শফী বাহিনী। এখন আর ময়দান গরম করে সরকারের ইসলাম বিরোধী আইনের প্রতিবাদ করার শক্তি পাবে না। কারন সরকারের বিরিয়ানী তাদের পেটে। বিরিয়ানীর সাথে তো বেঈমানী করা যায় না। অর্থাৎ রাজনীতির মারপ্যাঁচে কিভাবে যে ধরা খেয়ে গেছে নিজেরাও জানে না। ফলশ্রুতিতে সরকার পক্ষও খুশি , কারন এদের জবান তারা কিনে নিয়েছে। হেফাজতীরা আন্দোলন করে আর মাঠ গরম করবে না.....।

এবার আসুন প্রধানমন্ত্রী ও শফীর সাক্ষাত প্রসঙ্গে। তারা হেদায়া কিতাবের যে দলীল দিয়েছে তার সারমর্ম হচ্ছে- কোন পুরুষ বা মহিলা যদি এতটাও বয়োঃবৃদ্ধ হয় তার আর কামনার ইচ্ছা হয় না। জীবনি শক্তি নিঃশেষ , আকর্ষণ বিকর্ষনে রূপ নিয়েছে সে অবস্থায় তারা গায়রে মাহরাম হলে দেখা সাক্ষাত করতে পারবে। মেডিক্যাল সাইন্স অনুযায়ী মানুষ যখন এই পর্যায়ে উপনীত হয় তখন তার মেন্টালি ও ফিসিক্যালি ডিসওর্ডার দেখা দেয়। অর্থাৎ সে এক প্রকারের অর্থব, অক্ষম, বোধশক্তিহীন, বিবেকহীন, মস্তিষ্ক বিকৃতি জড় পদার্থে রূপ নেয়।
হেফাজতীদের কাছে প্রশ্ন, তবে কি প্রধানমন্ত্রী ও আহমক শফী উভয়েই এই শ্রেনীর অথর্ব মানুষ? 
এই শ্রেনীর অথর্ব মানুষেরা আবার মিটিং করে কিভাবে?
দাবি দাওয়া বাস্তবায়নের দরকশাকশি করে কিভাবে?
তবে কি এটা মানসিক ভারসাম্যহীন দুই ব্যক্তির অর্থহীন বৈঠক? তাহলে এর গুরুত্ব কোথায়?

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন