বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০১৭

হোলী পুজার নামে মুসলামান মহিলাদের নির্যাতনের বিচার হবে কি?


মুসলমানরা যদি কুরবানীর সময় হিন্দু বৌদ্ধ নির্বিশেষে সবাইকে জোর করে গরুর গোশত খাওয়াতো তবে চেতনাবাদীরা আজ কি করতো ? 
ভাবতেই গা শিউরে ওঠে। অথচ ৯৮% মুসলমানদের দেশে হিন্দুদের নাপাক হোলী পুজায় প্রকাশ্য দিবালোকে মুসলমানদের যে ভাবে লাঞ্ছিত করা হলো এর বিচার কোথায়? কোথায় চেতনাবাদী কোথায় মানবতাবাদীরা? হিন্দুদের অশ্লীল হোলী পুজায় সম্ভ্রমহরন ও লাঞ্ছনার শিকার হলেন অনেক বোরকা পরা মুসলমান মেয়েরা (ভিডিও)
কম করে হলেও ৫০ জন ছেলে রিকশায় হুড তুলে যাতায়াত করা হিজাব পরিহিতা মেয়েদের উপর চালালো পাশবিক নির্যাতন। তাদের শরীরে রং মাখানো, যত্রতত্র হাত দেয়া থেকে শুরু করে সবই করলো তারা!!! 

এখন আইন শৃঙ্খলা বাহীনি নিরব কেন?
কেন এসব কুলাঙ্গার ছেলেদের ছবি দেখে খুঁজে বের করে এরেষ্ট করা হচ্ছে না? 
কেন দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ঘোষনা দেয়া হচ্ছে না সরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় থেকে?

বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের ৫০৯ ধারা অনুযায়ী ‘‘যে ব্যক্তি কোন নারীর শালীনতার অমর্যাদা করার অভিপ্রায়ে এই উদ্দেশ্যে কোন মন্তব্য করে, কোন শব্দ বা অঙ্গভঙ্গি করে বা কোন বস্তু প্রদর্শন করে যে উক্ত নারী অনুরূপ মন্তব্য বা শব্দ শুনতে পায় অথবা অনুরূপ অঙ্গভঙ্গি বা বস্তু দেখতে পায়, কিংবা উক্ত নারীর নির্জনবাসে অনধিকার প্রবেশ করে, সেই ব্যক্তি ১ বৎসর পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন’
হোলী পুজায় রাস্তায় মহিলাদের সাথে যা করা হলো তা কি এই ইভটিজিং এর চাইতে নিকৃষ্ট কাজ নয়? এটা কি প্রকাশ্য সম্ভ্রমহরন ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নয়? 
তবে কেন সরকারের তরফ থেকে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে না? কেন বাংলাদেশ থেকে এমন অশালীন বিজাতীয় সাংস্কৃতি বন্ধ করা হচ্ছে না? 
বাংলার জমিনে এমন অসভ্যতা কোন দিনও মেনে নেয়া যাবে না। যদি আজ এর বিহীত না হয় তবে কাল আপনার মা,বোন, মেয়েও রাস্তায় লাঞ্ছিত হবে আপনার হতে হবে নিরব দর্শক।

*** সবার প্রতি আহ্বন: যদি সরকার এর কোন ব্যবস্থা না নেয় তবে এই অসভ্যদের খুজেঁ বের করে প্রকাশ্য রাস্তায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন