হাইকোর্টে
গ্রীক দেবীর মূর্তি হালাল করার জন্য ইসলাম বিদ্বেষীরা একের পর এক মিথ্যাচার করছে। তারা
এবার হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম উনার নামেও মিথ্যাচার করলো। তারা সূরা সাবার ১৩ নং
আয়াত শরীফের একটা শব্দকে ভুল অর্থ করে হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম উনার প্রতি মূর্তি
বানানোর অপবাদ দিলো।
আসুন
প্রকৃতি সত্য ইতিহাস ও অর্থ দেখা যাক:
يَعْمَلُونَ لَهُ مَا يَشَاءُ مِن مَّحَارِيبَ وَتَمَاثِيلَ وَجِفَانٍ كَالْجَوَابِ وَقُدُورٍ رَّاسِيَاتٍ ۚ
তারা (জ্বিনরা) হযরত সোলায়মান আলাইহিস সালাম উনার ইচ্ছানুযায়ী দুর্গ, প্রতিকৃতি, হাউযসদৃশ
বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশাল ডেগ নির্মাণ করত। (সূরা সাবা ১২ নং আয়াত)
আরবী জ্ঞান না থাকার কারনে
তারার তামাছিল শব্দের অর্থ করেছে মূর্তি। অথচ তামাছিল দ্বারা কখেনোই নিদৃষ্টভাবে
মূর্তি বোঝায় না। এখানে تماثيل শব্দটি تمثال শব্দের বহুবচন। এর অর্থ হচ্ছে "এমন
বস্তু যা অন্য কোন বস্তুর অনুরূপ আকৃতিতে তৈরি করা হয়। (লিসানুল আরব ১১/৬৩১)
সূতরাং আমারা দেখতে পেলাম উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা যে তামাছিল বলা হয়েছে সেটা দ্বারা
বোঝানো হয়েছে কোন কিছুর অনুরূপ আকৃতি বা প্রতিকৃতি। প্রতিকৃতি দ্বারাতো আর কোন প্রানীর মূর্তি
বা প্রতিকৃতি নিদৃষ্ট করে বোঝায় না। তাহলে কি করে এটা বলা সম্ভব যে হযরত সোলায়মান আলাইহিস সালাম প্রানীর মূর্তি
বা ভাষ্কর্য বানাতে বলেছেন?
আসুন দেখা যাক উক্ত আয়াত শরীফে তামাছিল দ্বারা কি বোঝানো হয়েছে, সূরা সাবার ১৩ নম্বর আয়াত শরীফে ব্যাখায় আল্লামা যমখশরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
يجوز ان يكون غير صور الحيوان كصور الاشجار و غيرها لان التماثيل كل ماهو علي مثل صورة غيره من حيوان او غير حيوان
অর্থ: হযরত সুলাইমাম আলাইহাস সালাম জিনদের সাহায্যে যেসব আকৃতি তৈরি করাতেন তা কোন প্রানীর ছবি বা আকৃতি ছিলো না, বরং তা ছিলো গাছপালা ইত্যাদির আকৃতি। কেননা আরবীতে تمثال বলা হয় এমন বস্তুকে যা অন্য কোন আকৃতিতে বানানো হয়, চাই তা প্রানী হোক কিংবা হোক কিংবা অপ্রানী হোক। (কাশশাফ )
আর হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম ছিলেন তাওরাত শরীফের অনুসারী। সূতরাং উনার পক্ষে কখনোই মূর্তির
ভাষ্কর্য বানানো সম্ভব নয়। কারন তাওরাত শরীফে কোন প্রানীর মূর্তি, প্রতিকৃতি
বানানো শক্তভাবে নিষেধ করা হয়েছে।পবিত্র তাওরাত শরীফে বর্ণিত রয়েছে-
لءلا تفسدوا وتعملوا انفسكم تمثالا منحوتا صورة مثال ماشبه ذكرا اوانثي شبه بهيمة ما مما غلي الارض . شبه طيرما ذي جناح مما يطير في السماء شبه دبيب ما علي الارض شبه سمك ما مما في السماء من تحت الارض
অর্থ:
এমন যেন না হয়, তোমরা বিকৃত হয়ে নিজেদের খোদাই
করা প্রতিমুর্তি বানিয়ে নিবে, যা কোন পুরুষ কিংবা নারী অথবা
যমীনের কোন প্রাণী বা উড্ডয়নকারী কোন পাখি বা যমীনে বিচরণশীল কোন চতুষ্পদ জন্তু
অথবা যমীনের নিচে পানিতে বিচরণশীল মাছের অনুরূপ হয়।” (কিতাবুল ইস্তিছনা, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ১৬-১৮)
সূতরাং
কি করে বলা যায় সূরা সাবার ১৩ নম্বর আয়াত শরীফে হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম প্রানীর
মূর্তি ভাষ্কর্য বানাতে বলেছেন?
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন