সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

ঈমানে মূল্য কত জানেন?


ঈমানে মূল্য কত জানেন? আসুন একটা হিসাব করা যাক,
পৃথিবীর ভর ৫.৯৭২৩৭x১০২৪ কেজি।
১১.৬৬৪  গ্রাম = ১ ভরি
১ কেজি = ৮৫.৭৩৪ ভরি
৫.৯৭২৩৭x১০২৪ কেজি = ৮৫.৭৩৪ x ৫.৯৭২৩৭x১০২৪ ভরি
                             = ৫১২.০৩৫x১০২৪ ভরি
                             = ৫,১২,০৩৫,০০,০০,০০০,০০,০০,০০০,০০,০০,০০০ ভরি।
৫ লাখ ১২ হাজার ৩৫ কোটি কোটি কোটি ভরি (প্রায়)
১ ভরি সোনার বাজার দর ৪৮০০০ হাজার টাকা।
সূতরাং পৃথিবীর ওজনকে টাকায় রুপান্তর করলে,
(৫,১২,০৩৫,০০,০০,০০০,০০,০০,০০০,০০,০০,০০০x ৪৮০০০)
=২৪৫৭৭৬৮০ ০০,০০,০০০,০০,০০,০০০,০০,০০,০০০০০০ টাকা।


এবার আসুন মহান আল্লাহ পাক কি বলেছেন দেখা যাক,
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَمَاتُوا وَهُمْ كُفَّارٌ فَلَن يُقْبَلَ مِنْ أَحَدِهِم مِّلْءُ الْأَرْضِ ذَهَبًا وَلَوِ افْتَدَىٰ بِهِ ۗ أُولَـٰئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ وَمَا لَهُم مِّن نَّاصِرِينَ
যদি সারা পৃথিবী পরিমাণ স্বর্ণও তার (ঈমানহীনতার) পরিবর্তে দেয়া হয়, তবুও যারা কাফের হয়েছে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে তাদের তওবা কবুল করা হবে না। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব! পক্ষান্তরে তাদের কোনই সাহায্যকারী নেই।(সূরা আল ইমরান ৯১)
কুফরীর বিপরীত হচ্ছে ঈমান। সূতরাং আমারা দেখতে পেলাম ঈমানের দাম কত বেশি। এত বিপুল পরিমান টাকাও ঈমানের পরিবর্তে ফিদিয়া হিসাবে দিলেও জাহান্নামের আযাব থেকে বাঁচা যাবে না
আর ঈমানের সংজ্ঞায় হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
لا يؤمن احدكم حتي اكون احب اليه من والده ووالده والناس اجمعين وفي رواية من ماله و نفسه
অর্থ : তোমরা কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার পিতা-মাতা, সন্তান সন্তুতি, এবং সমস্ত মানুষ অপেক্ষা নবীজী ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বেশি মুহব্বত না করবে। অন্য বর্নায় এসেছে, তার ধন সম্পদ এবং জীবনের চাইতে বেশি মুহব্বত না করবে।” (দলীল- বুখারী শরীফ ১/৭-কিতাবুল ঈমান- হাদীস নম্বর ১৪ এবং ১৫, মু’জামুল আওসাত লিত তাবারানী ৫৯৪০, মুজামুল কবীর ৬৩০০, শুয়াইবুল ঈমান ১৪১৮আবু ইয়ালা ৩৮৪২)
যেটা বোঝা গেলো, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জীবনের চাইতে বেশি মুহব্বত হচ্ছে ঈমান।
আর মুহব্বত বিহীন বা ঈমান না নিয়ে মরে গেলে দুনিয়া পরিমান স্বর্ণ বা ২৪৫৭৭৬৮০ ০০,০০,০০০,০০,০০,০০০,০০,০০,০০০০০০ টাকা ফিদিয়া দিলেও কাফিরই থাকতে হবে। জাহান্নাম থেকে বাঁচা যাবে না। বিভিন্ন ফরয আমল যেমন নামাজ, রোজার না করে মারা গেলেও এর একটা নামমাত্র মূল্য ফিদিয়া আছে। কিন্তু ঈমানের সাথে কোন খাতির নাই। কোন ফিদিয়াই কাজে লাগবে না।
যারা নবী বিদ্বেষী, নবীজীকে মুহব্বত করতে পারে না, নবীজীর আগমনে যারা খুশি হতে পারে না, নবীজীকে নিজেদের মত মানুষ মনে করে, প্রচার করে ৪০ বছর আগে নবীজীর কোন দামই ছিলো না (নাউযুবিল্লাহ) এদের পরিনাম কি হবে? কিভাবে এরা আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচতে পারবে ?
আর আমারা যারা নবীজীর প্রতি ঈমান এনেছি, মুহব্বত করতে পেরেছি তাদের উচিত শুকরিয়া আদায় করা, অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুকরিয়া আদায় করা। অন্তরের অন্তস্থল থেকে খুশি প্রকাশ করা। এই যে নিয়ামত আমারা পেয়েছি, যা এত মূল্যবান। এই নিয়ামত পেয়ে কি পরিমান খুশি প্রকাশ করতে হবে একটু ফিকির করুন।

আর বিদ্বেষীরা বিরোধীতা ছেড়ে আল্লাহ পাককে ভয় করো। তওবা করে ফিরে আসো। 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন