ঈদে আযম,ঈদে আকবর,সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন এক ঈদ,যে ঈদ পালন করেছেন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই ।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজের বিলাদত শরীফ উনার মুবারক এবং বিশেষ ঘটনা সমূহ বর্ননা দিয়েছেন । এবং নিজের বিলাদত শরীফের দিন শুকরিয়া আদায় করেছেন ।
হাফিজে হাদীস হযরত আবু বকর ইবনে আবী শায়বা রহমাতুল্লাহি আলাইহি যেটা বিশুদ্ধ সনদে হাদীস শরীফে বর্ননা করেন-
عن عفان عن سعيد بن مين عن جابر وابن عباس رضي الله عنهما قال ولد رسول صلي الله عليه و سلم عام الفيل يوم الاثنين الثاني عشر من شهر ربيع الاول
অর্থ : হযরত আফফান রহমাতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্নিত,তিনি হযরত সাঈদ ইবনে মীনা রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ননা করেছেন যে, হযরত জাবির ও হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ হস্তি বাহীনি বর্ষের ১২ই রবীউল আউয়াল সোমবার শরীফ হয়েছিল। ”
দলীল-
√ মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বা
√ বুলুগুল আমানী শরহিল ফতহুর রব্বানী
√ আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ।
উক্ত হাদীস শরীফ থেকে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ সম্পর্কে জানা গেলো ! এখনে বিলাদত শরীফে সম্পর্কে তিনটা জিনিস প্রমান হয় —
(১) রবিউল আউয়াল শরীফ মাস।
(২) ১২ তারিখ।
(৩) সোমবার শরীফ ।
এই তিনটা বিষয়ই অত্যন্ত মুবারক।
কারন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১২ই রবীউল আউয়াল সোমবার শরীফ তাশরীফ এনেছেন।
এই বিষয় সমূহের মর্যাদা বুঝতে আমাদের সর্বপ্রথম বুঝতে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় সমূহের কিরুপ সেটা বুঝতে হবে।
সকল ইমাম,মুস্তাহিদ এক বাক্যে ইজমা করেছেন-
ان التربة التي اتصلت الي اعظم النبي صلي الله عليه و سلم افضل من الارض والسماء حتي العرش العظيم
অর্থ: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শরীর মুবারক উনার সাথে যে মাটি স্পর্শ করেছে তা আসমান-জমিন, আরশ-কুরসির চাইতেও শ্রেষ্ঠ।”
দলীল-
√ ফতোয়ায়ে শামী ৩য় খন্ড- কিতাবু যিয়ারত ।
আরো উল্লেখ আছে-
فانه افضل مطلق حتي من الكعبة واعرش والكرسي
অর্থ: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সবকিছুর চাইতে শ্রেষ্ঠ, এমনকি কা’বা শরীফ, আরশে আযীম ও কুরসী হতেও !”
দলীল-
√ দূররুল মুখতার ১ম খন্ড ১৮৪পৃষ্ঠা ।
উক্ত ইজমা শরীফ থেকে এখন চিন্তা করেন, ধুলি বালি যদি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কদম মুবারক স্পর্শের কারনে আরশ-কুরসী-লওহো-কলম-কাবা শরীফ থেকে শ্রেষ্ঠ হয় তবে উনার সংশ্লিষ্ট প্রতিটা বিষয় বা জিনিসের কত মর্যাদা !!
উদাহরণ স্বরূপ সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের মর্যাদা দেখুন, কিয়ামত পর্যন্ত শত সহস্র ইবাদত করেও এক সেকেন্ডের দর্শনে যিনি সাহাবী উনার সমকক্ষ হওয়া সম্ভব নয় । কোন বান্দা যদি উহুদ পাহাড় পরিমান স্বর্ন আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় দান করে, সে দান একজন সাহাবীর ৭ছটাক বা ১৪ ছটাক গম দানের সমানও হবে না । ( বুখারী শরীফ)
এই ফযিলত কোথা থেকে আসলো ??
শুধুমাত্র হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সংশ্লিষ্ট হওয়ার কারনে এই ফযীলত লাভ হয়েছে।
তাহলে এখন ফিকিরের বিষয়, তাহলে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেদিন তাশরীফ আনলেন, উনার সাথে সংশ্লিষ্ট হওয়ায় যে তারিখে তাশরীফ আনলেন, যে মাসে তাশরীফ আনলেন সেই সমস্ত দিন,তারিখ এবং মাসের মর্যাদা কত ??
আর নিয়ামত পূর্ন দিন মর্যাদা পূর্ন দিন সমূহ স্বরন করা বা আলোচনা করার কথা কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে–
وذكرهم بايام الله ان في ذلك لايات لكل صبار شكور
অর্থ : আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিন সমূহ স্বরন করান ! নিশ্চয়ই এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল শোকরগুযার বান্দাদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে !”
( সূরা ইব্রাহীম ৫)
হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সংশ্লিষ্ট দিন মুবারক হতে নিয়মত পূর্ন এবং মর্যাদা পূর্ন আর কোন দিন,তারিখ,মাস কি আছে পৃথিবীতে ??
আপনারা সবাই জানেন, লাইলাতুল কদর বা শবে কদর হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম । কেন উত্তম ? কারন এই রাতে কুরআন শরীফ নাযিল হয়েছিলো এবং ফিরিশতা আলাইহিস সালাম উনারা নাযিল হন।
এই কারনে যদি শবে কদর হাজার মাস থেকে উত্তম হয়, তাহলে যিনি সৃষ্টি না হলে কিছু সৃষ্টি হতো না, কুরআন শরীফ নাযিল হতো না, ফিরিশতা সৃষ্টি হতো না, যার কদম মুবরকের ধুলা-বালি মুবারক আরশ কুরসির চাইতে শ্রেষ্ঠ সেই নবীজী , সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের রাত কত বেশি মর্যাদাপূর্ন, ফযীলতপূর্ন সেটা চিন্তার বিষয় ।
আর সে বিষয়েই সকল ইমাম,মুস্তাহিদ,আওলিয়ায়ে কিরামগন একমত হয়ে গেছেন, উনারা বলেছেন–
” মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রাত্রি লাইলাতুল কদরের রাত্রি হতে নিঃসন্দেহে উৎকৃষ্ট । কেননা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রাত্রি স্বয়ং মাহবুবে খোদা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের রাত্রি।””
দলীল-
√ মাওয়াহেবুল লাদুননিয় ১ম খন্ড ২৬ পৃষ্ঠা ।
√ মাছাবাতা বিস সুন্নহ ৭৮ পৃষ্ঠা।
উপরোক্ত অকাট্য দলীল আদীল্লা দিয়ে দিবালোকের ন্যায় প্রমান হলো, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের রাত্রি সবচাইতে বেশি মর্যাদাপূর্ণ, ফযীলতপূর্ন , নিয়মাতপূর্ন, এবং সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদের রাত্রি ।
এবার আসুন আমরা দেখি এই মহা মর্যাদাপূর্ণ দিবসে স্বয়ং হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে শুকরিয়া আদায় করেছেন, খুশি প্রকাশ করেছেন।
বিশুদ্ধ হাদীস শরীফ–
سءل رسول صلي عليه و سلم عن صوم الاثنين فقال فيه ولدت وفيه انزل علي وحي
অর্থ: হযরত আবু কাতাদা আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূরপাপক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাকে কে সোমবারে রোযা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হল,
তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন যে, এদিন আমি বিলাদত শরীফ লাভ করেছি, আর এদিনই আমার উপর ওহী বা কুরআন শরীফ নাজিল হয়েছে।”
দলীল –
√সহীহ মুসলিম,হাদীছ শরীফ নং-২৮০৭
√সুনানে আবু দাউদ, হাদীছ শরীফ
নং-২৪২৮
√ সুনানে বায়হাকী [কুবরা], হাদীছ শরীফ নং-৮২১৭
√ সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীছ শরীফ নং-২১১৭
√ মুসনাদে আবি আওয়ানা, হাদীছ শরীফ নং-২৯২৬
√ মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ শরীফ
নং-২২৫৫০ !
উপরোক্ত হাদীস শরীফ থেকে বুঝা গেলো স্বয়ং হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে উনার বিলাদত শরীফ দিন নির্ধারণ করে শুকরিয়া আদায় করতেন ।
অর্থাৎ নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন।
এখন খারেজী/ওহাবীরা বলে থাকে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিতো রোজা রেখেছেন ঈদতো পালন করেন নাই।
এর উত্তর হচ্ছে, মূর্খ ওহাবী সম্প্রদায় ঈদ কি জিনিস সেটাই জানে না। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে নিজের বিলাদত শরীফ উপলক্ষে শুকরিয়া করে রোজা রাখলেন ওইটা শোকের রোজা ছিলো ?
নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা ওইটা ঈদ হয় না শোক হয় ??
অবশ্যই এই রোজা নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুশি হয়ে আল্লাহ পাক উনার শুকরিয়া আদায় করেই রেখেছেন।আর এই খুশিটাই হচ্ছে ঈদ !!
সুবহানাল্লাহ্ !!
এখন বর্তমানে যদি কেউ সোমবার শরীফে রোজা রাখে তবে তাকে কিন্তু এই রোজা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্বরনেই রাখতে হবে। কারন এই নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই নিয়াতেই রেখেছেন।
অতএব, কেউ যদি এখন প্রতি সোমবার শরীফ ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করে শুকরিয়া স্বরুপ রোজা রাখে আমরা তাকে অভিন্দন জানাই , কারন আপনি ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন শুকরিয়া আদায় করে রোজা রেখেছেন !!
শুধুতাই নয়, এ ছাড়াও হাদিস হতে প্রমাণিত স্বয়ং হুযুর নিজের বিলাদত শরীফের খুশির উদ্দেশ্যে ছাগল যবাহ করেছিলেন ।”
দলীল-
√ ইমাম সুয়ুতী আল হাবিলুল ফাতোয়া ১ম খন্ড ১৯৬ পৃষ্ঠা।
√ হুসনুন মাকাসিদ ফি আমালিল মোলিদ ৬৫ পৃষ্ঠা
√ হুজ্জাতুল্লাহে আলাল আলামীন ২৩৭ পৃষ্ঠা ।
অথচ হাদীস শরীফে বর্নিত আছে, হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফের সপ্তম দিনে পশু জবাই করে আক্বীকা করেছেন !'”
দলীল-
√ খাসায়েছুল কুবরা ১ম খন্ড ৮৫ পৃষ্ঠ।
সূতরাং বুঝা যায়,পরবর্তীতে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিলাদত শরীফ উপলক্ষে যে ছাগল জবেহ করেছিলেন ওইটা ছিলো নিজের বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে।
সুবহানাল্লাহ্ !!
হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজের মীলাদ শরীফের আলোচনা করেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছে –
” নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনার বংশধর হতে কিনানা আলাইহিস সালাম উনাকে মনোনীত করেছেন, এরপর কিনানা আলাইহিস সালাম উনার বংশধর হতে কুরাইশকে মনোনীত করেছেন । কুরাইশের বংশধর হতে বনী হাশিমকে মনোনীত করেছেন, আর বনী হাশিম থেকে আমাকে (হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) করেছেন ।”
দলীল-
√ মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড ২৪৫ পৃষ্ঠা- হাদীস ২২৭৬
√ তিরমীযি শরীফ ২য় খন্ড ২০১ পৃষ্ঠা- হাদীস ৩৬০৫ ।
হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজের মীলদ শরীফ সম্পর্কে বলেন–
” আমি তোমাদের আমার পূর্বের কিছু কথা জানাবো! তা হলো- আমি হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম উনার দোয়া আমি হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার সুসংবাদ ও আমার মাতার সুস্বপ্ন ! আমার বিলাদতের সময় আমার মাতা দেখতে পান যে, একখানা নূর মোবারক বের হয়ে শাম দেশের রাজ প্রসাদ সমূহ আলোকিত করে ফেলেছে !””
দলীল-
√ মুসনাদে আহমদ ৪র্থ খন্ড ১২৭ পৃষ্ঠা- হাদীস ১৬৭০১
√ মুস্তদরেকে হাকিম ২য় খন্ড ৬০১ পৃষ্ঠা !
√ মিশকাত শরীফ ৫১৩ পৃষ্ঠা !
এরকম অসংখ্য হাদীস শরীফ আছে যেখানে স্বয়ং হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই নিজের মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ঘটনা বর্ননা করেছেন।
সুতরাং আমরা উপরোক্ত হাদীস শরীফ থেকে দেখতে পেলাম হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই নিজের বিলাদত শরীফের ঘটনা বর্ননা করেছেন এবং ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন।
আমরা পোস্টের প্রথমেই দেখেছি ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিন অর্থাৎ ১২ই রবিউল আউয়াল, সোমবার শরীফ কত মর্যাদাবান।
সূতরাং সকল মুসলমানগনের দায়িত্ব হবে এই দিনের শুকরিয়া আদায় করা এবং সর্বোচ্চ খুশি প্রকাশ করা !
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন