পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিরোধী বিদয়াতীরা পবিত্র মীলাদ শরীফকে বিদয়াত প্রমাণ করতে গিয়ে আরেকটি মিথ্যা তথ্য সংযুক্ত করে থাকে। তারা বলে, “পবিত্র মীলাদ শরীফ এর এরূপ তরতীব প্রচলন করেন ছয়শত হিজরীতে একজন ফাসিক বাদশাহ।” নাঊযুবিল্লাহ!
মূলত, তাদের উক্ত বক্তব্য মোটেও সত্য নয়; বরং সম্পূর্ণই মিথ্যা ও জিহালতপূর্ণ। কারণ নির্ভরযোগ্য সীরাত গ্রন্থসমূহ ও পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার নির্ভরযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য সমস্ত কিতাবেই উক্ত বাদশাহকে নেক্কার, পরহেযগার, ছালেহীন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
যেমন এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত মুফাসসির, হাফিয ইমাদুদ্দীন ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আল বিদায়া ওয়ান্ নিহায়া’ উনার ১৩ খন্ডের ১৩৬ পৃষ্ঠায় লিখেন-
وقد صنف الشيخ ابو الخطاب بن دحية له مجلدا فى مولد النبى صلى الله عليه وسلم سماه التنوير فى مولد البشير والنذير" فجازة على ذالك بالف دينار.
অর্থ: “নিশ্চয়ই হযরত শায়েখ আবুল খত্তাব ইবনে দাহইয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘পবিত্র মীলাদ শরীফ’ সম্পর্কিত একখানা কিতাব রচনা করে উনার নাম দেন ‘আত্ তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান্ নাযীর’ (তৎকালীন আরবলের বাদশাহ হযরত মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি) উনার এ কিতাবের উপর সন্তুষ্ট হয়ে উনাকে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা হাদিয়া দেন।”
উপরোক্ত বর্ণনা দ্বারা বুঝা গেল যে, যিনি সর্বপ্রথম রাষ্ট্রীয়ভাবে তরতীব মুতাবিক ‘পবিত্র মীলাদ শরীফ’ উনার মাহফিলের ব্যবস্থা করেন, সেই আরবলের ন্যায়পরায়ণ, দ্বীনদার পরহেযগার বাদশাহ অত্যন্ত রসূল প্রেমিক ছিলেন। আর তাই পবিত্র মীলাদ শরীফ এর উপর কিতাব লিখার কারণেই হযরত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বতের নমুনাস্বরূপ লেখককে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা হাদিয়া দেন। এটাই উনার হক্ব হওয়ার একটি অন্যতম দলীল। সুবহানাল্লাহ!
সর্বজনমান্য ইতিহাসবিদ আল্লামা ক্বাযী হযরত ইবনে খাল্লিকান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিখ্যাত ‘তারীখে ইবনে খাল্লিক্বান’ কিতাবে লিখেন,
الحافظ ابو الخطاب كان مواعيان العلماء ومشاهر الفضلاء قدم المغرب فدخل الشام والعراق احتاز باربل سنة اربع ست مائة فوجد ملكها المظفر الدين زين الدين يعتنى بمولد النبى صلى الله عليه وسلم فعمل له كتاب التنوير.
অর্থ: “হাফিযে হাদীছ আল্লামা হযরত আবুল খত্তাব ইবনে দাহইয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি শীর্ষস্থানীয় উলামা ও ফুদালায়ে কিরামগণ উনাদের অন্যতম। তিনি ৬০৪ হিজরী সনে যখন মাগরীব থেকে সফর করে শাম দেশের “আরবাল” শহরে পৌঁছেন, তখন তথাকার দ্বীনদার পরহেযগার বাদশাহ হযরত মালিক মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ও জাঁকজমকের সাথে “পবিত্র মীলাদ শরীফ ” মাহফিলের ব্যবস্থা করতে দেখে তিনি “পবিত্র মীলাদ শরীফ ” এর উপর “আত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান্ নাযীর” নামক একখানা মহামূল্যবান কিতাব রচনা করেন।”
অর্থাৎ তিনি উক্ত কিতাব লিখে এটাই প্রমাণ করেন যে, সর্বপ্রথম রাষ্ট্রীয়ভাবে তরতীব মুতাবিক পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মাহফিলের আয়োজনকারী বাদশাহ হযরত মালিক মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন তিনি হক্বের উপর আছেন। তিনি পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল করে কোনো শরীয়তবিরোধী কাজ করেননি, বরং সম্মানিত ইসলামী শরীয়তসম্মত কাজই করেছেন। আর তাই বিশ্বের সকল বিখ্যাত, অনুসরণীয়, সর্বজনমান্য ও শ্রদ্ধেয় হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারা এক বাক্যে উক্ত বাদশাহ উনার ভূয়সী তা’রীফ বা প্রশংসা করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
হাফিযে হাদীছ হযরত ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিশ্বখ্যাত ইতিহাস গ্রন্থ ‘সিয়ারু আ’লামিন নুবালা’ ২২ খন্ড ৩৩৬ পৃষ্ঠায় লিখেন,
كان متواضعا خيرا سنيا يحب الفقهاء والمحدثين.
অর্থ : “বাদশাহ হযরত মালিক মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নম্র, ভদ্র, বিনয়ী ও উত্তম স¦ভাবের অধিকারী ছিলেন। তিনি সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার আক্বীদায় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি ফক্বীহ ও মুহাদ্দিছগণ উনাদেরকে অত্যন্ত ভালবাসতেন।”
এ মহান বাদশাহ উনার প্রশংসায় উনার সমকালীন বিখ্যাত ইতিহাসবিদ আল্লামা হযরত ক্বাযী ইবনে হযরত খাল্লিক্বান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত কিতাব ‘ওয়াফইয়াতুল আ’ইয়ান’ গ্রন্থের ৪র্থ খ-ের ১১৯ পৃষ্ঠায় লিখেন,
وكرم الاخلاق كثير التواضع حسن العقيدة سالم البطاقة شديد الميل الى اهل السنة والجماعة لاينفق عند ارباب العلوم سوى الفقهاء والمحدثين ومن عداهما لا يعطيه شيأ الا تكلفا.
অর্থ: “বাদশাহ হযরত মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি প্রশংসনীয় বা উত্তম চরিত্রের অধিকারী, অত্যধিক বিনয়ী ছিলেন। উনার আক্বীদা ও বিশ্বাস ছিল সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ। তিনি সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার একনিষ্ঠ অনুসারী ছিলেন। তিনি আলিম-উলামা, ফক্বীহ ও মুহাদ্দিছগণ উনাদের পিছনে ব্যয় করা ব্যতীত সকল ক্ষেত্রেই ব্যয় করার ব্যাপারে মিতব্যয়ী ছিলেন।”
বিখ্যাত তাফসীরকারক ও ইতিহাসবেত্তা আল্লামা হযরত ইমাদুদ্দীন ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত গ্রন্থ “আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া” উনার ১৩তম জিলদ ১৩৬ পৃষ্ঠায় লিখেন,
الملك المظفر .. ابو سعيد كوكبرى احد للاجواد السادات الكبراء والملوك الامجادلة اثر حسنة.
অর্থ: “বাদশাহ হযরত মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন আবু সাঈদ কাওকাবারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অত্যধিক দানশীল ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের অন্যতম একজন ছিলেন। সাথে সাথে তিনি সম্মানিত বাদশাহও ছিলেন। উনার বহু পুণ্যময় কাজের আলামত এখনও বিদ্যমান রয়েছে।”
এ মহান বাদশাহ বিশুদ্ধ আক্বীদা ও উত্তম আমলের অধিকারী ছিলেন বলে এবং তিনি যে তরতীবে পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল উদযাপন করতেন তা সম্মানিত ইসলামী শরীয়তসম্মত ছিল বলেই সে যামানার প্রায় সকল আলিম-উলামা, পীর-মাশায়িখ, ছুফী-দরবেশ, ক্বারী, ওয়ায়িয উক্ত পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিলে উপস্থিত হতেন।
এ প্রসঙ্গে হযরত ইমাম ইবনে খাল্লিক্বান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত কিতাব “ওয়াফইয়াতুল আ’ইয়ান” ৪র্থ জিলদ ১১৭ পৃষ্ঠায় লিখেন,
واما احتفال بمولد النبى صلى الله عليه وسلم فان الوصف يقصر عن الاحاطة بها ولكن نذكر طرقا منه وهو اهل البلاد كانوا قد سمعوا بحسن اعتقاد فيه فكان فى كل سنة يصل اليه من البلاد العربية من اربل مثل بعداد والموصل والجزيرة وكسنجار ونصبين وبلادا العجم وتلك النواحى حلق كثير من الفقهاء والصوفية والوعائظ والقراء والشعراء.
অর্থ : “বাদশাহ হযরত মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলইহি কর্তৃক আয়োজিত পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল এর গুরুত্ব-মাহাত্ম্য বলে শেষ করার মতো নয়। এতদ্বসত্ত্বেও একটি কথা না বললেই নয়। তাহলো দেশবাসী আক্বীদা ও বিশ্বাসে উনাকে উত্তম লোক বলে জানতেন। আর তাই প্রতি বছর আরবালের নিকটবর্তী সকল দেশের যেমন- বাগদাদ, মাওছিল, জাযীরাহ, সানজার, নাছীবাইন আরব-অনারব ও তার আশপাশের অসংখ্য আলিম-উলামা, ফক্বীহ, ছালিহ, ওয়ায়িয, ক্বারী ও শায়ির উক্ত পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মাহফিলে উপস্থিত হতেন।”
আল্লামা হযরত ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ গ্রন্থের ১৩তম জিলদ ১৪৭ পৃষ্ঠায় লিখেন,
وكان يحضر عنده فى المولد اعيان العلماء والصوفية.
অর্থ: “উনার আয়োজিত পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিলে বিভিন্ন দেশের আলিম-উলামা ও পীর-মাশায়িখগণ উনারা অংশগ্রহণ করতেন।”
ইমাম আল্লামা হযরত জালালুদ্দীন সুয়ুতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘আল হাবী লিল ফাতাওয়া’ উনার ১ম জিঃ, ১৯২ পৃষ্ঠায় লিখেন,
حضر عنده فى العلماء والصلحاء من غير نكير.
অর্থ: “বাদশাহ হযরত মুজাফফর রহমতুল্লাহি আলাইহি আয়োজিত পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মাহফিলে আলিম-উলামা ও ছলিহীনগণ উনারা উত্তম বিবেচনা করতঃ নির্দিধায় শরীক হতেন।”
পবিত্র মীলাদ শরীফ বিরোধী বিদয়াতী গুমরাহরা বাদশাহকে ফাসিক প্রমাণ করার ব্যর্থ চেষ্টার লক্ষ্যে বলে থাকে যে, “বাদশাহ অপচয়কারী ছিলেন। কারণ তিনি পবিত্র মীলাদ শরীফ এর জন্য প্রচুর টাকা ব্যয় করতেন।”
পবিত্র মীলাদ শরীফ বিরোধী বিদয়াতী গুমরাহরা এতটাই জাহিল যে, অপচয় কাকে বলে সেটাই তারা জানে না। পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিলে ব্যয় করা অপচয় নয়; বরং ইবাদত ও নাজাতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উসীলা। সুবহানাল্লাহ!
খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,
من انفق درهما على قرائة مولد النبى صلى الله عليه وسلم كان رفيقى فى الجنة.
অর্থ: “যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মাহফিলে এক দিরহাম খরচ করবে সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা ৭ পৃষ্ঠা)
এ ফযীলত অর্জন করার লক্ষ্যেই বাদশাহ প্রতিবছর পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মাহফিলের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করতেন এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল উনার মধ্যে আগত সকলকে রাষ্ট্রীয়ভাবে আপ্যায়ন করতেন। হাদিয়া-তোহফা দিতেন ও গরিব-মিসকিনদেরকে খাদ্য খাওয়াতেন, দান-খয়রাত করতেন।
যেমন- এ প্রসঙ্গে আল্লামা হযরত ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ নামক গ্রন্থের ১৩তম জিলদ ১৩৭ পৃষ্ঠায় লিখেন,
كان يصرف على المولد كل سنة على ثلاثة الف دينار
অর্থ: “তিনি প্রতি বছর পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মাহফিলের জন্য তিন লক্ষ দীনার ব্যয় করতেন।”
উল্লেখ্য, বাদশাহ কখনোই অপচয়কারী ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন অত্যন্ত মিতব্যয়ী। উনার মিতব্যয়িতা ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। রাজা-বাদশাহদের জীবনে এরূপ মিতব্যয়ী ও সাধারণভাবে জীবন-যাপনের নজির খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বাদশাহ হওয়া সত্ত্বেও তিনি একেবারেই সাধারণ ও স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতেন।
এ প্রসঙ্গে আল্লামা ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ গ্রন্থের ১৩তম জিলদ ১৩৭ পৃষ্ঠায় লিখেন,
كان قميصه لايساوى خمسة دراهم فعاتبته لك فقال ثوبا بخمسة واتصدق بالباقى خير من البس ثوبا مثمنا وادع الفقير والمسكين.
অর্থ: “বাদশাহ হযরত মুজাফফর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পরিধানকৃত ক্বামীছের মূল্য পাঁচ দিরহামের সমতুল্য হতো না। যে কারণে উনার স্ত্রী (আহলিয়া), যিনি হযরত সালাউদ্দীন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সহোদরা ছিলেন, তিনি উনার প্রতি অসন্তুষ্ট হলে বাদশাহ নম্র ভাষায় বলেন, পাঁচ দিরহামের একটি পোশাকই আমার জন্য যথেষ্ট। মূল্যবান পোশাক পরিধান করার চেয়ে অতিরিক্ত অংশ দান করে দেয়াই আমি উত্তম মনে করি। আর এ কারণেই আমি অতিরিক্ত অংশ ফক্বীর-মিসকীনের মধ্যে দান করে দেই।”
এ প্রসঙ্গে এ মহান বাদশাহর প্রশংসায় উনার সমকালীন বিখ্যাত ইতিহাসবিদ আল্লামা হযরত ক্বাযী ইবনে খাল্লিক্বান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত কিতাব “ওয়াফইয়াতুল আ’ইয়ান” গ্রন্থের ৪র্থ জিলদ ১১৯ পৃষ্ঠায় লিখেন-
وكرم الاخلاق كثير التواضع حسن العقيدة سالم البطاقة شديد الميل الى اهل السنة والجماعة لاينفق عند من اراباب العلوم سوى الفقهاء والمحدثين ومن عداهما لا يعطيه شيأ الا تكفلها.
অর্থ: “বাদশাহ হযরত মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি প্রশংসনীয় বা উত্তম চরিত্রের অধিকারী, অত্যধিক বিনয়ী ছিলেন। উনার আক্বীদা ও বিশ্বাস ছিলো সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ। তিনি সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার একনিষ্ঠ অনুসারী ছিলেন। তিনি আলিম-উলামা, ফক্বীহ ও মুহাদ্দিছ উনাদের পিছনে ব্যয় করা ব্যতীত সকল ক্ষেত্রেই ব্যয় করার ব্যাপারে মিতব্যয়ী ছিলেন।”
উপরোক্ত দলীলভিত্তিক আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, সর্বপ্রথম “তরতীব মুতাবিক” পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার আয়োজনকারী বাদশাহ অনুসরণীয় ইমাম-মুজতাহিদ উনাদের দৃষ্টিতে সঠিক আক্বীদা, শরীয়তসম্মত আমল, বিনয়ী, মিতব্যয়ী, সখী বা দানশীল ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী ও আশিকে রসূল ছিলেন। তিনি অপচয়কারী ও ফাসিক ছিলেন না। মূলত উনাকে অপচয়কারী ও ফাসিক বলা জিহালত ও গোমরাহী বৈ কিছুই নয়।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন