আমরা বিগত পোস্টে অসংখ্য তাফসীর শরীফের কিতাব থেকে প্রমান করে দেখিয়েছি আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নূর বলেছেন। আজকের পোস্টেও কিছু দলীল প্রমান পেশ করা হবে।
মহান আল্লাহ পাক কালামুল্লাহ শরীফে সূরা তাওবা ৩২ নং আয়াত শরীফ এবং সূরা ছফ ৮নং আয়াত শরীফে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে "নূর" বলেছেন।
আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন-
يريدون ان يطفءوا نور الله بافواههم ويأبي الله الا ان يتم نوره ولو كره الكافرون
অর্থ: কাফেররা আল্লাহ পাক উনার "নূর" কে মূখের ফুৎকারে নিভিয়ে দিতে চায়,অথচ আল্লাহ পাক উনার "নূর" কে অবশ্যই পূর্ন করবেন। যদিও কাফেররা তা পছন্দ করে না।"
দলীল-
√ সূরা তাওবা ৩২ আয়াত শরীফ।
√ সূরা ছফ ৮ আয়াত শরীফ (শাব্দিক কিছু পার্থক্য আছে)
উক্ত আয়াত শরীফ সমূহে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে "নূরুল্লাহ" বলেছেন।
সুবহানাল্লাহ্ !
এপ্রসঙ্গে মুফাসসিরীনে কিরামগন বলেন-
তাজুল মুফাসসিরীন,রঈসুল মুহাদ্দিসীন, আল্লামাতুশ শায়েখ জালালুদ্দীন সূয়ুতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
يريدون ان يطفءوا نور الله- اخرج ابن ابي حاتم حن الضحاك رضي الله عنه في قوله ان يطفءوا نور الله يقول يريدون ان يهلك محمد صلي الله عليه و سلم
অর্থ: হযরত ইবনে আবী হাতিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি হযরত জাহাক্ব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ননা করে বলেন,কাফেররা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়।"
নাউযুবিল্লাহ !
দলীল-
√ তাফসীরে দুররুল মানছুর ৩য় খন্ড ২৩১ পৃষ্ঠা ।
তাজুল মানত্বেকীন,ফখরুল মুফাসসিরীন, আল্লামা ফখরুদ্দীন রাজী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
يريدون ان يطفءوا نورالله- من قوله"يريدون" ثم انه تعالي وعد محمد صلي الله عليه و سلم مزيد الصرة والقوة وا علاء الدرجة وكمال الرتبة فقال يابي الله الا ان يتم نوره
অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা উচ্চ করনার্থে ও পূর্নতা দানে সর্ব প্রকার সাহায্য সহযোগিতার ওয়াদা করেছেন। তাই আল্লাহ পাক বলেন, আল্লাহ পাক অবশ্যই উনার "নূরকে" অর্থাৎ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পূর্নতা দান করবেন।"
দলীল-
√ তাফসীরে কবীর ১৫ তম খন্ড ৩৯ পৃষ্ঠা।
এছাড়াও জগতের সব নির্ভরযোগ্য তাফসীরে কিতাব সমূহে সূরা তাওবা ৩২ নং আয়াত এবং সূরা ছফ ৮ নং আয়াত শরীফে - "নূরুল্লাহ" বা আল্লাহ পাক উনার নূর দ্বারা সরাসরি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বুঝানো হয়েছে ।"
দলীল-
√ তাফসীরে মাওয়ারাদী ৫ম খন্ড ৫৩০ পৃষ্ঠা।
√ তাফসীরে হাক্কানী ৭৪ পৃষ্ঠা।
√ তাফসীরে কবীর ২৯ তম খন্ড ৩১৫ পৃষ্ঠা ।
√ তাফসীরে হাশিয়াতুল জামাল আলাল জালালাইন ৪র্থ খন্ড ৩৩৭ পৃষ্ঠা।
√ তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১৪ তম খন্ড ৮৮ পৃষ্ঠা।
√ তফসীরে জামিউ লি আহকামিল কুরআন কুরতুবী ১৮ তম খন্ড ৮৫ পৃষ্ঠা।
√ আদ দুররুল মাছুন ফি উলুমিল তিকাবিল মাকনুন ৬ষ্ঠ ৩১২ পৃষ্ঠা।
সূরা তাওবা ৩২ নং আয়াত শরীফ এবং সূরা ছফ ৮নং আয়াত শরীফ দ্বারাও দিবালোকের ন্যায় প্রমান হলো, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উমাকে নূর বলে উল্লেখ করেছেন।
যেহেতু হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আপাদমস্তক "নূর" তথা নূরে মুজাসসাম সেহেতু মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে "সূরা মায়েদা ১৫,সূরা নূর ৩৫,সূরা আহযাব ৪৫,সূরা তওবা ৩২,সূরা ছফ ৮ নং আয়াত শরীফ" মুবারকে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে "নূর" হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
মূল কথা হলো হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূর বা নূরে মুজাসসাম এটা কুরআন শরীফ দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমানিত। অতএব,যারা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নূর অস্বীকার করবে তারা কুরআন শরীফকে অস্বীকার করার কারনে কাফির হয়ে যাবে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন