বাদশা মুজাফফর আবু সাঈদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আগে থেকেই পবিত্র ঈদে
মীলাদে হাবীবী জাঁকজমকের সাথে পালিত হতো। মুহম্মদ বিন আব্দুল্লাহ বিন জুফার
মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি ( ৪৯৭- ৫৬৫ হিজরী) তিনি উনার “দুররুল মুনাজ্জাম” গ্রন্থে লিখেন,
وقال
العلامة ابن ظفر - رحمه الله تعالى -: بل في الدر المنتظم: وقد عمل المحبون للنبي
صلى الله عليه وسلم فرحا بمولده الولائم -، فمن ذلك ما عمله بالقاهرة المعزية من
الولائم الكبار الشيخ أبو الحسن المعروف بابن قفل قدس الله تعالى سره، شيخ شيخنا
أبي عبد الله محمد بن النعمان، وعمل ذلك قبل جمال الدين العجمي الهمذاني وممن عمل
ذلك على قدر وسعه يوسف الحجار بمصر وقد رأى النبي صلى الله عليه وسلم وهو يحرض
يوسف المذكور على عمل ذلك
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আশিকগন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিলাদত শরীফের খুশিতে
খাওয়া – দাওয়া ও দাওয়াতের আয়োজন করে আসছেন। কায়রো যে সকল ব্যক্তি বড় বড় দাওয়াতের আয়োজন
করেছেন, তাদের মধ্যে শায়েখ আবুল হাসান যিনি
মশহুর ছিলেন ইবনে কুফুল কুদ্দিসা সিরহুল নামে। তিনি আমাদের শায়েখ আবু আব্দুল্লাহ ইবনে
নুমান রহমতুল্লাহি আলাইহি। এই বরকতময় আমল হযরত জামালুদ্দীন আযমী হামদানী রহতুল্লাহি
আলাইহিও করেছেন। মিশরে হযরত ইউসূফ হাজ্জার রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও ব্যাপক পরিসরে
উদযাপন করেছেন। এরপর তিনি হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে
স্বপ্নে দেখলেন যে, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইউসুফ
হাজ্জার রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে উল্লেখিত আমলের জন্য উৎসাহ প্রদান করেছেন। (সুবুলুল
হুদা ওয়ার রাশাদ ফি সিরাতে খাইরুল ইবাদ ১ম খন্ড ৩৬৩ পৃষ্ঠা)
ইতিহাসই
সাক্ষী বাদশা মুজাফফর আবু সাঈদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আগে থেকেই পবিত্র ঈদে মীলাদে
হাবীবী পালন করা হতো। আয়োজন করা হতো। দাওয়াত করে মানুষকে খাওয়ানো হতো।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন