আপনি কি জানেন ইতিহাসে রয়েছে ১৩০০ বছর আগে ইসলামের সোনালী যুগে ঘরে ঘরে বাল্য বিবাহ হতো? একজন নানী বা দাদীর বয়সই হতো ২১ বছর? তো আসুন এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেয়া যাক।
وَأَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ قِرَاءَةً عَلَيْهِ حَدَّثَنِى أَبُو أَحْمَدَ : مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ الشَّعْبِىُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَرْزُنَانِىُّ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ طَاهِرِ بْنِ حَرْمَلَةَ حَدَّثَنِى جَدِّى حَدَّثَنِى الشَّافِعِىُّ قَالَ : رَأَيْتُ بِصَنْعَاءَ جَدَّةً بِنْتَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ سَنَةً ، حَاضَتْ ابْنَةَ تِسْعٍ وَوَلَدَتْ ابْنَةَ عَشْرٍ ، وَحَاضَتِ الْبِنْتُ ابْنَةَ تِسْعٍ وَوَلَدَتْ ابْنَةَ عَشْرٍ. {ت} وَيُذْكَرُ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ صَالِحٍ أَنَّهُ قَالَ : أَدْرَكْتُ جَارَةً لَنَا صَارَتْ جَدَّةً بِنْتَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ سَنَةً. وَعَنْ مُغِيرَةَ الضَّبِّىِّ أَنَّهُ قَالَ : احْتَلَمْتُ وَأَنَا ابْنُ اثْنَتَىْ عَشْرَةَ سَنَةً. وَرُوِّينَا عَنْ عَائِشَةَ رَضِىَ اللَّهُ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ : إِذَا بَلَغَتِ الْجَارِيَةُ تِسْعَ سِنِينَ فَهِىَ امْرَأَةٌ.
ইমাম বায়হাকিও ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহিম উক্তি বর্ণনা করছেন , “আমি (ইয়ামানের) সানা শহরে এক নানীকে দেখেছি, তখন তার বয়স ছিল ২১ বছর। নয় বছর বয়সে তার ঋতুস্রাব শুরু হয় এবং দশ বছর বয়সে সে সন্তানের জন্ম দেয়”।
হযরত হাসান বিন সালেহ রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, আমাদের এক কিশোরীকে পেলাম যিনি ২১ বছরে নানী হয়েছেন। হযরত মুগীরাদ্ব তা দ্বব্বাইয়্যা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ননা করেন, আমি (আমার স্ত্রীকে) সন্তান সম্ভবা করেছি তখন আমার বয়স ছিলো ১২ বছর। উম্মুল মু’মিনিন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন, মেয়েদের বয়স নয় বছর হলে সে মহিলা। (সুনানে বায়হাকি কুবরা : ১/৪৭২: হাদীস নং ১৫৩১, জাওয়াহিরুন নক্বী ১/৩১৯)
উপরোক্ত দলীল দ্বারা আমরা দেখতে পেলাম পূর্ববর্তী সময়ে বাল্যবিবাহ সবখানেই বিরাজমান ছিলো। ছেলে ও মেয়ে উভয়ের বাল্য বিবাহ হতো। তবে কেন আজ বাল্য বিবাহের বিরোধীতা?
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন