বাল্যবিবাহের বিরোধীতায় কাদের এত চুলকানি?
বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ, তাবাকাতে সা’দ সহ অসংখ্য কিতাবে বাল্য বিবাহ সর্ম্পকে একধিক সনদে দলীল পাওয়া যায়। তারপরও কেন যেন বিরোধিতা!!! কারা এর মূল বিরোধী?
তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখলাম শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মই নয় বরং ইহুদী, খ্রিষ্টান, হিন্দু সম্প্রদায়ের বই গুলোতেও বাল্যবিবাহের ব্যাপক দলীল রয়েছে।
catholic Encyclopedia তে আছে, “সাধারণ আইনে, যে বয়সে ছোটোরা বিবাহের উপযুক্ত হয় যা সম্মতির বয়স হিসেবে পরিচিত, তা নির্ধারিত হয় ছেলেদের জন্য ১৪ বছর এবং মেয়েদের জন্য ১২ বছর। সাত বছরের কম বয়সে উভয়ের বিবাহ বাতিল ছিল, কিন্তু সাত এবং সম্মতির বয়সের (ছেলেদের জন্য ১৪ এবং মেয়েদের জন্য ১২ বছর) মাঝামাঝি সময়ে তারা একটি অসম্পূর্ণ বিবাহের চুক্তি করতে পারে যা বাতিলযোগ্য হলেও একান্তভাবে বাতিল নাও হতে পারে। (http://www.newadvent.org/cathen/09691b.htm)
পূর্ণবয়স্ক পুরুষ এবং একটি অল্প বয়সী বালিকার মধ্যে এই ধরনের বাগ্দানের একটি উদাহরণ সেন্ট আউগুস্টাইনের (৩৫৪-৪৩৯ খ্রিঃ) বাগ্দান। ৩১ বছর বয়সে আউগুস্টাইন একটি দশ বছরের মেয়ের সঙ্গে বাগ্দান করেছিলো।
শুধু তাই নয় খৃষ্টধর্মানুসারী রাজা বাদশারাও বাল্য বিবাহ করেছিলো,
দ্বিতীয় কিং রিচার্ড ত্রিশ বছর বয়সে একজন ফরাসি রাজকুমারীকে বিবাহ করেছিলো। তাঁর নাম ইসাবেলা, সেসময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র সাত বছর। http://en.wikipedia.org/wiki/Isabella_of_Valois
প্রথম কিং আন্ড্রোনিকোস কোমনেনোস, বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের খ্রিস্টান নেতা, ৬৪ বছর বয়সে ফ্রান্সের বারো বছরের আগ্নেসকে বিয়ে করেছিলো
নরওয়ের ষষ্ঠ রাজা হাকোন দশ বছরের রাণী মার্গারেটকে বিবাহ করেছিলো।
দ্বিতীয় রোমানোস ইতালির রাজকন্যা বার্থাকে (নতুন নাম ইউডোকিয়া) বিবাহ করেছিলো, সেসময় রাজকন্যার বয়স ছিল মাত্র চার বছর।
মেরি স্টেওর্ট অষ্টম হেনরিকে বিবাহ করেছিলো যখন তার বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর।
দেখুন হিন্দু ধর্মে কি আছে, The Encyclopedia of Religion and Ethics (ধর্ম ও নৈতিকতার এনসাইক্লোপিডিয়া)-তে উল্লেখ আছে :
“কন্যাকে বিবাহ ছাড়াই বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছতে দিলে পিতা পাপী হয় এবং মেয়েটি নিজেকে একজন শুদ্রের (নিম্ন উপজাতি) স্তরে নিপতিত করে। মনু-স্মৃতি স্বামী এবং স্ত্রীর বয়স স্থির করে যথাক্রমে ৩০ এবং ১২ অথবা ২৪ এবং ৮ বছর; বৃহস্পতির পরের কার্য এবং মহাভারতের নীতিমূলক অংশ এই ক্ষেত্রগুলিতে স্ত্রীর বয়স স্থির করে যথাক্রমে ১০ এবং ৭। পরের অংশে উল্লেখ আছে : নিম্নসীমা ৪ থেকে ৬ বছর এবং উর্ধ্বসীমা ৮ বছর। এই দিনগুলি নিছক তাত্ত্বিক ছিল না, এর পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে। (Encyclopedia of Religion and Ethics, p.450)
দেখা যায়, অন্য ধর্মেও বাল্য বিবাহের বিষয়ে অনেক প্রমাণ রয়েছে। তাহলে বাল্য বিবাহের বিরোধীতা করে কারা?
উত্তর সহজ। যারা কোন ধর্মে বিশ্বাসী না অর্থাৎ যারা নাস্তিক তারাই বাল্য বিবাহ নিয়ে আপত্তি তুলে থাকে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন