ওহাবীরা বলে, ঈদে মীলাদে হাবীবী পালন করা খ্রীষ্টানদের কালচার।”
কিন্তু জবাবে আমরা যদি বলি যে, ওহাবীরা যদি বলতো বিয়া-শাদী করা, সন্তানের নাম রাখা, দাফন করা এইগুলো খ্রীষ্টানদের কালচার তাহা হলেও ভুল হতো না। কিন্তু শুধু ভুল নয় মহাভুল তখনই যখন ঐগুলো খ্রীষ্টানরা করে বলে তথাকথিত ওহাবীরা তা মুসলমানদের জন্য বিদয়াত বলে ঘোষণা করে।
আশঙ্কা করছি যে, কবে যেন ওহাবীরা ভেবে বসে খ্রীষ্টানরাও খাবার খায়, খৃষ্টানরা যা খায় সেটা শুকরও খায় সুতরাং খাওয়া দাওয়া করা খ্রীষ্টানদের কালচারই নয় বরং শুকরের কালচারও পালন করা হয়।
আরও আশঙ্কা করছি যে, না জানি ওহাবীরা কোনদিন আরেক ফতোয়া দিয়া বসে , খাওয়া-দাওয়া করা বিয়ে-শাদী করা, পোশাক পড়া, সন্তানের নাম রাখা, দাফন করা এইসবই খ্রীষ্টানী কালচার কাজেই এসবই বাদ দিতে হবে।
মূলতঃ এর সমাধান ওহাবীরা বার বার আওড়াইলেও তাদের বুকের মধ্যে সেই ইইলমের নূর জেগে উঠে নাই। কথায় কথায় অনেকবারই তারা বিভিন্ন তর্জ-তরীক্বার কথা বলে। এখানে শুধু তর্জ দেখলে হবে না তরীক্বার প্রতিও খেয়াল রাখতে হইবে। সেইটাই হলো আসল কথা।
খ্রীষ্টানরাও খায় কিন্তু কি তরীক্বায় খায়? মুসলমানদের মত বিসমিল্লাহ বলে হাত ধুয়ে, বাসন চাটে সুন্নত আদায় করে খায়? মুসলমানদের একান্ত বাস পর্দার সাথে হয়, ফরয গোসল করতে হয়; খ্রীষ্টানরা কি তাহা করে?
খ্রীষ্টানদের দাফন কি মুসলমানদের মত? যদিও হিন্দুদের মত খ্রীষ্টানদের চিতা পোড়ানো হয়না মাটির নীচেই শোয়ানো হয়.............।
খ্রীষ্টানরা জন্মদিনে কেক কাটে, মোমবাতি ধরায়, নাচ-গান করে, হৈ-হুল্লোর করে কিন্তু মুসলমানরা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দিনে কি তাই করে?
হ্যাঁ, কিছু বিদয়াতি আছে, যারা গান-বাজনা করে, যুবতীদের মিছিল বাহির করে সেসব নাজায়িয কাজের বিরুদ্ধে বললে তা শোভা পায়। কিন্তু মাথাব্যাথা বলে মাথাই কেটে ফেলতে চায় তথাকথিত ওহাবীরা। মসজিদে জুতা চুরি হয় বলে, মসজিদই উচ্ছেদ করার মত কথা বলতে চায় তারা।
মূলতঃ তথাকথিত ওহাবীরা কাঙ্খিত জ্ঞান গরীমায় মোটেও অভিজ্ঞ হয়েছে মোটেও বলা যায়না।
কারণ, এযাবত বিস্তর দলীল-আদিল্লা দেয়া হয়েছে যে, ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা মূলতঃ মহান আল্লাহ্ পাক স্বয়ং রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের খাছ সুন্নত।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন