হাদীস শরীফে আছে আখেরী যামানায় পরবর্তী প্রজন্ম পূর্ববর্তীদের সমালোচনা করবে। বর্তমানে অামরা সেটাই দেখতে পাচ্ছি। বর্তমান কওমী ওহাবীরা নিজেদের নফসানিয়তের কারনে নিজেদের মুরুব্বীদের অবজ্ঞা করা শৃুরু করেছে, এমনকি আকার ইঙ্গিতে মুরুব্বীদের জ্ঞান তাদের চাইতে কম এটাও বুঝাতে চায়। শুধু তাই নয় নিজেরে বানিজ্যের জন্য এসব মুরুব্বীদের নাম বেঁচে খেতেও আবার দ্বিধা করে না। শামসুল হক ফরীদপুরী দেওবন্দীদের অন্যতম মুরুব্বী। বাংলাদেশে কওমী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতাও বটে। শামসুল হক ফরীদপুরী হচ্ছে দেওবন্দীদের হেকীমুল উম্মত আশরাফ অালী থানবীর খলীফা। ফরীদপুরী একটা কিতাব রচনা করে তার নাম হচ্ছে “তাছাউফ তত্ত্ব” । এই কিতাবে ফরীদপুরী মীলাদ শরীফ ক্বিয়াম শরীফ বিষয়ে বেশ ভালো ব্যাখ্যা দিয়েছে। অথচ ফরীদপুরীর প্রতিষ্ঠিত কওমী মাদ্রাসায় পড়ে কওমীরা মীলাদ শরীফকে বিদয়াত , শিরক, হারাম বলে গলাবাজি করে। এই হলো কওমীদের মুরুব্বীর প্রতি আদবের নমুনা। নিম্নে যে কিতাবের কভার ফটো দেখতে পারছেন সেটা হচ্ছে শামসুল হক ফরীদপুরী রচিত “তাছাউফ তত্ত্ব”। প্রকাশনা-বিশ্বকল্যান পাবলিকেশন্স।
১১/১ ইসলামী টাওয়ার, বাংলাবাজার, ঢাকা।
আসুন দেখা যাক ফরিদপুরী উক্ত কিতাবে কি লিখেছে।
শামসুল হক ফরীদপুরী রচিত তাছাউফ তত্ত্ব |
উক্ত কিতাবের ৩৯ পৃষ্ঠায় পবিত্র মীলাদ শরীফ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছে..........
৪০ পৃষ্ঠায় উত্তর দেখা যাচ্ছে। ৪র্থ লাইনে ফরীদপুরী একটি বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সে লিখেছে সুন্নত ও শরীয়তের মূলে সত্য ও হাক্বীকত আছে। অবশ্য সকলের হয়তো এ সত্যটা এবং হাক্বীকতটা জানা নাও থাকতে পারে। অর্থাৎ মীলাদ শরীফের মূলে রয়েছে সুন্নত। যা অজ্ঞতার কারনে বর্তমান কওমী খারেজীরা সেটা বুঝতে পারে না। এর পরে মীলাদ শব্দের ব্যাখা করা হয়েছে। এরপর যে বিষয়টা বলা হয়েছে, সেটা হচ্ছে ঈমানে সংজ্ঞা। অর্থাৎ মীলাদ শরীফ যারা পাঠ করেন তারা নবীজীর মুহব্বতে করেন। আর নবীজীর মুহব্বতই হচ্ছে ঈমানের মূল।
এরপর যে বিষয়টা বলা হয়েছে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক আলোচনা , ছানা সিফত করাই, ছলাত সালাম পাঠ করাই মীলাদ শরীফ। এবং খাঁটি ইলিম এর অধিকারী, জ্ঞানী আল্লাহ ওয়ালা ব্যাক্তিরাই মীলাদ শরীফ পাঠ করা।
এর পর গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টা আলোচনা করা হয়েছে সেটা হচ্ছে, মীলাদ শরীফের পাঠের নামে কেউ যদি বেশরা কাজ করে,গান বাজনা , বের্পদা হয় তবে সেটা কখনো উচিত নয়। যারা এসব করে তাদের অবশ্যই গোমরাহীর মধ্যে রয়েছে।
এর পর কিয়াম শরীফের ফয়সালা উল্লেখ করা হয়েছে, ৪১ পৃষ্ঠায়,
মুহব্বত বাড়ানোর উদ্দেশ্যে হযরত রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর তারীফে কাসীদা পড়া হয় তাহা দ্বারা মুহব্বত বাড়ে এবং লোকে মুহব্বতের জোশে খাড়া হইয়া যায় । মুহব্বতের জোশে খাড়া হইলে তাকে বিদয়াত বলা যায় না। তাহা ছাড়া হযরত ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সালাম করার সময় বসিয়া বসিয়া সালাম করা শরীফ তবিয়তের লোকের কাছে বড়ই বেয়াদবী লাগে।”
অর্থাৎ যারা মীলাদ শরীফের কিয়াম শরীফ করার বিরোধীতা করে তারা বেয়াদব।
৪২ পৃষ্ঠায় যে বিষয় বলা হয়েছে, মীলাদ মাহফিলে কেউ মুহব্বতে দাড়িয়ে গেলে সকলের দাড়িয়ে যাওয়া উচিত বা কিয়াম শরীফ করা উচিত। এইটাই উত্তম আদব, এর বিপরীত করা অর্থাৎ কিয়াম না করো বেয়াদবি। এরপর যেটা বলেছে, এই রকম মীলাদ শরীফের মজলিসের সংখ্যা ও পারিমান বাড়াতে হবে। সেটা হবে ইহকাল ও পরকালের জন্য মঙ্গলময়। আর পরিশেষ মীলাদ শরীফ কিয়াম শরীফ বিরোধীতাকারীদের সর্তক করে বলেছে, বেয়াদবী করে ইহকাল ও পরকালের ক্ষতি ডেকে না আনার জন্য।
সূতরাং ওহাবী দেওবন্দীদের উচিত তাদের মুরুব্বীদের কিতাব থেকে শিক্ষা গ্রহন করা। আক্বীদা শুদ্ধ করে নেয়া। নইলে নিজের মুরুব্বীদের ফতোয়া মোতাবেক বেয়াদব হয়ে ইহকাল পরকাল ধ্বংস হবে।
মারহাবা সুন্দর তথ্য।
উত্তরমুছুন