রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

সর্বপ্রথম পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী পালন নিয়ে ওহাবীদের হাস্যকর আপত্তি বিশ্লেষন



ওহাবীরা বলে সর্বপ্রথম নাকি আরবলের বাদশাহ হযরত মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মীলাদুন্নবী চালু করেছেন। কতটা হাস্যকর তাদের চিন্তা ভাবনা, ব্রেইন ভাবলেই হাসি আসে। 
বিষয়টা একটু ভেঙ্গেই বলি। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম রাষ্ট্রীয়ভাবে ১৯৭৪ সালে মীলাদুন্নবী পালন ও ছুটি ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । এখন ১০০ বছর পর কেউ যদি বলে বঙ্গবন্ধুই ঈদে মীলাদুন্নবী প্রবক্তা, তাহলে বিষয়টা কেমন হাস্যকর হবে?
মূল বিষয় হচ্ছে যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশে মীলাদুন্নবী পালন চলে আসছিলো, বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় ভাবে পালনের একটা বন্দোবস্ত করে। তারমানেতো বঙ্গবন্ধুতো এটাই সূচনা করেন নাই। বরং সূচিত হওয়া একটা অনুষ্ঠানকে সকলের পালনের জন্য ব্যবস্থা করেছেন মাত্র। 
তদ্রুপ আরবলের বাদশাহ হযরত মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও রাষ্ট্রীয় ভাবে পালনের একটা ব্যবস্থা করেন। সকল মানুষ যাতে জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করতে পারে তার ব্যবস্থা করেন। তার মানে এই নয় যে তিনি মীলাদুন্নবী মাহফিল প্রথম আবিষ্কার করছেন। নাউযুবিল্লাহ! 
বরং প্রথম থেকে অর্থাৎ সাহাবায়ে কিরাম উনাদের সময় থেকে ঘরে ঘরে, বাড়িতে বাড়িতে চলে আসা মাহফিলকে বাদশাহ হযরত মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জাঁকজমকপূর্ণ ব্যবস্থা করে দেন।
এ বিষয়ে কিতাবে বর্ণিত আছে, সর্বজনমান্য ইতিহাসবিদ আল্লামা ক্বাযী হযরত ইবনে খাল্লিকান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিখ্যাত ‘তারীখে ইবনে খাল্লিক্বানকিতাবে লিখেন,
الحافظ ابو الخطاب كان مواعيان العلماء ومشاهر الفضلاء قدم المغرب فدخل الشام والعراق احتاز باربل سنة اربع ست مائة فوجد ملكها المظفر الدين زين الدين يعتنى بمولد النبى صلى الله عليه وسلم فعمل له كتاب التنوير.
অর্থ: “হাফিযে হাদীছ আল্লামা হযরত আবুল খত্তাব ইবনে দাহইয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি শীর্ষস্থানীয় উলামা ও ফুদালায়ে কিরামগণ উনাদের অন্যতম। তিনি ৬০৪ হিজরী সনে যখন মাগরীব থেকে সফর করে শাম দেশের “আরবাল” শহরে পৌঁছেন, তখন তথাকার দ্বীনদার পরহেযগার বাদশাহ হযরত মালিক মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ও জাঁকজমকের সাথে “পবিত্র মীলাদ শরীফ ” মাহফিলের ব্যবস্থা করতে দেখে তিনি “পবিত্র মীলাদ শরীফ ” এর উপর আত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান্ নাযীর”নামক একখানা মহামূল্যবান কিতাব রচনা করেন।”

সূতরাং মূর্খতা সুলভ চিন্তা পরিহার করে প্র্যাকটিক্যাল চিন্তা করুন।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন