শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৬

ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নতুন কোন আমল নয়


হে মুসলমান! বিদয়াতি ওহাবীদের ফিতনায় বিভ্রান্ত হবেন না। ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নতুন কোন আমল নয়। জেনে রাখুন স্বয়ং আখেরী রসূল হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই উনার বিলাদত শরীফ আলোচনা করেছেন।
সহীহ হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে,
عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الأَسْقَعِ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى مِنْ وَلَدِ إِبْرَاهِيمَ إِسْمَاعِيلَ ، وَاصْطَفَى مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ بَنِي كِنَانَةَ ، وَاصْطَفَى مِنْ بَنِي كِنَانَةَ قُرَيْشًا ، وَاصْطَفَى مِنْ قُرَيْشٍ بَنِي هَاشِمٍ ، وَاصْطَفَانِي مِنْ بَنِي هَاشِمٍ
অর্থ: হযরত ইবনে আসাকাহ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম উনার সন্তানদের মধ্যে হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত করেছেন। আর হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনার বংশের সন্তানদের মধ্যে হযরত কিনানার সন্তানদের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করেছেন। আর হযরত কিনানা আলাইহিস সালাম উনার সন্তানদের মধ্যে কুরাইশদের সর্বোচ্চ মান সম্মান হাদীয়া করেছেন। আর কুরাইশদের মধ্যে বণি হাশীমকে সর্বোচ্চ মান মর্যাদা হাদীয়া করেছেন। আর বণি হাশিমের মধ্যে আমাকে সর্বোত্তম মর্যাদা ও সম্মান হাদীয়া করা হয়েছে। (দলীল: তিরমিযী শরীফ :হাদীস ৩৩০৫, ইবনে আবী শায়বাহ :হাদীস ৩২২৬৪, শিফা লি কাদ্বী আয়ায- সপ্তম পরিচ্ছদ)
عن ابن عباس قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : خير العرب مضر ، وخير مضر بنو عبد مناف ، [ وخير بني مناف ] بنو هاشم ، وخير بني هاشم بنو عبد المطلب ، والله ما افترق فرقتان منذ خلق الله آدم إلا كنت في خيرهما
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, আরবীয়দের মধ্যে উত্তম হচ্ছে মুদ্বার গোত্র। আর মুদ্বার গোত্রের মধ্যে উত্তম হচ্ছে আব্দে মানাফ বংশ। আবদে মানাফ বংশের মধ্যে উত্তম হচ্ছে বনি হাশিম। আর বনি হাশিম বংশের মধ্যে উত্তম হচ্ছে হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনার পরিবার। মহান আল্লাহ পাক যখন থেকে হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করে দু’শ্রেণীতে বিভক্ত করেছেন, তখন থেকেই আমি উত্তমদের মধ্যে ছিলাম। (আল হাউই লিল ফাতাওয়া লি জালালুদ্দীন সূয়ুতী ২/২৫৪ পৃষ্ঠা, তাবাকাতে কুবরা ইবনে সা’দ ১খন্ড ২০, দালায়েলুন নবুওয়াত বায়হাক্বী ১ম খন্ড ১৬৮ পৃষ্ঠা, আবু নুয়াইম)

عن العباس رضى الله تعالى عنه انه جاء الى النبى صلى الله عليه وسلم على المنبر فقال من انا فقالوا انت رسول الله فقال انا محمد بن عبد الله بن عبد المطلب عليهم السلام ان الله خلق الخلق فجعلنى فى خيرهم ثم جعلهم فرقتين فجعلنى فى خيرهم فرقة ثم جعلهم قبائل فجعلنى فى خيرهم قبيلة ثم جعلهم بيوتا فجعلنى فى خيرهم بينا فانا خيرهم نفسا وخيرهم بيتا.
অর্থঃ- হযরত আব্বাস বিন আব্দুল মুত্তালিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা হতে বর্ণিত, একদা তিনি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফ-এ আসলেন, তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে কিছু শ্রবণ করে মিম্বর শরীফের উপর দন্ডায়মান হলেন। অতঃপর (সকলকে লক্ষ্য করে) জিজ্ঞাসা করলেন, আমি কে? হযরত ছাহাবা-ই কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা জবাব দিলেন, (আপনি) মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল। তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (বিনয় প্রকাশার্থে) বললেন, আমি মুহম্মদ বিন আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিমুস্ সালাম। (আমার অজুদ মুবারক উনাদের মাধ্যমে যমীনে এসেছেন) নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম মখলুক্বাত সৃষ্টি করে আমাকে সর্বোত্তম সৃষ্টির মধ্যে রাখলেন। অতঃপর সেই উত্তম সৃষ্টি (দল) কে দু’ভাগ করে আমাকে তার মধ্যে উত্তম দলে আমাকে রাখলেন। সেই উত্তম দলকে আবার কতগুলি গোত্রে বিভক্ত করে তমধ্যে আমাকে সর্বোত্তম সম্প্রদায়ের মধ্যে রাখলেন। সেই উত্তম সম্প্রাদয়কে আবার কতগুলি ঘরে বিভক্ত করে আমাকে সর্বোক্তম গৃহে অবস্থান দান করলেন। আর আমিই সেই সর্বোত্তম গৃহের সর্বোত্তম ব্যক্তি। (তিরমীযী শরীফ: হাদীস শরীফ ৩৫৩২, মুসনাদে আহমদ: হাদীস ১৭৯১ মিশকাত, মিরকাত, ১১/৫৭, আহমদ, কানযুল উম্মাল/২১৯৪৭)

সহীহ হাদীস শরীফ থাকার পরও যারা বিরোধীতা করে, সুন্নতকে বিদয়াত বলে তাদের ঈমান অছে কিনা আপনাদের কাছে প্রশ্ন রইলো.......!

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন