হিন্দুরা নিজেদের দেবতা জবাই হওয়ার প্রলাপ বকে মুসলমানদের গরুর জবাই করা এবং গোশত খাওয়া নিষিদ্ধ করলো, অথচ সেই ইন্ডিয়াই গরুর গোশত রপ্তানীকারক দেশ হিসেবে বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দখল করে আছে। এমন পরস্পর বিরোধী কাজের রহস্য কি ?
<b>ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে গরু জবাই, গরুর গোশত বিক্রি ও খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি আজ (মঙ্গলবার) এ সংক্রান্ত বিলে সই করেছে।<b/>
এ আইন অমান্যকারী ব্যক্তি উচ্চমাত্রায় জরিমানা দেয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের মুখোমুখি হবে।
১২০ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত ভারতের প্রায় ৮০% অধিবাসী হিন্দু এবং গাভীকে তারা ‘দেবতা’ হিসেবে সম্মান করে। এ কারণে ভারতের অনেক রাজ্যে আইন করে গরু জবাই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেক্যুলার ভারতের বাকি রাজ্যগুলোতে গরু জবাইয়ের ওপর আইনি নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও মুসলমানদের গরু জবাইয়ের ওপর কড়াকড়ি করা হয়। তবে ভারতে বিফ বা ‘লাল মাংস’ হিসেবে যা পাওয়া যায় তা মূলত মহীষের গোশত।
১৯৯৫ সালে মহারাষ্ট্র রাজ্যের বিজেপি-শিবসেনা সরকার প্রথম গরু জবাই নিষিদ্ধ করে আইন পাস করেছিল। মহারাষ্ট্র অ্যানিম্যাল প্রিজারভেশন (সংশোধন) বিলটি ১৯৯৬ সালের জানুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু গত ১৯ বছরে ভারতের কোনো প্রেসিডেন্ট বিলটিতে সই না করায় তা আইনে পরিণত করা সম্ভব হয়নি।
গত বছর মহারাষ্ট্রে আবার ক্ষমতায় ফেরে উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি। এরপর দলের নেতারা আবার বিলটিকে আইনে পরিণত করার জন্য চেষ্টা চালাতে শুরু করে। গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্র বিধানসভার একদল বিজেপি এমপি প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিলটিতে সই করার অনুরোধ জানান।
আজ বিলটিতে সই করার পর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফ্যাডনাভিস এক টুইটার বার্তায় প্রেসিডেন্ট মুখার্জিকে ধন্যবাদ জানায়।
সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রে গরু জবাই নিষিদ্ধ করে যে আইন হলো তা ভারতের ইতিহাসে এ সংক্রান্ত সবচেয়ে কঠোর আইন। কারণ, এতে গাভীর পাশাপাশি ষাঁড় ও বলদ জবাইকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি অন্য কোথাও জবাই হয়েছে এমন গরুর গোশত সংরক্ষণও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অথচ এবার দেখুন আসল চিত্র। এই ভারতই হচ্ছে বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় গরুর গোশত রপ্তানিকারক দেশ। <strong>নিজেদের গোদেবতার গোশত বেচে তারা বিশ্বের মধ্যে গরুর গোশত রপ্তানিতের দ্বিতীয় স্থান দখল করে আছে।</strong>
<a href="http://noorejulfikar.files.wordpress.com/2015/03/wpid-2015-03-12-14_27_16.jpg"><img title="2015-03-12--14_27_16.jpg" class="alignnone size-full" alt="image" src="http://noorejulfikar.files.wordpress.com/2015/03/wpid-2015-03-12-14_27_16.jpg"/></a>
সূত্র:
(১) <a href="http://en.m.wikipedia.org/wiki/Beef">[উইকিপিডিয়া তথ্য]</a>
(২) <a href="http://www.indexmundi.com/img/g.gif">[রপ্তানিকারক দেশের তালিকা]</a>
(১) <a href="http://en.m.wikipedia.org/wiki/Beef">[উইকিপিডিয়া তথ্য]</a>
(২) <a href="http://www.indexmundi.com/img/g.gif">[রপ্তানিকারক দেশের তালিকা]</a>
<a href="http://noorejulfikar.files.wordpress.com/2015/03/wpid-2015-03-12-14_25_27.jpg"><img title="2015-03-12--14_25_27.jpg" class="alignnone size-full" alt="image" src="http://noorejulfikar.files.wordpress.com/2015/03/wpid-2015-03-12-14_25_27.jpg"/></a>
এখন কথা হচ্ছে,
মালাউনরা নিজেরা গোমাতার গোশত বেঁচে তালিকায় বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে থাকতে পারে, আর মুসলমানরা সেই গোশত খেলে হিন্দুদের চুলকানি ওঠে ? এইটা কোন আইন ?
এটা স্পষ্ট ইসলাম এবং মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ ব্যাতীত আর কিছুই নয়।
মালাউনরা নিজেরা গোমাতার গোশত বেঁচে তালিকায় বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে থাকতে পারে, আর মুসলমানরা সেই গোশত খেলে হিন্দুদের চুলকানি ওঠে ? এইটা কোন আইন ?
এটা স্পষ্ট ইসলাম এবং মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ ব্যাতীত আর কিছুই নয়।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন