মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০১৫

পৃথিবীতে ইসলাম বিদ্বেষী ভারাটে নাস্তিক যেভাবে তৈরী করা হয়


<u><strong>ওরা নাস্তিক নাকি ইসলাম বিদ্বেষী ?</strong></u>

<strong>( লেখাটা ইসলাম বিদ্বেষের স্বরূপ সন্ধানে একটা বিশাল ডকুমেন্টারি )</strong>

নাস্তিকের পরিচয় নিয়ে আমি ইতিপূর্বের পোষ্ট সমূহে আলোচনা করেছি। নাস্তিক ঐ ব্যক্তি যার সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস নেই এবং ধর্মের কোন রীতিনীতির উপর বিশ্বাস এবং আস্থা নেই। এরা প্রকৃতিবাদী, জড়বাদী এক কথায় ডারউইনের মতবাদে বিশ্বাসী। এধরনের নাস্তিক সব সময়ই ছিলো। এরা এদের ধ্যান ধারনা নিয়ে থেকেছে, আস্তিকদের সাথে তর্কও করেছে, নিজস্ব যুক্তি দিয়ে বইও লিখেছে। কিন্তু এদের মধ্যে ইসলাম , নবী রসূল, উম্মুল মু'মিনিন উনাদের বিরুদ্ধে কোন বাজে কথা ছিলো না। কারন এরা জানে প্রত্যেকের হৃদয়ে স্পর্শকাতর কিছু বিষয় আছে সেগুলো নিয়ে ঘাটাঘাটি কখনোই ভালো নয়।
কিন্তু আমরা বর্তমানে দেখতে পাই নাস্তিক নামধারী কিছু লোক দেশে এবং বিদেশে ঢালাও ভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে, নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধে এবং উনার সম্মানিত পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে চরম অশ্লীল, নোংরা এবং উস্কানিমূলক কথা প্রচার করছে। এ জন্য রচনা করছে বিভিন্ন বই, তৈরী করছে ওয়েবসাইট, ব্যবহার করছে সামাজিক বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম এবং ব্লগ।

<strong>এখন স্বাভাবতই প্রশ্ন আসে এরা কারা ?</strong>
<strong>এরা কি নাস্তিক নাকি অন্য কিছু ?</strong>

<strong><u>আসুন আমরা সে বিষয়ের উপর একটু গবেষনা এবং অনুসন্ধান চালিয়ে দেখি :</u></strong><u><strong> </strong></u>

<blockquote>৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করা হয়েছে ইসলাম বিদ্বেষী কর্মকান্ডের জন্যে এবং

</blockquote>

টাকার বিনিময়ে নাস্তিকতা নামে ইসলাম বিদ্বেষী ভারাটে সন্ত্রাসী তৈরী করা হয়েছে।

<blockquote>আপনি হয়তো প্রথমে শুনলে মনে হবে কে কেন কি কারনে ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী লেখালেখির জন্যে টাকা পয়সা দিবে। তাই এটা আপনার জন্যে। Center For American Progress সংগঠনটি গত ছয় মাস ধরে আমেরিকায় ইনভেস্টিগেশন চালায়। তারা Fear, Inc. The Roots of the Islamophobia Network in America শিরোনামে ১৩০ পৃষ্ঠাব্যাপী ওদের রিপোর্ট প্রকাশ করে। ওদের রিপোর্ট মতে আমেরিকায় অনেকগুলো সংগঠন মিলে গত দশ বছরে প্রায় ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যায় করে মুসলিম ও ইসলাম বিদ্বেষী কর্মকান্ডের জন্যে।

</blockquote>

<u><strong>সংগঠন গুলো হলো</strong></u> :

<blockquote>* Donors Capital Fund
* Richard Mellon Scaife foundations
* Lynde and Harry Bradley Foundation
* Newton D. &amp; Rochelle F. Becker foundations and charitable trust
* Russell Berrie Foundation
* Anchorage Charitable Fund and William Rosenwald Family Fund
* Fairbrook Foundation

</blockquote>

<u><strong>এই টাকা গুলো ব্যয় কারা হয় ইসলাম বিদ্বেষী বই , আর্টিকল, ম্যাগজিন, ওয়েব সাইট ও ব্লগ লিখালেখির জন্যে। এদের শীর্ষে আছেন এটলাস সার্গ ব্লগের লেখিকা পাম গেলার, জিহাদ ওয়াচ সাইটের রবার্ট স্পেন্চার, মিডল ইস্ট ফোরামের ডেনিয়েল পাইপ, টেরোরিসম ইনভেস্টিগেট সাইটের স্টিভ এরসন সহ আরো সো কলড এক্সপার্ট যাদের ফক্স নিউজে সবসময় দেখা যায়।এদের ফান্ডিং এবং প্রোপাগান্ডা এতই বিশাল যে এদের তত্বাবোধানে ইন্টারনেটে হাজার হাজার ওয়েবসাইট, ব্লগ, আর্টিকল ও বই লিখে ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী প্রচারোনা চালায়। এরা রাইট উইং কনজারভেটিভ ইহুদী জায়োনিস্ট এবং খ্রিষ্টান এভেন্জালিস্ট। এজন্যেই আপনি দেখবেন যে , ইন্টারনেটে ইসলাম/মুসলিম বিরুধী ম্যাটেরিয়াল অনেক বিশাল।</strong></u>
<u><strong>এদের সাথে বিভিন্ন মিটিংয়ে ও কর্মকান্ডে যোগ দেয় সো কলড মুসলিম নামধারী লোকজন ডলারের লোভে। বলতে থাকেন উনারা আগে মুসলিম ছিলেন বা মুসলিম পরিবারে জন্ম নিয়েছেন এবং দেখেছেন ইসলাম কত্তো খারাপ!!! নাউযুবিল্লাহ (১৩০ পৃষ্ঠার রিপোর্ট)</strong></u>

<em><strong>Center For American Progress</strong></em> এর রিপোর্ট অনুযায়ী,ইসলামের বিরুদ্ধে <em><strong>conspiracy</strong></em> ছাড়াও, একটি শক্ত নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে যারা পুরো আমেরিকার মানুষের কাছে পৌছানোর ক্ষমতা রাখে,কিছু influential মানুষের মাধ্যমে,মিডিয়া পার্টনার এবং রুট লেভেলের কিছু সংস্থার মাধ্যমে।তাদের কাজ ছিল ভুল তথ্য প্রদান করা,মিস গাইড করা মুসলিমদের এবং Give a rise to Islamophobia।এই ভুল তথ্য প্রদান করা,মিস গাইড শুরু হয় ৫জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং তাদের সংস্থার মাধ্যমে।

গত ১০বছরের ও বেশি সময় ধরে ৪০মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে ৭টি সংস্থা এই কাজে।
<u><strong>আর এই ভুল তথ্য প্রদান করা,মিস গাইড করার Experts রা হলো :–</strong></u>

<blockquote><em>• Frank Gaffney at the Center for Security Policy</em>
<em>• David Yerushalmi at the Society of Americans for National Existence</em>
<em>• Daniel Pipes at the Middle East Forum</em>
<em>• Robert Spencer of Jihad Watch and Stop Islamization of America</em>
<em>• Steven Emerson of the Investigative Project on Terrorism</em>

</blockquote>

<u><strong>আসুন দেখি ইউ এস এর কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যারা কিনা এই Islamophobia এর পক্ষে কাজ করছে:–</strong></u>

<strong>The political players</strong>–

<blockquote><em>Rep. Peter King</em>
<em>Rep. Sue Myrick</em>
<em>Rep. Allen West</em>
<em>Rep. Renee Elmers</em>
<em>Rep. Paul Broun</em>
<em>Rep. Michele Bachmann</em>

</blockquote>

<u><strong>কিছু মিডিয়া যেগুলো ইসলাম নিয়ে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে এবং মানুষকে Mislead করছে–</strong></u>

<blockquote><em>- The media</em>
<em>- Fox News Channel</em>
<em>- David Horowitz</em>
<em>- Freedom Center</em>
<em>- Pamela Geller and Atlas Shrugs</em>
<em>- Washington Times</em>
<em>- The National Review</em>
<em>- Christian Broadcast Network</em>
<em>- Clarion Fund</em>
<em>- Rush Limbaugh</em>
<em>- Sean Hannity</em>
<em>- Mike Savage</em>
<em>- Glenn Beck</em>
<em>- Mark Levin</em>
<em>- Bryan Fischer</em>
<em>- The grassroots</em>
<em>organizations</em>

</blockquote>

<u><strong>যেগুলো Islamophobia এর পক্ষে কাজ করছে–</strong></u>

<blockquote><em>* Brigitte Gabriel’s</em>
<em>* ACT! For America</em>
<em>* Pamela Geller’s</em>
<em>* Stop Islamization of America</em>
<em>* Eagle Forum</em>
<em>* Tennessee Freedom Coalition</em>
<em>* State Tea Party movements</em>
<em>* American Family Association</em>

</blockquote>

<u><strong>কিছু রিলিজিয়াস গ্রুপ -</strong></u>

<blockquote><em>- The religious right</em>
<em>- Pat Robertson</em>
<em>- John Hagee</em>
<em>- Ralph Reed</em>
<em>- Franklin Graham</em>

</blockquote>

<u>এই চারটিকে একসাথে রিপোর্টিতে The Islamophobia echo chamber বলে অভিহিত করা হয়েছে।এই Islamophobia নেটওয়ার্ক ইসলামি শরিয়াকে ভুল ভাবে define করে আমেরিকানদের কছে Prsesent করছে।</u>

রিপোর্টিতে বলা হয়েছে-

<blockquote><strong><em>The latest calculated smear against Islam and Muslims in America by the small but vocal members of the Islamophobia network is the deliberate misdefinition of Sharia, or Islamic religious law. This network mischaracterizes Sharia as a totalitarian ideology of hate and triumphalism committed to replacing the U.S. Constitution with a radical Islamist Caliphate that will subordinate and punish all non-Muslim adherents. ”</em></strong>

</blockquote>

On July 22, in Oslo government building এ বোমা বিস্ফোরনের পর বিভিন্ন pundits এবং mainstream media outlets যেমন-The New York Times, The Washington Post, and The Atlantic আল কায়েদা এবং জিহাদি গ্রুপের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে প্রচারনা চালাচ্ছিল। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে, ৩২ বছর বয়সী Norwegian named Anders Breivik,self-described Christian conservative, এটার এই বোমা বিস্ফোরনের দায় ভার স্বীকার করে।

Breivik তার manifesto তে রবার্ট স্পেন্চার, যিনি একজন anti-Muslim misinformation scholar(<strong>Fear, Inc.The Roots of the Islamophobia Network in America</strong> -রিপোর্ট এ যাকে ভুল তথ্য প্রদান কারী,মিস গাইড করার Experts হিসেবে বলা হয়েছে), এবং তার ব্লগ <strong>Jihad Watch</strong> এর কথা ১৬২ বার উল্লেখ করেছে।

Geller and Spencer,দুইজন anti-Muslim misinformation scholar,একসাথে <strong>“Stop Islamization of America”</strong>-এই গ্রুপটি প্রতিষ্ঠা করে, <u><em>a group whose actions and rhetoric the Anti-Defamation League concluded “promotes a conspiratorial anti-Muslim agenda under the guise of fighting radical Islam</em></u>,- Center For American Progress এর রিপোর্ট অনুযায়ী।

একজন Misinformation experts, Gaffney কাজ করে কিছু right-wing grassroots organizations এর সাথে,যেমন- <strong>ACT! for America and the Eagle Forum</strong>। তারা তাদের Anti Islamic Message গুলো ছড়ানোর জন্য কাজ করে আরোও কিছু religious right groups যেমন <strong><em>The Faith and Freedom Coalition and American Family Association</em></strong> এর সাথে।

<u><strong>Center For American Progress এর রিপোর্ট অনুযায়ী–</strong></u>

<blockquote><em>“Speaking at their conferences, writing on their websites, and appearing on their radio shows, these experts rail against Islam and cast suspicion on American Muslims. ”</em>

</blockquote>

উল্লখযোগ্য, আমেরিকাতে এই <strong><em>anti-Muslim, anti-Islam grassroots network </em></strong>সফল,কারন তারা বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে যেসব কিনা গত ১০বছরে রাজনৈতিক প্রচারনায় ব্যবহার করে সফলতা এসেছিল–রিপোর্টটি তে বলা হয়েছে। <u><strong>আরও বলা হয়েছে, Internet কে তারা একটি গুরুত্বপুর্ণ মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রচারনা চালানোর জন্য এবং কিছু Website এবং Blog এ ইসলামকে ভুল ভাবে Present করার জন্য এবং মুসলিমদের Misguide করার জন্য।</strong></u>

সুতরাং বুঝতেই পারছেন, হঠাৎ করে এত নাস্তিক এর আবির্ভাব বাংলাদেশে কিভাবে হল? কারন, সেই Islamophobia নেটওয়ার্ক তাদের নিজেদের সীমানা পেরিয়ে
হাজির হয়েছে আমাদের দেশে আর এইসব নাস্তিকদের ডলারে Pay করছে।
<strong><u>আর তৈরী করছে আমাদের দেশে ডক্টর জাফর ইকবাল, হুমায়ুন আজাদ, তসলিমা নাসরিন, অভিজিৎ রয়, আসিফ মাহিউদ্দিন, থাবা বাবা ওরফে রাজীব হায়দার নামক অনেক পেইড ইসলাম বিদ্বেষী লেখক, বিনিময়ে দিয়েছে অজস্র টাকা , আমেরিকা ইংল্যান্ডের মত দেশে নাগরিকত্ব , পরিচিতি সহ আরো অনেক কিছু....!</u></strong>

<blockquote><em><u>এখন প্রশ্ন আসে, নাস্তিকদের শুধু ইসলাম নিয়ে মাথা ব্যথা কেন?</u></em>
<em><u>আরও তো ধর্ম আছে, সেগুলার বিরুদ্ধে কিছু বলে না কেন ? </u></em>
<em><u>উত্তরটা সহজ, কারন অন্য ধর্মের লোক বলতে ইহুদী খ্রিষ্টান এবং মুশরিকরাই টাকা দিয়ে এসব ইসলাম বিদ্বেষী লেখক তৈরী করে ইসলামের বিরুদ্ধে লেখার জন্য অন্য কোন ধর্মের বিরুদ্ধে লেখার জন্য নয়।</u></em>

</blockquote>

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন