সোমবার, ২ মার্চ, ২০১৫

নাস্তিক ব্লগার অভিজিৎ রায়কে সরকারের বাড়াবাড়ি নিয়ে কিছু কথা


কুখ্যাত নাস্তিক অভিজিৎ রায় কে নিয়ে সরকারের বাড়াবাড়ির প্রসঙ্গে কিছু কথা।

ব্লগিং এবং ফেসবুকের সাথে জড়িত সবাই কমবেশি জানেন মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় কতটুকু ইসলাম বিদ্বেষী ছিলো। মুক্তমনা চর্চার ছলে সে তার প্রতিটি লেখায় মুসলমানদের ঈমানের কেন্দ্র বিন্দু হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম , সম্মানিত উম্মুল মু'মিনিন আলাইহাস সালাম, এবং দ্বীন ইসলামের অনেক বিষয়ে চরম অপপ্রচার এবং কটুক্তি করেছে। তার লেখার প্রতিটি লাইনে লাইনে ছিলো ইসলাম বিদ্বেষ, নবী বিদ্বেষ। কোন একটি ধর্মকে নিয়ে কটাক্ষ্য করা করা কখনোই মুক্তমনা চর্চা নয়। এটা প্রচ্ছন্ন বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ। অত্যন্ত পরিতাপ এবং আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে ইসলাম প্রধান দেশ বাংলাদেশ হওয়ার পরেও এই ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগার অভিজিৎ এর বিরুদ্ধে সরকারি ভাবে কোন প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ করা হয় নি।
অথচ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ফলে পৃথিবীর অনেক দেশে ভয়াবহ দাঙ্গা পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে যার উদাহরণ ইতিহাসে ভূরিভূরি পাওয়া যাবে।
ইসলাম বিদ্বেষী লেখার সময় প্রশাসনের নিরবতা পালন এবং কোন এক আততায়ীর হাতে এই নাস্তিক ব্লগারের খুন হওয়ার পর চরম সরবতা সত্যিই দৃষ্টিকটু এবং চোখে লাগার মত।

সরকার বা প্রশাসন কি ভেবে দেখে নাই একজন নাস্তিক দিনের পর দিন ইসলামকে ব্যঙ্গ করে যাচ্ছে যার শেষ ফলাফলটা কি হতে পারে ?

নাস্তিক ব্লগার অভিজিৎ এর হত্যার সন্দেহে বিনা প্রমানে ফারাবী শাফিউর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে ! সত্যি দম আটকে আসে প্রসাশনের এসকল কার্যকলাপ দেখে। ফারাবীকে গ্রেফতার করেছেন কোন অপরাধে?



আপনাদের কাছে কি কোন সুষ্পষ্ট প্রমাণ আছে অভিজিৎ এর হত্যার সাথে ফারাবী জড়িত ? যদি তা না থাকে তবে তাকে গ্রেফতার করে কি এটাই প্রমান করা হলো না, নাস্তিককে শেলটার দিতে গিয়ে তাদের মনতুষ্টির প্রত্যশায় সম্পূর্ণ নির্দোষ ফারাবী শাফিউর রহমান কে গ্রেফতার করা হয়েছে ?

বর্তমান সরকারের সাথে অনেকেই একটা বিশেষন ব্যবহার করে থাকেন "নাস্তিক সমর্থিত সরকার"। নাস্তিকদের নিয়ে এমন মাতামাতি করলে মানুষ কেনইবা এমন বলবে না ?
প্রশাসনের অন্তরালে কিছু নাস্তিক যে ঘাপটি মেরে বসে নেই এমনটি নয়। তারাই "র" এবং মোসাদের এজেন্ট হিসেবে দেশে একটি গন্ডগোল লাগাতে চাচ্ছে। আর সেকারনে অভিজিৎ এর মত নাস্তিক ইস্যু নিয়ে তীল কে তাল বানাচ্ছে। সরকার নিশ্চয়ই ৫ মের কথা ভুলে যায় নাই। লোকদেখানো নাস্তিক বিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে জামাত শিবির কিন্তু হেফাজতের সাথে মিশে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলো। এমন ঘটনা আবারও পূনরাবৃত্তি হওয়া বিচিত্র নয়। সরকারের ভিতর ঘাপটি মেরে থাকা এজেন্টরা বিষয়টিকে উস্কে দিবে বা দিচ্ছে অপরদিকে জামাত শিবির সেটাকে পুঁজি করে নিজেদের স্বর্থসিদ্ধি করবে। দেশটা এমনিতেই অচল হয়ে রয়েছে এখন হয়তো পুরোপুরি ধ্বংস হবে।

শুনলাম আমেরিকা আসবে তদন্ত করতে। বাংলাদেশ প্রশাসন থাকতে তদন্তের জন্য আমেরিকা কেন ? বিষয়টা কি সত্যি ভেবে দেখার মত নয় ? কোন ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার হচ্ছে সেটা কি ভেবে দেখা হচ্ছে ?
যে আমেরিকা মজ্জাগত ভাবে ইসলাম বিদ্বেষী সে আমেরিকা যখন নাস্তিকের পক্ষে তদন্ত করবে সেটা কেমন তদন্ত হবে এখনি না ভাবলে ভবিষ্যতে পস্তানোর সম্ভাবনা ১০০%।

তাই সরকারের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট ভাবে বলা হচ্ছে,

- নাস্তিক ব্লগার অভিজিৎ কে নিয়ে বাড়াবাড়ি বন্ধ করুন।
- ফারাবী শাফিউর রহমান কে ছেড়ে দিন।
- আমেরিকার হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন।
- দেশের মধ্যে সকল প্রকার নাস্তিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করুন।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন