রেজাউল
করীম আবরার ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ‘ঈদ’ অস্বীকার
করতে গিয়ে দলীল দিয়েছে,
عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ: أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ،
عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ: لَا تَتَّخِذُوا شَهْرًا عِيدًا، وَلَا تَتَّخِذُوا يَوْمًا عِيدًا
হযরত
তাউস রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন,
তোমরা কোন মাসকে ঈদ হিসাবে গ্রহন করো না, কোন
দিনকেও ঈদ হিসাবে গ্রহন করবে না। (মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৭৮৫৩)
এই হাদীছ এর মধ্যে আমভাবে দেখা যাচ্ছে- কোন মাসকে বা কোন দিনকে ঈদ হিসাবে পালন করা যাবেনা। উল্লেখ্য যে প্রতিটি হাদীছ শরীফের একটা প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য থাকে। কোন হাদীছ শরীফের হুকুম সার্বজনীন হয় আবার কোনটা নির্দিষ্ট বিষয় সংশ্লিষ্ট হয়, যার হুকুম সেই নির্দিষ্ট সময় ও প্রেক্ষাপটের জন্যই প্রজোয্য থাকে।
উল্লেখ্য
যে, উক্ত হাদীছ
শরীফখানা মুসলমানের ঈদ সংক্রান্ত নয়। বরং এ বর্ণনাটি হলো জাহেলি যুগের রজবিয়া ও
আতিরা উপলক্ষে মানুষেরা যে ঈদ পালন করতো সেই সংক্রান্ত।
এই হাদীছ শরীফখানা যে কিতাবে বণিত হয়েছে, সেখানে
স্পষ্টভাবে অধ্যায়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে- “বাবু ছিয়ামে আশহুরিল হুরুম” অথাৎ হারাম মাসসমুহে রোযা রাখার অধ্যায়। এর
দ্বারা বুঝা গেল স্বয়ং মুসান্নিফ নিজেই এই হাদীছ শরীফ খানা ঈদের বর্ণনা হিসেবে
উল্লেখ করেননি। বরং হারাম মাসের রোযা রাখার ব্যাপারে বর্ণনা করেছেন। যা উক্ত হাদীছ
শরীফের ব্যাখ্যায় তাহকীককরী ৪র্থ খন্ডের ২৯১ পৃষ্ঠার ৪ নং টীকায় উক্ত মুছান্নাফে
আব্দুর রাজ্জাক কিতাবের ৯২৫৫ নং হাদীছ শরীফ দ্বারা ব্যাখ্যা করে বলেছেন-
أَنَّهُ كَانَ يَكْرَهُ أَنْ يَتَحَرَّى
شَهْرًا، أَوْ يَوْمًا يَصُومُهُ
“হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি মাসব্যাপী এবং দিনব্যাপী নিদিষ্ট করে রোযা রাখতে অপছন্দ করতেন।”
আবরারের আলোচ্য বর্ণনাটি দ্বারা যদি ঈদ নেয়াও হয় তাহলে তা হবে জাহেলি যুগের রজবিয়ার ঈদ। যা দ্বারা মুসলমানদের কোনা ঈদকে নিদিষ্ট করা হয়নি। তার প্রমাণ হচ্ছে, মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক কিতাবের ৪র্থ খন্ডের ২৯২ পৃষ্টার পরবতী হাদীছ শরীফ-
عن ابن عباس رضي الله عنهما أنه كان ينهى عن
صيام رجب كله لئلا يتخذ عيدًا
হযরত
ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মানুষদের পুরো রজব মাস রোযা রাখতে নিষেধ
করতেন। যাতে করে মানুষ এটাকে ঈদ বানিয়ে না নেয়। (মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক
৭৮৫৪)
অথাৎ, আবরারের বর্ণিত, উক্ত হাদীছ শরীফখানা মুসলমানদের ঈদ সংক্রান্ত নয় বরং জাহেলী যুগের রজবিয়ার রোযা সংক্রান্ত সেটা প্রমাণিত হলো। ইবনে রজব হাম্বলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও উনার লাতায়েফুল মায়ারিফ কিতাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তিনি যে অধ্যায়ে এ আলোচনা করেছেন তা রজব মাস সংশ্লিষ্ট, এবং রজবীয়া ও আতিরার আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি এ বর্ণনা উল্লেখ করেছেন।
আর সবচাইতে মজার বিষয় হচ্ছে, রেজাউল করীম
আবরার নিজেও তার “কুরআন সুন্নাহর আলোকে বারো মাসের করণীয় বজনীয়” বইয়ের ১৭২ পৃষ্ঠায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও আতীরার বিধান
রহিত হওয়ার প্রসঙ্গে লিখেছে-
“মুবারক বিন ফুজালা হাসান থেকে
বণনা করেন, ইসলামের
কোনো আতীরার বিধান নেই। এর বিধান ছিলো জাহেলি যুগে। তারা রজব মাসে রোযা রাখতো এবং
পশু যবেহ করতো। এছাড়া এখানে আরেকটি বিষয় লক্ষনীয় যে, রজব
মাসে পশু যবেহের কারণে তা ঈদের সাথে সাদৃশ্য হয়ে যায়। অথচ ইসলামে ঈদ মাত্র দুটি।
আর ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বণিত হয়েছে যে, তিনি রজবকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করতে অপছন্দ করতেন। প্রসিদ্ধ তাবেয়ী আতা বণনা
করেন, ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেছেন,
كان ابن عباس رضي الله عنهما ينهى عن صيام رجب
كله لئلا يتخذ عيدًا
অথাৎ
ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মানুষদের পুরো রজব মাস রোযা রাখতে নিষেধ
করতেন। যাতে করে মানুষ এটাকে ঈদ বানিয়ে না নেয়। এ ছাড়াও হানাফী মাযহাবের ফিকহ
ফতোয়ার সকল কিতাবে আতিরা মানসুখ তথা রহিত হয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।”
অর্থাৎ প্রমাণ হলো তার ওয়াজের আলোচানায় সে মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাকের দ্বিতীয় হাদীছ শরীফটি বাদ দিয়ে প্রথম হাদীছ শরীফটি উল্লেখ করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে জাহেলি যুগের রজবিয়ার ঈদ পালন না করার দলিলকে ঈদে মীলাদুন্নবী পালন না করার দলিল হিসেবে চালিয়ে দিয়েছে। অথচ তার কিতাবে সে এই ঈদ এবং রোযা দ্বারা জাহেলী যুগের রজবিয়াকে উদ্দেশ্য করেছে। অর্থাৎ অনিচ্ছা সত্ত্বেও তার প্রতারনা ধরা পরে গেছে।
উল্লেখ্য
যে, আলোচ্য বর্ণনা ‘তোমরা কোন মাসকে ঈদ হিসাবে গ্রহন করো না, কোন দিনকেও ঈদ হিসাবে গ্রহন
করবে না’ বর্ণনাটি মুরসাল। মুরসাল বর্ণনা যদিও
ছহীহ কিন্তু এটি একটি একক বর্ণনা। এর পক্ষে কোন হাদীছ শরীফ অথবা কোনো ছাহাবী অথবা কোনো
তাবেয়ী অথবা ইমামদের সমর্থনও নেই। পৃথিবীর কোন ইমাম এই হাদীছ শরীফ দিয়ে ঈদ করা
যাবে না এমন কথাও বলেন নাই।
বরং
পূর্ববর্তী অনেকেই পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ঈদ হিসাবে
কিতাবে উল্লেখ করেছেন। যেমন-
হাফিজুল
হাদীছ হযরত শিহাবুদ্দীন কাসতালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ৯২২ হিজরী) উনার মাওয়াহিবে
লাদুনীয়ার ১/৭৮ পৃষ্ঠায় লিখেন,
فرحم الله امرآ اتخذ ليالى شهر مولده المبارك
أعيادا
“আল্লাহ তাআলা ঐ ব্যক্তির উপর রহম
করুন, যিনি
মিলাদুন্নবীর মাসের রাতসমূহ ঈদ হিসাবে গ্রহন করে”
হযরত মুহম্মদ ইবনে উমর ইবনে মুবারক রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ৯৩০ হিজরী) “হাদায়েকুল আনোয়ার” ৫৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন,
فحقيقٌ بيومٍ كانَ فيه وجودُ المصطفى صلى الله
عليه وسلم أَنْ يُتَّخذَ عيدًا، وخَليقٌ بوقتٍ أَسفرتْ فيه غُرَّتُهُ أن يُعقَد طالِعًا
سعيدًا،
এ দিনের
প্রকৃত অবস্থান হলো , যেহেতু
এদিন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ হয়েছে তাই
এ দিন ঈদ উদযাপন করাই হচ্ছে প্রকৃত দাবী। এদিনের এক শুভক্ষনেই তো সেই আলোকিত মহা
উজ্জল চেহারা মুবারক পৃথিবী দর্শন করেছে তবে তা কেন ঈদ হবে না?
ইমাম যারকানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও উনার শরহে যারকানী ১/২৬২ পৃষ্ঠাতেও পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ঈদ হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
হযরত আবু যুফার মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘দুররুল মুনাজ্জাম’ কিতাবে লিখেন,
وَقَدْ عَمِلَ الْـمُحِبُّوْنَ لِلنَّبِىِّ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرْحًا بِـمَوْلِدِهِ الوَلَائِمَ
হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার আশিকগণ উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশিতে (ঈদ পালন করে) খাওয়া
দাওয়া ও দাওয়াতের আয়োজন করে আসছেন। (সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ ফী সিরাতে খাইরিল
ইবাদ ১ম খন্ড ৩৬৩ পৃষ্ঠা)
হাফিজুল হাদীছ ইবনে জাওজী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
لازال اهل الحرمين الشريفين والمصر واليمن والشام وسائر بلاد العرب من المشرق والمغرب يحتفلون بمجلس مولد النبى صلى الله عليه وسلم ويفرحون بقدوم هلال ربيع الاول
“হারামাইন শরীফাইন, মিশর, ইয়ামেন,
সিরিয়া এবং পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত আরবের সকল শহর ও নগরের
অধিবাসীদের মধ্যে অব্যাহতভাবে এ নিয়ম চলে আসছে যে, তারা
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফের অনুষ্ঠান
করেন। পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসের নতুন চাঁদের আগমনে আনন্দিত হন (ঈদ পালন
করেন)। (দররুল মুনাজ্জাম ৮৫ পৃষ্ঠা)
‘মুহম্মদ ইবনু ইউসুফ আছ ছালেহী শামী (ওফাত ৯৪২ হিজরী) রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন,
سمعت الشيخ أبا موسى الزّرهونيّ يقول: رأيت
النبي صلى الله عليه وسلم في النوم فذكرت له ما يقوله الفقهاء في عمل الولائم
في المولد فقال صلى الله عليه وسلم: من فرح بنا فرحنا به
শায়েখ
হযরত আবু মুসা জারহুনি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, একদিন আমি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্বপ্নে দেখলাম। ফকিহগণ তথা মুফতিগন যে
মীলাদুন্নবী পালন করেন বিষয়টি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট
উপস্থাপন করলাম। হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,
যে আমার ব্যাপারে খুশি (ঈদ পালন করে) প্রকাশ করবে আমি তার ব্যাপারে
খুশি প্রকাশ করব। [সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ ফি সিরাতে খাইরুল ইবাদ ১/৩৬৩;
লেখক- মুহম্মদ ইবনু ইউসুফ আছ ছালেহী শামী (ওফাত ৯৪২ হিজরী)]
হযরত জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার হাওয়ী লিল ফাতওয়া কিতাবে ১/২৩০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন,
كَانَ يَجُوزُ بِالْمَكْتَبِ فِي الْيَوْمِ
الَّذِي فِيهِ وُلِدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَيَقُولُ: يَا
فَقِيهُ، هَذَا يَوْمُ سُرُورٍ اصْرِفِ الصِّبْيَانَ،
এখানেও
পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে খুশির দিন বলা হয়েছে।
কেনেইবা এই দিন ঈদ হবে না? পবিত্র ঈদে মীলাদে
হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাতের মর্যাদা সকল রাতের চাইতে
বেশি। ফতোয়ায়ে শামীতে উল্লেখ আছে,
أَنَّ أَفْضَلَ اللَّيَالِي لَيْلَةُ مَوْلِدِهِ
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ لَيْلَةُ الْقَدْرِ ، ثُمَّ لَيْلَةُ الْإِسْرَاءِ
وَالْمِعْرَاجِ ، ثُمَّ لَيْلَةُ عَرَفَةَ ، ثُمَّ لَيْلَةُ الْجُمُعَةِ ، ثُمَّ لَيْلَةُ
النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ ، ثُمَّ لَيْلَةُ الْعِيدِ
অর্থ:
রাতসমূহের মধ্যে উত্তম রাত হচ্ছে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রাত, অতঃপর
পবিত্র ক্বদরে রাত, অতঃপর মি’রাজ শরীফের রাত, অতঃপর পবিত্র আরাফার রাত, অতপর পবিত্র জুমুয়ার রাত, অতঃপর পবিত্র ১৫ শা’বান (শবে বরাত) রাত, অতপর পবিত্র ঈদের রাত।” (দলীল: রদ্দুল মুহতার আলা দুররিল মুখতার ৩/৫২৮-৫২৯
: কিতাবুল হজ্জ্ব , তাফসীরে
রূহুল মায়ানী ১৯/১৯৪, সূরা ক্বদরে তাফসীর)
সকল বিশেষ রাতের চাইতে শ্রেষ্ঠ রাত হচ্ছে পবিত্র ঈদে মীলাদে
হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রাত। তাহলে এই মহান দিবসকে ঈদ বললে
সমস্যা কোথায়? আর এছাড়া যেসকল ইমামগন মীলাদুন্নবী
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ঈদ বলেছেন উনারা কি “তোমরা কোন মাসকে ঈদ হিসাবে গ্রহন করো না, কোন দিনকেও ঈদ হিসাবে গ্রহন
করবে না” এ হাদীছ শরীফ জানতেন না? জানলে কি কারনে ইমামগন
মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ঈদ বলেছেন? কারন
উনারা জানতেন এটা হচ্ছে রজবীয়া বা আতিররা বিধান যার সাথে মুসলমানদের কোন সম্পর্ক
নেই। বরং মুসলমানদের জন্যতো সবচাইতে খুশির বা ঈদের দিন হচ্ছে ঈদে মীলাদুন্নবী
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ!