শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৬

ইয়া নবী, ইয়া রসূল বলে সম্বোধন করার ব্যাপারে ওহাবীদের আপত্তির চুড়ান্ত জবাব (পর্ব-৫)



যুগ যুগ ধরে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা তথা উলামায়ে উম্মাত এবং ওলী-আউলিয়াগণ উনারা সর্বদা ইয়াহরফে নিদা দিয়ে আহ্বান করে আসছেন। এ দুচারটি উদাহরণ পেশ করা যাক।

এক. হযরত ইমাম যায়নুল আবিদীন আলাইহিস সালাম তিনি কারবালায় সংঘটিত ঘটনার পর যে আশআরগুলি বলেছেন, তা হলো-
يا مصطفى يا مجتبى ارحم على عصيانا + محبورة اعمالنا طعما وذنبا والظلم.
يا رحمة للعالمين انت شفيع المذنبين + اكرم لنا يوم الحزين فضلا وجودا والكرم
يا رحمة للعالمين انت شفيع المذنبين + محبوس ايدى الظالمين فى الموكب والمزدحم.
এ তিনটি আশআরে প্রথম শব্দটিতে ইয়া মুস্তফা, ইয়া মুজতবা, ইয়া রহমাতুল্লিল আলামীনবলে হযরত যয়নুল আবিদীন আলাইহিস সালাম তিনি কারবালার ময়দান থেকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আহ্বান করেছেন। যদি এভাবে আহ্বান করা না জায়িয হতো, তবে হযরত ইমাম যয়নুল আবেদীন আলাইহিস সালাম তিনি এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এবং হযরত তাবিয়ীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা এভাবে কখনো আহ্বান করতেন না।

দুই. (লেবানন-এর বায়রুত থেকে ১৯৮৮ ঈসায়ীতে মুদ্রিত) হাফিয আল্লামা হযরত ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্ববিখ্যাত সীরতগ্রন্থ আল বিদায়াহ ওয়ান্ নিহায়াহ গ্রন্থের ৮ম খ-ের ১৯৫ পৃষ্ঠায় বর্ণনা করেছেন যে, হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র শাহাদাত গ্রহণের পর হযরত আহলে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরিবারের সম্মানিত মহিলা উনাদেরকে যখন কারবালা প্রান্তর থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, যাওয়ার পথে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার এবং উনার সঙ্গীদের শাহাদাত মুবারক গ্রহণকৃত জিসিম মুবারক কারবালায় পড়ে থাকা অবস্থায় দেখেছিলেন, তখন হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার বোন হযরত যাইনাব আলাইহাস সালাম তিনি যে শব্দ দিয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ডেকেছিলেন আর বুক ফাটা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন, অবস্থা দৃষ্টে শত্রু-মিত্র সকলে কেঁদে উঠেছিল; তা ছিল ইয়া মুহাম্মাদাহ!’ ‘ইয়া মুহাম্মাদাহ!ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। পুরো ইবারতটি এভাবে-
يا محمداه يا محمداه صلى عليك الله وملك السماء هذا حسين بالعراء مزمل بالدماء مقطع الاعضاء يا محمد صلى الله عليه وسلم وبناتك سبايا وذريتك مقتلة تسفى عليها الصبا.
এখানে হযরত যাইনাব আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইয়াহরফে নিদা দিয়ে আহ্বান করলেন। অতঃপর কাফখিতাবিয়াহ (সম্বোধনী সর্বনাম) দিয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সালাম দিলেন। ইয়াঅব্যয় দিয়ে ডাক দেয়া এবং কাফখিতাবিয়াহ সর্বনাম দিয়ে সালাম দেয়া নাজায়িয হলে তিনি ভীষণ বিপদের সময় এভাবে ডাকতেন না।
তিন. হানাফী মাযহাবের ইমাম হযরত ইমামে আযম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কর্তৃক প্রণীত ক্বাছীদা যা ক্বাছীদাতুন্ নুমাননামে বিশ্ব মুসলিমের নিকট পরিচিত। সেখানে হযরত ইমামে আযম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এভাবে ডাক দিয়েছেন-
يا سيد السادات جئتك قاصادا+
ارجوا رضاك واكتمى بحماك
يامالكى شافعى فى فاقتى+
انى فقر فى الورى لغنا
يا اكرم الثقلين ويا كتر الورى+
جدلى بجودك وارضنى لرضاك.
উপরে বর্ণিত ক্বাছীদা শরীফগুলোর শুরুতেই ইমামে আযম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইয়াআহ্বান সূচক অব্যয় দিয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আহ্বান করেছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- হযরত ইমাম আযম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কি পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ফিক্বাহ শরীফ ও নাহু ছরফ জানতেন না বা বুঝতেন না? অবাক হতে হয় যে, আজকাল কিছু সংখ্যক তথাকথিত আলিম নামধারী লোকেরা ইয়াঅব্যয় দ্বারা আহবান করাকে নাজায়িয বলে তাদের দুঃসাহসিকতা প্রকাশ করছে। নাঊযুবিল্লাহ।

চার. হযরত আব্দুল গানী নাবলিছী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এমনিভবে ইয়াহরফে নিদা দিয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আহ্বান করেছেন। আল মাসাইলুল মুনতাখাবাহ কিতাব উনার ১১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
الا يا رسول يا اشرف الورى+ ومن ليس فى العليا له من بنازغ ويا غوثنا فى كل ضيق وشدة ويا من لنا يوم القامة شافع ويا ملجئى يا مقصدى ويا وسيلتى+ ويا سندى يا سيدى انت نافع.
এখানে তিনি ইয়ারসূলাল্লাহইয়া আশরাফাল ওয়ারা’ ‘ইয়া গাউছানা’ ‘ইয়া মালজায়ী’ ‘ইয়া মাকছাদী’ ‘ইয়া ওয়াছিলাতীইত্যাদি শব্দে ইয়াসম্বোধন সূচক অব্যয় দিয়ে ডাক দিয়েছেন।

পাঁচ. হযরত ইমাম বারয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন,
يا خير من دفنت فى التراب اعظمه+ فطاب من طيبهن السهل والجبل
نفسى الفداء للقبر انت ساكنه + فيه  الهدى والندى والعلم والاعمال  

ছয়. সাইয়্যিদ হযরত আবুল ফাতাহ ওয়াফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
يا سيدى يا رسول الله خذ بيدى + مالى سواك ولا الوعى احد
فانت نورى الهدى فى كل كائنة + وانت سر الهدى يا خير معتمد
وانت حقا غياث الخلق اجمعهموانت هادى الورى الورى لله يا سندى

সাত. হযরত ইমাম জালালুদ্দীন ইবনে ইয়াহইয়া ছারছীরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
الا يا رسول المليك الذى+ هدانا به الله من كل تيه
سمعت حديثا من المسندات + يسر فؤاد الفقيه النبيه
এইসব আইম্মায়ে কিরাম উনারা উনাদের নিজ নিজ কিতাবে এভাবেই বর্ণনা করেছেন। উনারা নাহু ছরফ বা ইলমে হাদীছ শরীফ উনার হাফিয, ফিক্বাহ শাস্ত্রের যুগের অদ্বিতীয় প-িত, ইলমে মারিফাতের চূড়ান্ত উচ্চ শিখরে অবস্থানরত বিশ্ববিখ্যাত ওলী, যাদের খোদাভীতি, তাক্বওয়া, পরহেযগারী বিশ্বের বুকে দৃষ্টান্তস্বরূপ প্রতিষ্ঠিত। উনারা আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইয়াহরফে নিদা দিয়ে আহ্বান করেছেন। যদি সামান্য একটু ভুলের অবকাশ থাকতো উনারা এভাবে ডাকতেন না। উপরে বর্ণিত চার, পাঁচ, ছয়, সাত নাম্বারে বর্ণিত এ আশআরগুলো হযরত আল্লামা ইউছুফ নাবাহানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শাওয়াহিদুল হক্বকিতাবেও উল্লেখ আছে।

আট. ক্বাছীদায়ে বুরদায় হযরত ইমাম বুসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
يا اكرم  الخلق مالى من الوذبه + سواك عند حلول الحادث العم
ولن يضيق رسول الله جاهك بى + اذا لكريم تجلى باسم منتقم
যুগ যুগ ধরে হযরত ওলী-আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা এ ক্বাছীদা শরীফ উনাকে ওযীফা শরীফ হিসাবে ব্যবহার করে আসছেন। ক্বাছীদার প্রণেতা হযরত ইমাম বুসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে সকল হযরত মুহাদ্দিছীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে থাকেন। তিনিও এখানে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইয়া আকরামাল খালক্বিনামে ডাক দিয়েছেন।

নয়. হযরত শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিছে দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার কিতাব আতয়াবুল বয়ানে” ‘ইয়াঅব্যয় দিয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আহ্বান করেছেন,
وصلى عليك الله يا خير خلقه + يا خير مامول ويا خير واهب
انت شفيع يوم لا ذو شفاعة + بمغن كما اثنى سوادين قارب.
এখানে হযরত শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইয়াহরফে নিদা দিয়ে ডাকার সাথে সাথে কাফখিতাবিয়াহ দিয়েও সম্বোধন করেছেন।

বাতিল পন্থীদের মুরুব্বীরাও তাদের কিতাবে “ইয়া হরফে নেদা” ব্যবহার করেছেঃ

আশরাফ আলী থানভী তার নাশরুত্তিব নামক কিতাবে ১৯৪নং পৃষ্ঠায় ইয়াহরফে নিদা দিয়ে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন করে আশআর লিখেছে,
يا شفيع العباد خذ بيدى + انت فى الاضطرار متعمدى
غشنى الدهر يا رسول الله +كن مغيثا فانت لى مددى
يا رسول الا له بابك لى + من غمام الغموم ملتحدى
থানভী তার আশআরগুলোতে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইয়াহরফে নিদা এবং খিতাবী সর্বনাম দিয়ে বারবার আহ্বান করেছে। এভাবে ডাকা নাজায়িয হলে থানভী কেন এভাবে সম্বোধন করে লিখলো। এতে স্পষ্ট বুঝা গেল যে, ‘ইয়াহরফে নিদা দিয়ে আহ্বান করা সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে জায়িয। যুগ যুগ ধরে বিশ্বের সকল আলিম-উলামা, ইমাম-মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদ, মুহাদ্দিছ, পীর, মাশায়িখ উনারা সকলেই এভাবে আমল করে আসছেন। তাতে নাজায়িয হওয়ার সামান্যতম সন্দেহ করারও কোনো অবকাশ নেই।

হযরত পীর-মাশায়েখ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মধ্যে পাক-ভারত-বাংলাদেশের অন্যতম এক পীর ছাহেব  উনার একটি আমল নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
হযরত হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার জিয়াউল ক্বুলুব নামক গ্রন্থের ৯নং পৃষ্ঠায় বর্ণনা করেছেন, কেউ যদি আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখতে চায়, তবে সে যেন আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অবয়ব মুবারক কল্পনায় ধারণ করে মোরাকাবা করে এবং পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করে। অতঃপর ডান দিকে ইয়া আহমাদুবাম দিকে ইয়া মুহাম্মাদুএবং কলবের উপর ইয়া রসূলাল্লাহবলে এক হাজারবার যিকির করে। তবে সে জাগ্রত অথবা নিদ্রায় আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র যিয়ারত লাভ করতে পারবে ইনশাআল্লাহ। সুবহানাল্লাহ!
হযরত হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার কিতাবে স্বপ্নযোগে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক দীদার লাভ করার জন্যে আরো একটি পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন যে, পবিত্র ইশা উনার নামাযের পর পাক সাফ হয়ে নতুন কাপড় পরিধান করে খুশবু ব্যবহার করে নিতান্ত আদব সহকারে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার দিকে মুখ করে বসবে এবং যিয়ারত হাছিলের জন্যে কাকুতি-মিনতি করে দোয়া করবে। এমনি সময় সাদা ধবধবে লিবাছ ও পাগড়ি পরিহিত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্দর নূরানী চেহারার ধ্যান করবে। অতঃপর ডান দিকে আস্সালামু আলাইকা ইয়া নাবিয়্যাল্লাহউপরের দিকে আছ্ছালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া হাবীবাল্লাহবিরামহীনভাবে যত পরিমাণ সম্ভব পড়তে থাকবে। অতঃপর নিম্নে বর্ণিত পবিত্র দুরূদ শরীফটি বেজোড় সংখ্যায় বেশি বেশি করে পড়বে-
আল্লাহুম্মা ছল্লি আলা মুহাম্মাদিন কামা আমারতানা আন নুছাল্লি আলাইহিআল্লাহুম্মা ছল্লি আলা মুহাম্মাদিন কামা হুয়া আহলুহআল্লাহুম্মা ছল্লি আলা মুহাম্মাদিন কামা তুহিব্বু ওয়া তারদ্বাস্বপ্নযোগে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দীদার নছীব হবে। ইনশাআল্লাহ।
এই হলো হযরত হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রদর্শিত সবক, যেখানে, ‘ইয়াহরফে নিদা যোগে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আহবান করার শিক্ষা দিয়েছেন। যদি এভাবে আহবান করা নাজায়িয হতো, তবে তিনি এভাবে উনার মুরীদানকে শিক্ষা দিয়ে চিরস্থায়ী ব্যবস্থা করে দিতেন না এবং একথা সর্বজন বিদিত যে হযরত হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মাক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট আশরাফ আলী থানভী এবং রশিদ আহমদ গাংগুহীসহ অনেক উলামায়ে দেওবন্দ বায়াত হয়ে উনাকে মুর্শিদ বা পীর ছাহিব হিসাবে স্বীকার করেছে।

সর্বশেষ ওহাবী আক্বীদায় বিখ্যাত আরো একজন মৌলবী ছাহেবের বর্ণনা দেখুন।
ক্বাছীদায়ে আম্বরিয়াউনার ৩০ এবং ৩১ পৃষ্ঠায় নওয়াব ছিদ্দীক্ব আলী খান ছাহেব লিখেছে,
يا سيدى يا عروتى ووسيلتى+
 يا عدتى فى شدة ورخاء
يا مقصدى يا اسوتى ومعاضدى +
 وذريعتى يا موحدى ومولانئ

এই আশআরগুলোতে সে ইয়াসম্বোধন সূচক অব্যয় ব্যবহার করে কিভাবে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ডাক দিয়েছে দেখুন। যদি নাজায়িয হয়, তবে এ সমস্ত আলিমদেরকে নাজায়িয দাবিদাররা কিভাবে (নাজায়িয থেকে) রক্ষা করবে(৬ষ্ঠ পর্ব)

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন