সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৬

আল্লাহ পাক সকল নবী রসূল আলাইহিস সালাম উনাদের থেকে ঈদে মীলাদে হাবীবী পালনের অঙ্গীকার নিয়েছেন


অত্যান্ত ফিকিরের একটা বিষয়। সত্যি ভেবে আরো অনেক কিছুই উপলব্ধিতে আসলো।
মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
واذ اخذ الله ميثاق النبين لـما اتيتكم من كتاب وحكمة ثـم جائكم رسول مصدق لـما معكم لتؤمنن به ولتنصرنه قال اأقررتـم واخذتـم على ذلكم اصرى قالوا اقررنا قال فاشهدوا وانا معكم من الشاهدين. فمن تولى بعد ذلك فاولئك هم الفاسقون.
অর্থ : “(হে আমার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি স্মরণ করুন সেই সময়ের কথা) যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি আলমে আরওয়াহতে সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের কাছ থেকে ওয়াদা নিয়েছিলেন যে আপনাদেরকে আমি কিতাব মুবারক ও হিকমত মুবারক দান করবো। অতঃপর আপনাদেরকে সত্য প্রতিপাদনের জন্য (নুবুওওয়াত ও রিসালত দেয়ার জন্য) সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রেরণ করবো। আপনারা উনাকে নবী ও রসূল হিসেবে মেনে নিবেন এবং সর্ব বিষয়ে উনার খিদমত মুবারক করবেন । আপনারা কি এই ওয়াদার কথা মেনে নিলেন? উত্তরে সকলে বললেন, হ্যাঁ, আমরা এই ওয়াদা স্বীকার করলাম । তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, আপনারা সাক্ষী থাকুন, আমিও আপনাদের সাথে সাক্ষী হয়ে গেলাম। তবে জেনে রাখুন যারা এই ওয়াদাকৃত বিষয় থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে তারা চরম পর্যায়ের ফাসিক হয়ে যাবে।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮১-৮২)


ফিকিরের বিষয় হচ্ছে, অন্যন্যা নবী রসূল আলাইহিমুস সালামগন উনারা কিন্তু আল্লাহ পাকের উপর রোজে আজলে ঈমান এনেইছেন। আর প্রত্যোক নবী রসূল উনার স্বীয় উম্মতকে ঈমানও দান করেছেন। উনাদের প্রতি কালেমা শরীফ পড়েই সেই যামানার উম্মতরা ঈমান এনেছে। এখন সেই সকল নবী রসূল আলাইহিমুস সালামগনও নবুওয়াত ও রেসালাত পেয়েছেন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান এনে, এবং খিদমত করার ওয়াদ প্রদান করে। যার স্বাক্ষী স্বয়ং আল্লাহ পাক নিজেই। তাহলে ফিকিরের বিষয়, মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কত নিগূঢ় সর্ম্পক, কত নৈকট্য। হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান আনা ও উনার সানা সিফত করার শর্তে অন্যান্য নবী রসূলগন মর্যাদা লাভ করলেন। শুধূ তাই নয় ব্যাপারটা এতই গুরুত্বপূর্ণ যে আল্লাহ পাক সর্তক করলেন, এই ওয়াদা থেকে সরে গেলে চরম বির্পযয় হবে।
সূরা আল ইমরানে এই বিষয়টা আল্লাহ পাক ফয়সালা করলেন, আবার পরবর্তী সূরা মায়িদাতে আবারো রিমাইন্ডার দিয়ে আবার ইরশাদ করেন,
وَاذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّـهِ عَلَيْكُمْ وَمِيثَاقَهُ الَّذِي وَاثَقَكُم بِهِ إِذْ قُلْتُمْ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا ۖوَاتَّقُوا اللَّـهَ ۚ إِنَّ اللَّـهَ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ ﴿٧﴾
তোমরা আল্লাহর নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং ঐ অঙ্গীকারকেও যা তোমাদের কাছ থেকে নিয়েছেন, যখন তোমরা বলেছিলেঃ আমরা শুনলাম এবং মেনে নিলাম। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ অন্তরের বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি খবর রাখেন। (সূরা মায়িদা ৭)
রোজে আজলে অঙ্গীকার নিয়ে জমীনে সেটা বাস্তবায়নের শক্ত ওয়াদা আল্লাহ পাক নিলেন, আর আমাদের মধ্যে এক শ্রেনীর উম্মত দাবীদার মাত্র ১৪০০ বছর আগের ফয়সালাই মানতে নারাজ। তারা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সানা সিফত প্রশংসা শুনতেই চায় না। ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদয়াত বলে। নাউযুবিল্লাহ।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন