সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই উনার সুমহান বিলাদত শরীফ সর্ম্পকে আলোচনা করেছেন-
দেশের সকল মাদ্রাসাসমূহে পঠিত হাদীছ শরীফ-এর বিখ্যাত ও নির্ভরযোগ্য কিতাব “মেশকাতুল মাছাবীহ-এর ৫১৩ পৃষ্ঠায় “ফাযায়েলে সাইয়্যিদুল মুরসালীন” নামক অধ্যায়ে উল্লেখ আছে,
عن العرباض بن سارية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم- انه قال انى عند الله مكتوب خاتم النبيين وان ادم لمنجدل فى طينة وساخبركم باول امرى دعوة ابراهيم وبشارة عيسى ورؤيا امى التى رأت حين وضعتنى وقد خرج لها نور اضاء لها منه قصور الشام-
অর্থঃ- “হযরত ইরবাজ ইবনে সারিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, হযরত আদম আলাইহিস সালাম এর খামীর যখন প্রস্তুত হচ্ছিল তখনও আমি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট “খতামুন্নাবিয়্যীন” অর্থাৎ “শেষ নবী” হিসেবে লিখিত ছিলাম। এখন আমি তোমাদেরকে আমার পূর্বের কিছু কথা জানাব। তা হলো, আমি হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম উনার দোয়া, আমি হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার সুসংবাদ ও আমি আমার মাতার সুস্বপ। আমার বেলাদতের সময় আমার মাতা দেখতে পান যে, একখানা “নূর মুবারক” বের হয়ে শাম দেশের রাজপ্রাসাদ বা দালান-কোঠা সমূহ আলোকিত করে ফেলেছে।” (সহীহ ইবনে হিব্বান: হাদীস ৬৪০৪, মুসতাদরেকে হাকীম: হাদীস ৩৬২৩, সিয়ারু আলামীন আননুবুলা পৃষ্ঠা ৪৬, মুসনাদে তয়লাসী: হাদীস ১২৩৬, মুসনাদে বাযযার ৪১৯৯, দালায়েলুন নুবুওওয়াত-১ম খন্ডের ৮৩ পৃষ্ঠা ,শোয়াবুল ঈমান-২য় জিঃ, ১৩৪ পৃষ্ঠা, শরহুসসুন্নাহ ও মসনদে আহমাদ)
নিম্নে কতিপয় কিতাবের স্ক্যান কপি দেয়া হলো:
দালায়েলুন নবুওয়াত লি ইমাম বায়হাক্বী |
দালায়েলুন নবুওয়াত ১ম খন্ড ৮৩ পৃষ্ঠা |
সহীহ ইবনে হিব্বান |
সহীহ ইবনে হিব্বান ৬৪০৪ |
যেখানে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই নিজের পবিত্র বিলাদত শরীফের আলোচনা করেছেন, সেখানে আমরা করলে এটা বিদয়াত হবে কেন?
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন