ইহুদী
খ্রিষ্টানরা মুসলমানদের মধ্যে ফাটল ধরাতে যে কাজ করে সেটা হচ্ছে বিভ্রান্তি ছড়ানো।
আর এসব বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য তারা কিছু মুসলমান নামধারীকে ব্যবহার করে। এরা
নিজেদের মুসলমানদের সেবক দাবী করলেও তারা মূলত ইহুদী এজেন্ট। হাসান মাহমূদও তাদের
একজন। সে প্রতিনিয়ত এজেন্টের দায়িত্ব হিসাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে আর তাকে মদদ
করছে আরেক এজেন্ট মিডিয়া বিডিনিউজ২৪। আমরা মূর্তি ইস্যুতে হাসান মাহমূদের মিথ্যা
অপপ্রচারের খন্ডন করেছি। এখন সে আবার আরেকটা লেখা দিয়েছে ইসলামে হিলা বিয়ে ও তাৎক্ষণিক তালাক
এ লেখায়
হাসান মাহমূদ যে বিষয় সমূহ লিখেছে সে বিষয়গুলো যদি আমরা সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করি
তাবে হাসান মাহমূদ নামক এজেন্টদের মুখোশ খুলে যাবে নিশ্চিত। তার লেখা থেকে যে পয়েন্ট গুলো
পাওয়া যায়-
১) এক
সাথে তিনবার তালাক উচ্চারন করলে তালাক হয় না।
২)
সাক্ষীবিহীন তালাক গ্রহনযোগ্য নয়।
৩) তিন
তালাক মিলে এক তালাক হয়।
৪) রাগের
মাথায় তালাক দিলে সেটা হবে না।
৫) হিলা
বিয়ে বা পূনবিবাহ কোরআনে কোন নির্দেশ নাই বরং এটা অত্যাচার।
সবাই পড়ে
নিন “নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক।”
তো এবার
এই ইহুদী এজেন্ট হাসান মহমুদের মিথ্যা মনগড়া দাবী সমূহের জবাব দেখে নিন-
১) এক
সাথে তিনবার তালাক উচ্চারন করলে তালাক হয় না: ইহূদী
এজেন্ট হাসান মাহমূদের মতে একসাথে তিনবার তালাক দিলে তালাক হয় না। অথচ অসংখ্য দলীল
বিদ্যমান যার দ্বারা প্রমানিত একসাতে তিন তালাক দিলে সেটা চুড়ান্তভাবে বিবাহ
বিচ্ছেদের কারন হয়ে যাবে। যেকোনো উপায়ে
তিন তালাক দেওয়া হলে তিন তালাক কার্যকর হয়ে বৈবাহিক সর্ম্পক শেষ হয়ে যায়। এ
অবস্থায় শুধু মৌখিকভাবে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার যেমন কোনো সুযোগ থাকে না তেমনি নতুন
করে বিবাহ দোহরানোর মাধ্যমেও ফিরিয়ে নেওয়ার পথ খোলা থাকে না। সহীহ হাদীস শরীফ থেকে
দলীল দেখুন,
⇛ উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা আলাইহাস সালাম থেকে বর্ণিত, হযরত রাফায়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার স্ত্রী বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, আমার স্বামী রাফায়া আমাকে এক
সাথে তিন তালাক দিয়েছেন? এরপর আমি হযরত আব্দুর রাহমান
রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সাথে বিবাহ করেছি। এখন রাফায়ার কাছে যেতে পারবো কিনা? নবীজী বললেন, আবদুর রহমান তোমার সাথে একান্ত অবস্থান করলে এরপর রাফায়ার নিকট যেতে পারবে। (সহীহ
বুখারী ৫২৬১)
⇛ হযরত হারুন ইবনে আনতারা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, উনার পিতা বলেছেন, আমি একদিন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট বসা ছিলাম।
ইতিমধ্যে এক লোক এসে বলল, সে তার স্ত্রীকে এক বারেই
একশো তালাক দিয়েছে। সে জানতে চাইল, এতে কি এক তালাক গণ্য হবে নাকি তিন তালাক গণ্য হবে? আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, তিন তালাক কার্যকর হয়ে তোমার স্ত্রী তোমার থেকে
সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আর বাকি
সাতানব্বই তালাকের গুনাহ তোমার উপর বর্তাবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা হাদীস নং
১৮১০১)
⇛ সহীহ সনদে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি স্ত্রীকে হায়েয থেকে পবিত্র অবস্থায়
পর্যায়ক্রমে তিন তালাক দিল কিংবা একসাথে তিন তালাক দিল তার জন্য ওই স্ত্রী হালাল
হবে না অন্য পুরুষের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ছাড়া। (আসসুনানুল কুবরা ৭/৩৩৬, আলমু’জামুল কাবীর, তাবারানী : হাদীস নং ২৭৫৭, মাজমাউয যাওয়ায়েদ : হাদীস নং ৭৭৮৮)
⇛ বিখ্যাত ফকীহ ও মুহাদ্দিস আল্লামা ইবনুল হুমাম রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত.৬৮১হি.) আলোচ্য মাসআলাটি যে সাহাবাযুগ থেকেই অবিসংবাদিত তা উল্লেখ করার পর লিখেছেন- “আর এ জন্যই যদি কোন (শরয়ী) আদালতের বিচারক এই সিদ্ধান্ত দেয় যে, এক সাথে তিন তালাক দিলে এক তালাক হয়, তাহলে তার ফায়সালা গ্রহণযোগ্য হবে না। কেননা বিষয়টিতে নতুন ইজতিহাদ ও সিদ্ধান্তের কোন সুযোগ নেই। সুতরাং নতুন কোন সিদ্ধান্ত দেয়া হলে তা শরীয়তসম্মত ‘মতপার্থক্য’ নয়; শরীয়ত গর্হিত ‘বিচ্ছিন্নতা’ হিসাবেই গণ্য হবে।”
২) সাক্ষীবিহীন তালাক গ্রহনযোগ্য নয়: ইহুদী এজেন্ট হাসান মামুদ লিখেছে, রাসুল (সা.) কোথাও কখনও সাক্ষীবিহীন তালাককে বৈধতা দেননি। দেখুন সুরা ত্বালাক আয়াত ১ ও ২: “তোমরা যখন স্ত্রীদিগকে তালাক দিতে চাও তখন ইদ্দত গণনা করিও। অতঃপর তাহারা যখন ইদ্দতকালে পৌঁছে, তখন তাহাদিগকে উপযুক্ত পন্থায় ছাড়িয়া দিবে বা রাখিয়া দিবে এবং তোমাদের মধ্য হইতে দুইজন সাক্ষী রাখিবে।”
গন্ডমূর্খ
হাসান মাহমূদ উক্ত আয়াত শরীফে কোন সাক্ষীর কথা বলা হয়েছে সেটা ধরতেই পারে নাই।
এখানে যে সাক্ষীর কথা বলা হয়েছে সেটা হচ্ছে সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে এই বিষয়ে
দুইজনের সাক্ষী রাখা। যাতে পরবর্তী এসব নিয়ে আর কোন ঝামেলা না হয়। এট তালাক হওয়ার
জন্য দুইজন সাক্ষীর কথা বলা হয়নি। তালাক পতিত হওয়ার জন্য এক বা
একাধিক কোনো সাক্ষীরই প্রয়োজন নেই। স্বামী যদি রাতের অন্ধকারে একা একা বসে তালাক
দেয় তাহলেও তালাক হয়ে যায়। আর ইহুদী এজেন্ট হাসান মাহমূদ তার লেখায়
সাক্ষীর জন্য একটা হাদীসের কথা বলেছে যার কোন রেফারেন্সই দেয় নাই। সূতরাং বোঝাই
যাচ্ছে ইহুদী এজেন্ট হাসান মাহমুদ কত বড় জোচ্চর।
৩) তিন
তালাক মিলে এক তালাক হয়: নাস্তিক
ইহুদী এজেন্ট হাসান মাহমুদ অখ্যাত মওলানা ওয়াহিদুদ্দিনের Women in Islami Sharia’ বই এর রেফারেন্স দিয়ে লিখেছে “এই তিন তালাক মিলে হল এক তালাক। ইচ্ছে হলে
এই তালাক বাতিল করতে পার।”
অথচ এটা
সম্পূর্ণ সহীহ হাদীস শরীফের খেলাপ কথা।
কারন সহীহ হাদীস শরীফে আছে, “তুমি তাকে তিন তালাক দিয়ে দিলে তবে সে (স্ত্রী) তোমার জন্য হারাম হয়ে
যাবে- যতক্ষন না তুমি ব্যতীত অন্য কাউকে সে বিয়ে করে” (মুসলিম শরীফ-
কিতাবুত তালাক: হাদীস ৩৫২১) যেখানে সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমানিত তিন তালাক দিলে
সেটা তিন তালাকই পতিত হয় সেখানে কোথাকার কোন ওয়াহিদুদ্দিন কি বলেছে সেটা দেখার
অবকাশ কোথায়???
ইহুদী
এজেন্ট হাসান মাহমূদ তার এ বক্তব্যকে প্রমান করতে একটা দলীল দিয়েছে, ““আবু সাহবা ইবনে আব্বাসকে (রা.) বলিলেন, ‘আপনি কি জানেন যে আল্লারর রাসুলের (সা.) সময়ে, হজরত আবু বকরের সময়ে এবং হজরত ওমরের (রা.) প্রথম তিন বছরের
খেলাফতকালে তাৎক্ষণিক তিন তালাককে এক তালাক ধরা হতো?’ ইবনে আব্বাস (রা.) বলিলেন, ‘হ্যাঁ।””
এর জবাবটি হাসান মাহমূদ কৌশলে চেচে গিয়ে মানুষকে ধোঁকা দেয়ার জন্য বলছে তিন
তালাক দিলে এক তালাক হবে। কিন্তু মূল বিষয়টি হল, একটি বিশেষ সূরত তা হল,কেউ পরপর তিনবার বলল, তুমি তালাক, তুমি তালাক, তুমি তালাক। নবীজীর যুগে ,হযরত আবু বকর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার যামানায় মানুষ ওইভাবে তালাক দিয়ে বলত, আমি বাকী দুইবার তালাক শব্দ বলেছি, প্রথম এক তালাক কে জোরালো করার জন্য। নতুন তালাক প্রয়োগ করা উদ্দেশ্য নয়।
এজন্য তৎকালিন সময়ে দুটি শরতে ও্তইভাবে তিন তালাক দিলে এক তালাক গন্য হত।
শরত দুটি হল,
১. পরপর ওই ভাবে বলতে হবে। ( সৃতরাং এক শব্দে তিন তালাক দিলে তা যে কারযকর হবে তা বলাই বাহুল্য।)
২. নতুন তালাকের নিয়ত না করতে হবে (সুতরাং তিনতালাক দেয়ার উদ্দেশ্যে তিনবার বললে তা যে কার্যকর হবে তা বলাই বাহুল্য)
কিন্তু পরবরতী যামানায় দেখা গেল, মানুষ ব্যাপকভাবে ওইভাবে তালাক বলে-বাস্তব তিন তালাকই উদ্দেশ্য নেয়, প্রথম তালাককে জোরালো করা উদ্দেশ্য হয়না। তাই অবস্থা পরিবরতনের কারণে তখন হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ওই ভাবে এক সাথে তিন তালাক দিলে তা তিনই কারযকর করতেন। (ইমাম নববী রচিত শরহে নববী ১ম খন্ড ৪৭৮ পৃষ্ঠা, ফতহুল বারী, কুরতুবী)
ব্যাখ্যাটির সমর্থন পাওয়া যায় এক হাদীস শরীফের মাধ্যমে, নবীজী একজন সাহাবাকে জিজ্ঞেস করেছেন, আপনি কি এক তালাক উদ্দেশ্য নিয়েছেন না তিন তা আপনি শপথ করে বলুন।
(আবু দাউদ ১/৩০০)
সুরা বাকারা ২৩০ আয়াত
শরীফের ব্যাখ্যায় তফসীরে কুরতুবী, আহকামুল কোরান , রুহুল মা’আনী , মাজহারী প্রভৃতি তাফসীরের কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে এক সংগে তিন তালাক দিলে
তিন তালাকই কার্যকর হবে । তিন তালাক
প্রাপ্তা স্ত্রী পরবর্তিতে অন্য কোন জায়গায় বিয়ে হবার পর সেই স্বামি যদি তাকে
পুনরায় তালাক দেয় তখন প্রথম স্বামির সাথে সে পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে। মুলত: এক মজলিশে তিন তালাক দিলে , তিন তালাক হবে । এটা
হানাফি , শাফেয়ী , মালেকি , হাম্বলী তথা আহলে সুন্নত
ওয়াল জামাআতের সকলে আলেমের মত । শুধুমাত্র বিদাআত
মতাবলম্বি দল একে এক তালাক হিসেবে মত দিয়ে থাকে ।
হযরত ইমাম তাবরানী হযরত ইবনে ওমর রদ্বিয়াল্লাহু
আনহু থেকে একটি হাদিস বর্ননা করেন যা নিম্নরূপ :
“আমি বললাম ইয়া রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইয়ে ওয়া সাল্লাম আমি যদি তাকে তিন তালাক দিতাম , তবে কি আমি তাকে ফিরিয়ে আনতে পারতাম ? হযরত রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইয়ে ওয়া সাল্লাম বললেন “তখন সে
তোমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতো এবং এটা তোমার জন্য হতো গোনাহের কাজ” ।
এছাড়া সুনানে নাসাঈ, বায়হাকী শরীফ ,
মুজামে
তাবরানী , সুনানে দারে কুতুনী , মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক , মুয়াত্তা ইমাম মালেক প্রভৃতি গ্রন্হে অসংখ্য
হাদীস শরীফ বিদ্যমান যার দ্বারা প্রমান হয় তিন তালাক দিলে তিন তালাকই কার্যকর হয় । সুতরাং একই মজলিসে তিন তালাক দিলে তা এক তালাক হয়, এই ভ্রান্ত মত অনুসরণ করলে সারা জীবন হারাম কাজে অতিবাহিত
করতে হবে ও নিজের জন্য জাহান্নামের গর্ত
খোঁড়া ছাড়া আর কিছু করা হবে না।
৪) রাগের
মাথায় তালাক দিলে সেটা হবে না: ইহুদী এজেন্ট হাসান মাহমূদের লেখা
থেকে আরেকটি জিনিস দেখা গেছে সে লিখেছে, ““মানুষ
রাগের মাথায় ভুল করতেই পারে, তাকে সে ভুল
সংশোধনের সুযোগ দিয়ে ভানো মানুষ বানানোই ইসলাম। অনেক কঠিন অপরাধের তওবার সুযোগ
দিয়েছে ইসলাম, দিয়েছেন রাসুল (সা.)। তাই মুখ ফসকে দুটো কথা
বের হয়ে গেলে তার আর মাপ নেই, এটা হতে পারে না”””
ইসলামের স্পষ্ট বিধানকে হাসান মাহমূদ অস্বীকার করেছে। অথচ হাদীস শরীফে আছে ثلث جدهن جد هزلـهن جد النكاح والطلاق والرجعة অর্থ : তিনটি বিষয় এমন রয়েছে যা
গোস্বায় হোক বা হাসি ঠাট্টায় হোক সর্বাবস্থায় কার্যকরী হয়ে থাকে। বিবাহ্, তালাক ও রজয়াত।” (তিরমিযী শরীফ, আবূ
দাউদ শরীফ, মিশকাত শরীফ/২৮৪) এ বিষয়ে সম্মানিত চার ইমামই
একমত পোষণ করেছেন। অনেকে বলে থাকে যে, গোস্বা হয়ে তালাক দিলে
তালাক হয়না। এর জাওয়াবে বলতে হয়, কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে
কখনোই খুশি হয়ে তালাক দেয়না। কারণ কেউ যখন বিবাহ করে তখন সে খুশি মনেই করে। আর
তালাক দেয়ার নিয়তে কেউ বিয়ে করেনা। কারণ এসেছে, তালাক দেয়ার
নিয়তে বিবাহ করলে তার প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লানত বর্ষিত হয়। কাজেই কেউ যখন
তার স্ত্রীকে তালাক দেয় তখন সে রাগ হয়েই তালাক দিয়ে থাকে। অর্থাৎ মনমালিন্য হওয়ার
কারণেই তালাক দিয়ে থাকে। তাই এ কথা বলার অবকাশ নেই যে, গোস্বা
হয়ে তালাক দিলে তালাক বর্তাবেনা। [ (১) তাফসীরে
তাবারী, (২) রূহুল মায়ানী, (৩) ইবনে
কাছীর, (৪) কবীর, (৫) খাযিন, (৬) বাগবী, (৭) কুরতুবী, (৮)
মাযহারী, (৯) আহকামুল কুরআন, (১০)
আহমদী, (১১) বায়যাবী, (১২) শায়খেযাদাহ,
(১৩) মা’আরিফুল কুরআন, (১৪) বুখারী, (১৫) মুসলিম, (১৬) মিশকাত, (১৭)
ফতহুল বারী, (১৮) উমদাতুল ক্বারী, (১৯)
মিরকাত, (২০) আশয়াতুল লুময়াত, (২১)
লুময়াত, (২২) তা’লীকুছ্ ছবীহ্, (২৩)
ত্বীবী, (২৪) মুযাহেরে হক্ব, (২৫)
মাবসুত, (২৬) ফতহুল ক্বাদীর, (২৭)
বেনায়া, (২৮) আলমগীরী, (২৯) শামী,
(৩০) আইনী, (৩১) বাহরুর রায়িক, (৩২) কুদুরী, (৩৩) হেদায়া, (৩৪)
আইনুল হিদায়া, (৩৫) নিহায়া, (৩৬) ইনায়া,
(৩৭) গায়াতুল আওতার, (৩৮) শরহে বিকায়া,
(৩৯) কানযুদ্ দাক্বায়িক্ব, (৪০) ফতওয়ায়ে আমিনী
ইত্যাদি]
৫) হিলা
বিয়ে বা পূনবিবাহ কোরআনে কোন নির্দেশ নাই বরং এটা অত্যাচার: ইহুদী
এজেন্ট মুখস্ত বলে দিলো হিলা বিয়ের কথা কুরআন শরীফ হাদীস শরীফ কোথাও নাই। অথচ সে যে
সূরা বাকারার রেফারেন্স বারবার দিয়েছে তার ২৩০ নম্বর আয়াত শরীফটা কি সে দেখে নাই?
নাকি না দেখে না দেখার ভান করেছে। আল্লাহ রব্বুল আলামিন কোরআন শরীফে উল্লেখ করেছেন: “অত:পর সে যদি স্ত্রীকে (তিন) তালাক দেয় তবে সে স্ত্রি যে
পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোনো স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হয় তার জন্য হালাল
নয়। অর্থ্যাৎ, দ্বিতীয় স্বামী
বিবাহ করে তালাক না দেয়া পর্যন্ত প্রথম স্বামী গ্রহন করতে পারবে না । ” ( সুরা
বাকারা ২৩০ )
এরকম
স্পষ্ট আয়াত শরীফ থাকার পরও কি করে হিলা বিবাহের বিরোধীতা করা সম্ভব? আল্লাহ পাকের
বিধানকে অত্যাচার বলা সম্ভব?
আর সকল ফিকহের কিতাবেও এটা স্পষ্ট বলা হয়েছে, আর যদি
তালাকে বাইন হয়, তখন ইদ্দত খতম বা শেষ হওয়া ব্যতীতই সাথে
সাথেই জুদা বা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। (ফাতহুল কাদীর,
আলমগীরী)
আরো বর্ণিত আছে, “আর যদি
তিন তালাক পূর্ণ হয়ে যায়, তখন এই স্ত্রীকে হিলা (অন্য কারো সাথে
বিবাহ দেয়ার পর তার থেকে বিচ্ছিন্ন) না হওয়া পর্যন্ত কখনো সে বিবাহ করতে পারবে না।” (আল বাহরুল মুহীত
লিচ্ছুরুখসী, আলমগীরী)
উপরোক্ত দলীল
দিয়ে ইহুদী এজেন্ট হাসান মাহমূদের সব মিথ্যাচার খন্ডন করা হলো। আরো অসংখ্য দলীল আছে প্রয়োজনে সেগুলোও সময়মত দেয়া হবে। হাসান মাহমূদরা হচ্ছে ভাড়া করা দলাল এদের
কাছ থেকে যখন ইসলাম নিয়ে কোন কথা শুনবেন সেসব চোখ বুজে প্রত্যাখান করবেন। ইসলামী
বিষয়ে সমাধান দেয়ার জন্য অনেক আলেম দুনিয়াতে আছেন কোন নাস্তিক দালালের ফতোয়ার
দরকার নেই। সূতরাং সবার উচিত এ শ্রেনীর লোকদের আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করা।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন