যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে ডেট্রয়েট যাচ্ছিলো ডেলটা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। ঐ ফ্লাইটে দার্লিন হায়দার (৩২) নামক হিজাব পরিহিতা এক মুসলিম বোন ছিলেন , যিনি তার স্বামী ও ৪ শিশু সন্তানকে নিয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু প্লেনে উঠতেই কিছু কাফির যাত্রী চিৎকার করে বলতে থাকলো: “এটা আমেরিকা, এখানে প্লেনে হিজাব পড়ে উঠে কিভাবে?”
এক পর্যায়ে একজন ক্রু এসে দার্লিন হায়দারকে বললো : “তুমি তোমার সন্তানদের নিয়ে সিট ছেড়ে দাও, এবং উন্মুক্ত স্থানের সিটে বসো।: কিন্তু দার্লিন হায়দার সিট ছাড়তে অস্বীকার করায় ঐ কাফির ক্রু ক্ষুদ্ধ হয়ে বললো : “তুমি আমার ধৈর্যের শেষ সীমায় উপনিত হয়েছো, এখনই সিট ছেড়ে দাও, নয়তো তোমাকে লাথি মেরে প্লেন থেকে ফেলে দেবো”।
খরব সূত্র:
১) http://goo.gl/Qd69QL
২) Video link- http://youtu.be/_Fem8CX5Rjs
কাফিররা মুসলমানদের বিরুদ্ধে এ ধরনের আচরণ করবে এটাই স্বাভাবিক। কেননা পবিত্র কুরআন পাকেই এ সম্পর্কে লেখা আছে:
১) “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না, তারা তোমাদের অমঙ্গল সাধনে কোন ক্রটি করে না-তোমরা কষ্টে থাক, তাতেই তাদের আনন্দ। শত্রুতাপ্রসুত বিদ্বেষ তাদের মুখেই ফুটে বেরোয়। আর যা কিছু তাদের মনে লুকিয়ে রয়েছে, তা আরো অনেকগুণ বেশী জঘন্য।” (সূরা আল ইমরান: ১১৮)
২) “দেখ! তোমরাই (মুসলমানরা) তাদের (কাফিরদের) ভালবাস, কিন্তু তারা তোমাদের প্রতি মোটেও সদভাব পোষণ করে না।” ( সূরা আল ইমরান: ১১৯)
৩) তোমাদের (মুসলমানদের) যদি কোন মঙ্গল হয়; তাহলে তাদের (কাফিরদের) খারাপ লাগে। আর তোমাদের যদি অমঙ্গল হয় তাহলে আনন্দিত হয় ( সূরা আল ইমরান: ১২০)
৪) “নিশ্চয়ই সমস্ত প্রাণীর মাঝে আল্লাহ তায়ালার নিকট কাফিরেরাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যারা ঈমান আনেনি।” (সূরা আনফাল- ৫৫)
৫) “নিশ্চয়ই কাফিররা মহান আল্লাহ তায়ালা সাথে শত্রুতা করে” (সূরা বাকারার : ৯৮)
৬) ‘তোমরা (মুসলমানরা) তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে প্রথমতঃ ইহুদীদেরকে অতঃপর মুশরিকদেরকে।’ (সূরা মায়িদা: ৮২)
৭) নিশ্চয়ই মুশরিকরা নাপাক বা অপবিত্র। (সূরা-তাওবাহ, আয়াত : ২৮)
৮) “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করোনা। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।” (সূরা মায়িদা-৫১)
৯)“তারা কাফের মুশরিকরা এটাই কামনা করে যে, তারা যেরূপ কুফরী করেছে তোমরাও সেইরূপ কুফরী কর, যাতে তোমরা তাদের সমান হয়ে যাও। (সূরা নিসা: ৮৯)
১০) “হে ঈমানদারগণ! তোমরা যদি কাফিরদের কথা শোনো, তাহলে ওরা তোমাদেরকে পেছনে ফিরিয়ে দেবে, তাতে তোমরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়বে।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪৯)
মুসলমানদের শত্রু কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ত করার কারনে আজ মুসলমানরা দুনিয়াতে লাঞ্ছিত হচ্ছে। শত্রুর সাথে কি রকম আচরন করতে হয় সেটা ভুলে গেলে কি চলবে ?
মুসলমানদের বেশি করে কুরআন শরীফ পড়া উচিত, কুরআন শরীফের সমস্ত কিছুর বর্ণনা স্পষ্ট করে আছে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন